মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফাইল চিত্র।
মুখ্যমন্ত্রী কোচবিহারে থেকে ফিরে যাওয়ার পাঁচ দিনের মধ্যে ফের তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে উত্তপ্ত হয়ে উঠল দিনহাটার নাজিরহাট। রবিবার সন্ধ্যায় নাজিরহাট বাজারে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে ব্যাপক বোমাবাজি হয় বলে অভিযোগ। ওই ঘটনায় দু’পক্ষের ৫ জন জখম হয়েছেন। ঘটনার পরে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে গোটা বাজারে। দোকানপাট বন্ধ করে নিরাপদ দূরত্বে সরে যান ব্যবসায়ীরা। সন্ধ্যার বাজার এমন ভাবে ভণ্ডুল হয়ে যাওয়ায় ক্ষুব্ধ তাঁরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে যায়। দিনহাটার এসডিপিও উমেশ গণপত বলেন, “ঘটনাস্থলে পুলিশ রয়েছে। প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হচ্ছে।”
দিনহাটার বিধায়ক উদয়ন গুহ ওই ঘটনার পিছনে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব রয়েছে বলে মানতে চাননি। তিনি বলেন, “নাজিরহাটে একটি গণ্ডগোল হয়েছে বলে শুনেছি। পুলিশকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।” দিনহাটা ২ নম্বর ব্লকের তৃণমূল সভাপতি তথা জেলা পরিষদের সদস্য ওই ঘটনার জন্য দলের বিধায়ক উদয়নবাবুকে কাঠগড়ায় দাঁড় করান। তাঁর অভিযোগ, উদয়নবাবু শনিবার ওই এলাকায় গিয়ে একটি বৈঠক করেন। সেখানে ওই অঞ্চলে দলের দায়িত্বে থাকা পদাধিকারিদের ডাকা হয়নি। তিনি বলেন, “বিধায়ক এমন বৈঠক করেছেন যে, গণ্ডগোল হয়েছে। দলের কর্মীদেরই মারধর করা হয়েছে।”
গত পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় থেকেই দিনহাটায় দফায় দফায় গণ্ডগোল হচ্ছে। দিনহাটায় তিন মাস আগেও উদয়নবাবুর সঙ্গেই সখ্য ছিল মির হুমায়ন কবীরের। দলীয় সূত্রের খবর, কিছু দিন ধরে দুই নেতার অনুগামীদের মধ্যে বিরোধ তৈরি হয়েছে। দলের ব্লক সভাপতির ঘনিষ্ঠ তৃণমূলের নাজিরহাট অঞ্চল সভাপতি এ দিন অভিযোগ করেন, যুব তৃণমূলের নাম করে বাইরে থেকে লোক এনে নাজিরহাট ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের এক তৃণমূল নেতা ও তাঁর সহযোগীরা সকাল থেকেই লোক জমায়েত করতে থাকে। সন্ধ্যায় গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের নেতৃত্বে একদল যুবক এলাকায় বোমাবাজি করে। তিনি বলেন, “ওই ঘটনায় আমাদের দলের বেশ কয়েক জন কর্মী জখম হয়েছেন।”
বিধায়ক উদয়নবাবুর ঘনিষ্ঠ নাজিরহাট ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের এক নেতা পাল্টা অভিযোগ করেন, শনিবার বিধায়ক দলীয় কর্মীদের নিয়ে মিটিং করেন। তাঁর নির্দেশেই রবিবার মিছিল করা হবে বলে ঠিক হয়। সেই মতো এ দিন বিকেলে মিছিল করার জন্য দলীয় কর্মীরা পার্টি অফিসে জড়ো হতেই দলের অঞ্চল সভাপতির নেতৃত্বে হামলা শুরু হয়। তিনি বলেন, “পরিকল্পিত ভাবে হামলা হয়েছে। আমাদের বেশ কয়েকজন জখম হয়েছেন।”
দিনহাটা মহকুমা ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক রানা গোস্বামী বলেন, “ব্যবসায়ীরা আতঙ্কিত। পুলিশকে নিরাপত্তার জন্য জানানো হয়েছে।” পুলিশ এলাকায় গিয়ে দুই পক্ষকে সরিয়ে দেয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy