Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

পরীক্ষার সময়ে ইউনিয়ন রুম বন্ধ

মুর্শিদাবাদে এমন ঘটনা নিত্য দিনের!  কন্যাশ্রী যোদ্ধা, চাইল্ড লাইন, বেসরকারি সংগঠনের সদস্যদের পাশাপাশি সতর্ক রয়েছেন পুলিশ ও প্রশাসনের কর্তারা। ফলে প্রায় প্রতিদিনই জেলার কোথাও না কোথাও নাবালিকার বিয়ে বন্ধ হচ্ছে। কিন্তু তার পরেও বাল্যবিবাহের প্রবণতা বন্ধ করা যাচ্ছে না।

নির্দেশ: জলপাইগুড়ি আনন্দচন্দ্র কলেজের প্রবেশ পথ। নিজস্ব চিত্র

নির্দেশ: জলপাইগুড়ি আনন্দচন্দ্র কলেজের প্রবেশ পথ। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
জলপাইগুড়ি শেষ আপডেট: ০২ ডিসেম্বর ২০১৮ ০১:২৩
Share: Save:

কলেজে ঢুকতে গেলে পরিচয়পত্র দেখানোর সাধারণ নিয়ম রয়েছে। ‘ইউনিয়ন রুমে যাব’ এই লব্জেই সেই নিয়ম উড়ে যায় বলে অভিযোগ। কলেজ ছাত্র না হলেও ইউনিয়ম রুমে ঢুকতে চাওয়া ‘দাদা’দের পথ আটকানোর ‘ঝুঁকি’ কলেজের মাইনে করা নিরাপত্তা কর্মীরা নিতে চান না বলেই দাবি। পরীক্ষার সময়েও সেই প্রবণতা আটকাতে জলপাইগুড়ি আনন্দচন্দ্র কলেজ (এসি) কর্তৃপক্ষের নির্দেশ, পরীক্ষা চলাকালীন বন্ধ রাখতে হবে ইউনিয়ন রুম। সেই নির্দেশ মেনেই শনিবার থেকে পরীক্ষা শুরু হয়েছে জলপাইগুড়ির এসি কলেজে।

নতুন পদ্ধতিতে এ বছরই প্রথম পরীক্ষা কলেজে। কর্তৃপক্ষের নির্দেশ, যত ক্ষণ পর্যন্ত পরীক্ষা চলবে ইউনিয়ন রুম খোলা যাবে না। সে নির্দেশ নিয়ে আপত্তি আসেনি ছাত্রদের থেকেও। কলেজ সূত্রের খবর, চলতি বছরে ভর্তির সময় নানা অভিযোগ উঠেছিল এসি কলেজে। বহিরাগতরা ছাত্র ভর্তির সঙ্গে জড়িয়ে পড়াতেই নানা বির্তক হয়েছিল বলে কলেজ কর্তৃপক্ষের একাংশের মতামত। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছয় যে, ভর্তির সময় কলেজের সামনের দোকান বন্ধ করিয়ে দিয়েছিল পুলিশ। সেই বহিরাগতদের দূরে ঠেলতে এ দিন সকাল সাড়ে আটটা থেকে কলেজ গেটে চার জন নিরাপত্তাকর্মী রেখে সকলের পরিচয়পত্র যাচাই করা হয়েছে। পরীক্ষার্থী নন, এমন কাউকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি বলে দাবি কর্তৃপক্ষের। কেউ কেউ বলছেন, কলকাতায় কলেজে কলেজে পরীক্ষার আগে যে গোলমাল শুরু হয়েছে, তাতেও সচকিত এসি কর্তৃপক্ষ।

কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুর রজ্জাক বলেন, “এই সিদ্ধান্ত যত কঠিন ভাবে সম্ভব রূপায়ণ করা হয়েছে। এতে প়়ড়ুয়া-শিক্ষক কারও আপত্তি নেই। গত দু’বছর ধরেই এমন প্রথা এই কলেজে চলছে।”

‘ইউনিয়ন রুমে যাচ্ছি’ বলেই মূলত বহিরাগতরা কলেজে ঢুকত বলে দাবি ছাত্র প্রতিনিধিদের অনেকেরই। কলেজের ছাত্র সংসদের এক প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদকের কথায়, “সমস্যা হয় অনেক দাদা অযাচিত ভাবে সাহায্য করার জন্য এগিয়ে আসে বলে। কলেজ কর্তৃপক্ষের উপরে নানা কারণে চাপ তৈরি করে, নকল করতে দেওয়ার দাবি করে, আমরাও নিরুপায় হয়ে যাই।” সেই প্রবণতা অঙ্কুরে নষ্ট করতেই কলেজের এমন পদক্ষেপ বলে দাবি। শনিবার প্রথম দিন গিয়েছে, বাকি দিনগুলিও সুষ্ঠু ভাবে পরীক্ষা চালানোই আপাতত কর্তৃপক্ষের পরীক্ষা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Union Room Ananda Chandra College Exam
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE