বিক্ষোভ: ইটাহার কলেজের সামনে টিএমসিপি। নিজস্ব চিত্র
কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে একাধিক অনিয়মের অভিযোগ তুলে কলেজের গেটে তালা দিয়ে বিক্ষোভ দেখাল টিএমসিপি। শনিবার বেলা ১১টা নাগাদ ওই ঘটনায় উত্তেজনা ছড়ায় ইটাহারের ডক্টর মেঘনাদ সাহা কলেজ চত্বরে। বিক্ষোভের জেরে কলেজে ঢুকতে বাধা পান অধ্যাপক ও শিক্ষাকর্মীরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই আন্দোলনের বিরোধীতা করেন টিএমসিপির অন্য এক গোষ্ঠীর একদল সমর্থক। তাঁরা জোর করে গেট খোলার চেষ্টা করলে দু’পক্ষের মধ্যে বচসা ও হাতাহাতি বেধে যায়। প্রায় ১৫ মিনিট পর পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মুকুন্দ মিশ্রের বক্তব্য, ‘‘পড়ুয়াদের কোনও অভিযোগ বা দাবি থাকলে তা কলেজ কর্তৃপক্ষকে জানানোর নির্দিষ্ট নিয়ম রয়েছে। সেটা না করে এভাবে কলেজের গেট বন্ধ করা অনুচিত। পড়ুয়াদের অভিযোগ ও দাবি খতিয়ে দেখে উপযুক্ত পদক্ষেপ করা হবে।’’
আন্দোলনকারী টিএমসিপি সমর্থকদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে কলেজে বহিরাগতদের আনাগোনা বাড়ছে। এখনও পর্যন্ত চলতি শিক্ষাবর্ষে কলেজের বহু পড়ুয়া আবেদন করেও হাফ ফি-র সুবিধা পাননি। এছাড়া, দীর্ঘদিন ধরে প্রথম বর্ষে আবেদনকারী বহু পড়ুয়ার ভর্তি প্রক্রিয়াও আটকে রয়েছে। টিএমসিপির ইটাহার লোকাল ইউনিট কমিটির সদস্য মঞ্জয় দাস, অনিমেষ পাল ও চন্দন সরকার জানিয়েছেন, এ দিন তাঁরা গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতেই আন্দোলন করেছেন। সংগঠনের তরফে কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে কলেজে বহিরাগতদের প্রবেশ রুখতে পড়ুয়াদের পরিচয়পত্র বাধ্যতামূলক করার দাবি জানানো হয়েছে। আন্দোলনকারীদের একাংশের অভিযোগ, এ দিন তাঁরা কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষকে ওই দাবিপত্র দেওয়ার জন্য কলেজের গেটের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। কিন্তু কলেজ কর্তৃপক্ষ সেই দাবিপত্র নিতে অস্বীকার করায় তাঁরা কলেজের গেটে তালা দিতে বাধ্য হন। তাঁদের দাবি, সংগঠনের সদস্যদের মধ্যে বচসা ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটেনি।
টিএমসিপির উত্তর দিনাজপুর জেলার প্রাক্তন কার্যনির্বাহী সভাপতি ইন্দ্রনীল আচার্যের বক্তব্য, ‘‘আন্দোলনকারীরা টিএমসিপির পতাকা নিয়ে কলেজের গেটে তালা মেরে ঠিক করেননি।’’ তিনি বলেন, ‘‘আন্দোলনকারীদের আগাম অনুমতি নিয়ে স্মারকলিপির মাধ্যমে কলেজ কর্তৃপক্ষকে অভিযোগ ও দাবি জানানো উচিত ছিল।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy