ছাত্রবিক্ষোভ। নিজস্ব চিত্র
ছাত্র আন্দোলনে উত্তাল হয়ে উঠল তুফানগঞ্জ পলিটেকনিক কলেজ। সোমবার দুপুর ১২টা থেকে তুফানগঞ্জ পলিটেকনিক কলেজের সার্ভে ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের প্রায় ৬০ জন ছাত্র বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। কলেজ ক্যাম্পাসের ভিতরে ধর্নায় বসেন। তাঁদের দাবি, প্র্যাকটিক্যাল ক্লাসের জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম চাই। এই ধর্না ও বিক্ষোভের জেরে অন্য সমস্ত ক্লাস বন্ধ ছিল। কলেজ কর্তৃপক্ষের বক্তব্য পঠনপাঠন স্বাভাবিক ছিল, এবং ছাত্রদের দাবি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে জানানো হয়েছে।
২০১৪ সালে তুফানগঞ্জ নাককাটিগছ পলিটেকনিক কলেজ স্থাপিত হয়। প্রথমে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এবং সার্ভে ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে কলেজটি যাত্রা শুরু করে। ২০১৮ সালে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স চালু হয়। সার্ভে ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্রদের দাবি, গত অগস্ট মাসে তাঁরা এই রকমই এক বিক্ষোভ কর্মসূচি গ্রহণ করেছিলেন। ছাত্রদের দাবি, সেই সময় কলেজ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিলেন, এক মাসের মধ্যে প্র্যাকটিক্যাল করবার প্রয়োজনীয় সরঞ্জামের ব্যবস্থা করবেন। কিন্তু ৬ মাস হয়ে গেল তাঁদের প্র্যাকটিক্যাল সরঞ্জাম দেওয়া হচ্ছে না। এ ছাড়াও, ছাত্রদের দাবি, কলেজের হস্টেলের উদ্বোধন হয়ে গেলেও ছাত্রছাত্রীরা হস্টেলে থাকার সুযোগ পাচ্ছেন না। নেই প্রয়োজনীয় খেলার মাঠ। বিভিন্ন কারণে তাঁরা আন্দোলনে নামতে বাধ্য হয়েছেন বলে দাবি করেন।
এই পলিটেকনিক কলেজ সূত্রে খবর, মেকানিক্যাল, সার্ভে ইঞ্জিনিয়ারিং এবং সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে আসন সংখ্যা ৬০টি করে। মেকানিক্যাল এবং সার্ভে ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের প্রথম, দ্বিতীয়, এবং তৃতীয় বর্ষের ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা ৫০ জনের উপরে। সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং যেহেতু এই বছর শুরু হয়েছে সেখানে ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা ৩৫ জন। সার্ভে ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ক্ষেত্রে প্র্যাকটিক্যাল ক্লাসের জন্য একটি মেশিন আছে আরও দুটি মেশিন হলে সুবিধা হবে ছাত্র-ছাত্রীদের। কলেজের সার্ভে ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র সঞ্জয় অধিকারী জানান, ‘‘আমাদের কোর্স শেষ হতে ৬ মাস বাকি আছে।’’ তুফানগঞ্জ পলিটেকনিক কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ অনুপম বর্মণ জানান, ‘‘সব বিষয় ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত আকারে জানিয়েছি। ইতিমধ্যে অনেকটাই কাজের অগ্রগতি হয়েছে, আশা করছি তাড়াতাড়ি ব্যবস্থা
হয়ে যাবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy