Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

বোর্ড গড়া নিয়ে তপ্ত ধলপল

দলের অন্দরেই অভিযোগ, তুফানগঞ্জের ধলপল ২ পঞ্চায়েতের প্রধান পদে পছন্দের প্রার্থীদের বসাতে তৎপর ছিল তৃণমূলের ওই অঞ্চল কমিটির সভাপতি রঞ্জিত দাসের অনুগামীরা ও তুফানগঞ্জ ১ পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য সির্দ্ধাথ মণ্ডলের অনুগামীরা।

উদ্ধার হওয়া তির। নিজস্ব িচত্র

উদ্ধার হওয়া তির। নিজস্ব িচত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
তুফানগঞ্জ শেষ আপডেট: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০৭:৫০
Share: Save:

পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠনকে ঘিরে রণক্ষেত্রের চেহারা নিল কোচবিহারের তুফানগঞ্জ থানার ধলপল। শনিবার ওই গোলমালে তিন সিভিক ভলান্টিয়ার-সহ অন্তত ৮ জন জখম হন। অভিযোগ, শাসক দলের স্থানীয় দুই নেতার অনুগামীদের গোলমালের জেরে সংঘর্ষ হয়। তিরও ছোড়া হয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। পুলিশ লাঠিচার্জ করে বলেও তৃণমূলের একাংশের অভিযোগ। পুলিশের তরফে অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। তুফানগঞ্জের এসডিপিও ফারুক মহম্মদ চৌধুরী মন্তব্য করতে চাননি। পুলিশ সুপার ভোলানাথ পাণ্ডের মোবাইল বেজে গিয়েছে।

দলের অন্দরেই অভিযোগ, তুফানগঞ্জের ধলপল ২ পঞ্চায়েতের প্রধান পদে পছন্দের প্রার্থীদের বসাতে তৎপর ছিল তৃণমূলের ওই অঞ্চল কমিটির সভাপতি রঞ্জিত দাসের অনুগামীরা ও তুফানগঞ্জ ১ পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য সির্দ্ধাথ মণ্ডলের অনুগামীরা। এ দিন মুখবন্ধ খামে গৌতমী দাসকে প্রধান করার নির্দেশের কথা জানান হয়। রঞ্জিতবাবু বলেন, “তা জানাজানি হতেই সিদ্ধার্থ মণ্ডলের অনুগামীরা আমাদের সমর্থকদের ভিড়ে হামলা চালায়। সে সময় পুলিশ লাঠি চালিয়েছে।” সিদ্ধার্থবাবুর একাধিক মোবাইলও সুইচ অফ পাওয়া যায়। তবে ওই শিবিরের এক তৃণমূল সমর্থকের দাবি, রঞ্জিতবাবুর লোকজনই হামলা করেছে। দলের জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষ অবশ্য বলেন, “কোনও গোলমাল হয়নি। বাড়িতে দুই ভাই থাকলেও ভুল বোঝাবুঝি হতে পারে। বড়রা সেটা মিটিয়ে দেয়।” জখমদের মধ্যে তিনজন সিভিক ভলেণ্টিয়ার তুফানগঞ্জ মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন । এছাড়াও তৃণমূল সমর্থক তিনজন ওই হাসপাতালে ভর্তি আছেন। জখম সিভিক ভলান্টিয়ারদের নাম অভিজিৎ বর্ম, নির্মল নমদাস ও মুস্তাফিজুর রহমান। অন্য দুই তৃণমূল সমর্থককে কোচবিহার জেলা হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে। একজনের মাথা ফেটেছে।

এ দিন বোর্ড গঠন ঘিরে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর বিবাদ বাধে কোচবিহার ১ ব্লকের দেওয়ানহাটেও। দলীয় সূত্রের খবর, সেখানে ১৭ জন সদস্যের মধ্যে ৯ জন মূল সংগঠনের ও বাকি ৮ জন যুব নেতৃত্বের অনুগামী ছিলেন। মূল সংগঠনের এক সদস্যের পরিচয়পত্র না থাকার অভিযোগকে কেন্দ্র করে বিবাদ শুরু হয়। পরে প্রশাসনের কর্তাদের হস্তক্ষেপে ওই সদস্য সভায় অংশ নেন। লিপিকা ভৌমিক প্রধান ও নাজমল হোসেন উপপ্রধান হন। দু’জনেই মূল সংগঠন ঘনিষ্ঠ বলে দলের অন্দরে পরিচিত।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE