Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪
Coochbehar

লকডাউন? অবাধে গাড়ি এ-পার ও-পার করছেই

সীমানায় কিন্তু অন্য ছবি। নির্দ্বিধায় এক দিক থেকে অন্য দিকে যাচ্ছে সাইকেল, টোটো, এমনকি গাড়িও।

অবাধে: কোচবিহার-আলিপুরদুয়ার সীমানার আইটিআই মোড়ে এ ভাবেই চলছে যাতায়াত। নিজস্ব চিত্র

অবাধে: কোচবিহার-আলিপুরদুয়ার সীমানার আইটিআই মোড়ে এ ভাবেই চলছে যাতায়াত। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
আলিপুরদুয়ার শেষ আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০২০ ০৬:০৯
Share: Save:

একদিকে আলিপুরদুয়ারের আইটিআই মোড়, উল্টো দিকে কোচবিহারের খোলটা। বুধবার বেলা তখন সাড়ে ১২টা। এই সময় সাধারণত গাড়িঘোড়া কমই থাকে। তার উপরে এখন লকডাউন। খুব প্রয়োজনে কেউ যদি এক জেলা থেকে অন্য জেলায় যেতে চান, তা হলে আলাদা কথা। নইলে, সরকারি নিয়ম অনুসারে এই সময়ে কোনও গাড়িই চলার কথা নয়।

সীমানায় কিন্তু অন্য ছবি। নির্দ্বিধায় এক দিক থেকে অন্য দিকে যাচ্ছে সাইকেল, টোটো, এমনকি গাড়িও। পুলিশকর্মীরা আছেন। কাউকে তাঁরা কিছু জিজ্ঞাসা করছেন, কাউকে এমনই যেতে দিচ্ছেন।

কেন এমন অবস্থা, প্রশ্ন তুলেছেন আলিপুরদুয়ারের মানুষই। এই দু’টি জেলা এখনও গ্রিন জ়োনের মধ্যে রয়েছে। কিন্তু একই সঙ্গে অভিযোগ, পর্যাপ্ত পরিমাণে পরীক্ষা হয়নি এখানে। যার জবাবে উপসর্গের কথা বলছে স্বাস্থ্য দফতর। তবে উপসর্গ ছাড়াও যে করোনা হতে পারে, তার দৃষ্টান্ত সম্প্রতি দেখা গিয়েছে দেশের বিভিন্ন জায়গায়। সেখানে সম্পূর্ণ লকডাউনের সময়ে দুই জেলার মধ্যে যাতায়াত চলছে কী করে, তাই নিয়ে স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠেছে।

পুলিশ সূত্রের খবর, লকডাউন ভেঙে যাতে কোচবিহার থেকে আলিপুরদুয়ার শহরে প্রবেশ করতে না পারে সে জন্য জেলার সীমানায় দিন-রাত পুলিশের প্রহরার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

জেলা পুলিশের এক শীর্ষ কর্তা সে কথা দাবিও করলেন। তাঁর দাবি, দিনরাত এক করে পুলিশ পাহারা দিচ্ছে এবং সংবাদমাধ্যমের একাংশ ইচ্ছে করে নজরদারির শিথিলতার কথা লিখছে।

এই ব্যাপারে তাঁকে ফোন করা হলে তিনি আরও অভিযোগ করেন। ফোনে প্রতিবেদক জানতে চান, লকডাউন ভেঙে জেলার কোচবিহার সীমানা দিয়ে অবাধে মানুষ ও গাড়ি যাতায়াত করছে বলে অভিযোগ।

শীর্ষ পুলিশকর্তা: হতেই পারে না। দিন-রাত পুলিশের আধিকারিকদের নেতৃত্বে ওখানে চেকিং চলছে। এখানে সিসিটিভির-ও ব্যবস্থা রয়েছে।

প্রতিবেদক: কিন্তু জেলার কোচবিহার সীমানায় এমনটা হচ্ছে বলেই অভিযোগ।

শীর্ষ পুলিশকর্তা: এর কোন তথ্য-প্রমাণ আমায় দিতে পারবেন?

প্রতিবেদক: বাসিন্দাদের অভিযোগ পাওয়ার পর বুধবার দুপুরে আমরাও দেখেছি।

শীর্ষ পুলিশকর্তা: টাকা খেয়ে এমন ভুলভাল খবর করবেন না।

প্রতিবেদক: আপনার থেকে একটা অভিযোগের উত্তর চেয়েছি। আপনি দিতে চাইলে দেবেন, তা না হলে দেবেন না। কিন্তু বিনা তথ্যপ্রমাণে এমন কথা আপনি বলতে পারেন না।

পরে আলিপুরদুয়ারের পুলিশ সুপার অমিতাভ মাইতিও সীমানায় নজরদারিতে ঢিলেমির অভিযোগের কথা অস্বীকারও করেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Coochbehar Alipurduar
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE