সুব্রত ঘোষ। নিজস্ব চিত্র
এক তৃণমূল নেতার উপর হামলার অভিযোগ রায়গঞ্জের সুভাষগঞ্জ এলাকায়। রবিবার রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ রায়গঞ্জ থেকে হেঁটে সুভাষগঞ্জে বাড়ি ফিরছিলেন সুব্রত ঘোষ নামে ওই ব্যক্তি। রাস্তায় কয়েকজন দুষ্কৃতী তাঁকে বেধড়ক মারধর করে। পুলিশ জানিয়েছে, মারাত্মক ভাবে জখম ওই ব্যক্তি আশঙ্কাজনক অবস্থায় শিলিগুড়ির একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে ভর্তি। এদিকে, ঘটনার প্রতিবাদে সোমবার স্থানীয় ভিএনসিমোড় এলাকার রাজ্য সড়ক অবরোধ করেন এলাকাবাসী।
স্থানীয় সূত্রের খবর, সুব্রত স্থানীয় মাড়াইকুড়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি। পেশায় বেসরকারি সংস্থার কর্মী সুব্রত ছোটখাটো ঠিকাদারির কাজও করেন। অভিযোগ, ওইদিন রাতে সুভাষগঞ্জের ভিএনসি মোড় সংলগ্ন এলাকায় রাস্তার ধারে কয়েকজন দুষ্কৃতী তাঁকে বেধড়ক মারধর করে। ভারি কিছু দিয়ে তাঁর মাথায় আঘাত করা হয়। বাসিন্দারা এরপর তাঁকে রক্তাক্ত ও আশঙ্কাজনক অবস্থায় রায়গঞ্জ সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে ভর্তি করান। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ রাতেই তাঁকে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে রেফার করেন। তবে পরিবারের লোকেরা সুব্রতকে শিলিগুড়ির একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে ভর্তি করেন।
সুব্রতর উপরে হামলার ঘটনায় জড়িত দুষ্কৃতীদের গ্রেফতারের দাবিতে এ দিন দুপুরে বিক্ষোভ দেখান এলাকার কয়েকশো বাসিন্দা। তাঁরা সাইকেলের টায়ার জ্বালিয়ে স্থানীয় ভিএনসিমোড় এলাকার রাজ্য সড়ক অবরোধ করেন। সুব্রতর উপর হামলার ঘটনায় সন্দেহভাজন অভিযুক্ত এক যুবকের মিষ্টির দোকানেও ভাঙচুর করা হয়। ওই এলাকায় বেশ কিছু মদের দোকান রয়েছে। সেগুলি বন্ধ করার দাবিও তোলেন বিক্ষোভকারীরা। তাঁদের অভিযোগ, দুষ্কৃতীরা মদ্যপ অবস্থায় সুব্রতর উপর হামলা চালায়। প্রায় একঘণ্টা অবরোধ চলার পর পুলিশের আশ্বাসে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
অগ্নিগর্ভ: তৃণমূল নেতার উপরে হামলায় আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ রায়গঞ্জে। নিজস্ব চিত্র
এদিন আন্দোলনকারীদের তরফে শাহনাজ আলমের দাবি, সুব্রত এলাকায় একজন সমাজসেবী হিসেবে পরিচিত। এই হামলার ঘটনা মেনে নেওয়া যায় না। তাঁর বক্তব্য, পুলিশি নিষ্ক্রিয়তায় সুভাষগঞ্জে প্রচুর বেআইনি মদের দোকান চলছে। পুলিশ বেআইনি মদের কারবার বন্ধ না করলে বাসিন্দারা অনির্দিষ্ট কালের জন্য আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবেন তিনি জানান। পুলিশ সুপারের দাবি, বেআইনি মদের কারবার রুখতে ওই এলাকায় পুলিশের অভিযান শুরু হয়েছে।
উত্তর দিনাজপুরের পুলিশ সুপার সুমিত কুমারের দাবি, সুব্রতবাবুর পরিবারের তরফে এখনও পর্যন্ত তাঁরা পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। তবে বাসিন্দাদের মৌখিক অভিযোগ ও হাসপাতালের রিপোর্টের উপর ভিত্তি করে পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy