Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪

পুরপ্রধান কে, শুরু হল ছুট

বৃহস্পতিবার দুপুরে পুরসভার পদ থেকে ইস্তফা দিলেন নীহার ঘনিষ্ঠ দুই কাউন্সিলর শুভদীপ সান্যাল ও প্রসেনজিৎ ঘোষ। অন্য দিকে, আস্থা ভোটে না গিয়ে রাজ্যের কোর্টে বল ঠেলেছেন নীহার।

আলোচনা: পুরসভায় উপ-পুরপ্রধান দুলাল সরকার, কাউন্সিলর কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরী ও নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারি ও প্রাক্তন কাউন্সিলর জয়ন্ত দাস। নিজস্ব চিত্র

আলোচনা: পুরসভায় উপ-পুরপ্রধান দুলাল সরকার, কাউন্সিলর কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরী ও নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারি ও প্রাক্তন কাউন্সিলর জয়ন্ত দাস। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
ইংরেজবাজার শেষ আপডেট: ৩০ অগস্ট ২০১৯ ০৪:০৯
Share: Save:

একযোগে ১৫ জন মিলে অনাস্থা এনেছেন দলেরই পুরপ্রধানের বিরুদ্ধে। এ বার পুরপ্রধানের পদে কে বসবেন, তা নিয়েই জল্পনা শুরু হয়েছে ইংরেজবাজার পুরসভার শাসক দলের কাউন্সিলরদের মধ্যে। তৃণমূল কাউন্সিলরদের একাংশের দাবি, পুরপ্রধান নীহার রঞ্জন ঘোষের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনা ১৫ জন কাউন্সিলরদের মধ্যে একাধিক প্রাক্তন পুরপ্রধান রয়েছেন। এ ছাড়া পুরপ্রধানের দাবিদার রয়েছেন বেশ কিছু পুরনো কাউন্সিলরও। ফলে এই পদে কে বসবেন, তা নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে শহর জুড়ে।

এই চর্চার মধ্যেই বৃহস্পতিবার দুপুরে পুরসভার পদ থেকে ইস্তফা দিলেন নীহার ঘনিষ্ঠ দুই কাউন্সিলর শুভদীপ সান্যাল ও প্রসেনজিৎ ঘোষ। অন্য দিকে, আস্থা ভোটে না গিয়ে রাজ্যের কোর্টে বল ঠেলেছেন নীহার। তিনি বলেন, “শক্তি প্রদর্শনে আমি যেতে চাই না। দলকে সমস্ত কিছুই জানানো হয়েছে। এ বার দল যা সিদ্ধান্ত নেবে, তা-ই মেনে নেব।”

লোকসভা নির্বাচনে ইংরেজবাজার শহরের ২৯টি ওয়ার্ডের মধ্যে ২৭টিতেই এগিয়ে ছিল বিজেপি। আসন্ন পুরভোটকে মাথায় রেখে শহরে ঘর গোছাতে শুরু করেছে গেরুয়া শিবির। এমন অবস্থায় গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে ছন্নছাড়া অবস্থা তৃণমূল শিবিরের।

আড়াই বছর আগে পুরসভার উপ-পুরপ্রধান দুলাল সরকার, আশিস কুণ্ডু অন্য কাউন্সিলরদের এককাট্টা করে কৃষ্ণেন্দুকে সরিয়েছিলেন। এ বার সেই দুলাল, আশিস এককাট্টা হয়ে অনাস্থা আনলেন নীহারের বিরুদ্ধে। বিক্ষুব্ধ ১৫ কাউন্সিলরের মধ্যে কৃষ্ণেন্দু এবং নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারি প্রাক্তন পুরপ্রধান ছিলেন। দুলাল দীর্ঘদিন পুরসভার উপ-পুরপ্রধান। কৃষ্ণেন্দুকে পুরপ্রধানের পদ থেকে সরানোর সময় দল সাময়িক ভাবে দুলালকেই চেয়ারম্যান করেছিল। তাই দৌড়ে তিনিও আছেন। একই সঙ্গে পুরপ্রধানের পদের দাবিদাবির রয়েছেন প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান তথা দীর্ঘদিনের কাউন্সিলর আশিসও।

আশিস বলেন, “পুরপ্রধান কে হবেন তা ঠিক করবে দল।” তাঁর সঙ্গে সুর মিলিয়েছেন অন্যরাও। প্রশ্ন উঠছে দলের নির্দেশেই কি নীহারের বিরুদ্ধে অনাস্থা? আশিস বলেন, “পুরপ্রধানের কাজকর্ম নিয়ে দলকে জানানো হয়েছে।”

আস্থা ভোটে য়েতে নারাজ নীহার। পুর-আইন অনুযায়ী অনাস্থা আনলে ১৫ দিনের মধ্যে আস্থা ভোটে যেতে হয় পুরপ্রধানকে। এদিনই তাঁর দুই ঘনিষ্ঠ কাউন্সিলর পুরসভার পদ ছেড়েছেন। সেই শুভদীপ সাফাই এবং প্রসেনজিৎ জল প্রকল্পের দায়িত্বে ছিলেন। তাঁরা বলেন, “আমরা কাজ করতে পারছিলাম না। তাই ইস্তফা দিয়েছি।” আজ, শুক্রবার কাউন্সিলরদের নিয়ে বৈঠকের ডাক দিয়েছেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি মৌসম নুর। তিনি বলেন, “দু’পক্ষকে এক করে কথা বলে সমস্যা মেটানো হবে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE