হোয়াট্সঅ্যাপে মাধ্যমিকের প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করল রায়গঞ্জ থানার পুলিশ। রায়গঞ্জ থানায় নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে বুধবার মাঝরাতে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতের নাম রেজাউল হক। পেশায় দিনমজুর ওই ব্যক্তির বাড়ি ইটাহার থানার দিগনা এলাকায়। ধৃতের কাছ থেকে একটি দামি মোবাইল ফোন উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার ধৃতকে রায়গঞ্জের মুখ্য বিচারবিভাগীয় আদালতে তোলা হলে বিচারক ধৃতের জামিন নাকচ করে চারদিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন।
সরকারি আইনজীবী নীলাদ্রি সরকার জানিয়েছেন, পুলিশ রেজাউলের বিরুদ্ধে বিশ্বাস ও প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ এবং প্রতারণার অভিযোগে জামিনঅযোগ্য ৪১৭ ও ৪২০ ধারায় মামলা দায়ের করেছে। ধৃত যুবক কোথা থেকে প্রশ্নপত্র পেয়েছিলেন ও কাদের সহযোগিতায় কোথায় প্রশ্নপত্র ফাঁস করছিলেন, তা জানতেই পুলিশ তাঁকে হেফাজতে নিয়েছে। রেজাউল কেরালায় দিনমজুরির কাজ করেন। তিনি তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন। এক সপ্তাহ আগে তিনি বাড়ি ফেরেন। তাঁর স্ত্রী সাবিনা গৃহবধূ। তাঁদের ১৫ ও ১০ বছর বয়সী ছেলেমেয়ে রয়েছে। তার মতো ব্যক্তিকে কোনও চক্র কাজে লাগাচ্ছে কি না তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
পুলিশের অভিযোগ, গত বুধবার দুপুরে মাধ্যমিকের জীবনবিজ্ঞান পরীক্ষা শুরু হওয়ার মুখে রেজাউল রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ চত্বরে সন্দেহজনক ভাবে ঘোরাঘুরি করছিলেন। কিছুক্ষণ পর তিনি হাসপাতালের সাধারণ বহির্বিভাগের সামনের করিডরে দাঁড়িয়ে কারও সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ মোবাইলে কথা বলেন। এরপরেই রেজাউল নিজের মোবাইল থেকে হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে একাধিক ব্যক্তিকে জীবনবিজ্ঞানের প্রশ্নপত্র পাঠান। পুলিশের দাবি, এক সিভিক ভলান্টিয়ার রেজাউলের উপর দীর্ঘক্ষণ নজর রাখার পর তাঁকে প্রশ্নপত্র ফাঁস করতে দেখে পুলিশে খবর দেন। এরপর পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে রেজাউলকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। থানায় টানা কয়েকঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর রাতে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করে।
উত্তর দিনাজপুরের পুলিশ সুপার সুমিত কুমার বলেন, ‘‘ধৃতের মোবাইলের হোয়াট্সঅ্যাপ থেকে উদ্ধার হওয়া মাধ্যমিকের বিজ্ঞানের প্রশ্ন আসল, না নকল তা জানতে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy