স্বস্তিতে: মা কল্পনাদেবীর সঙ্গে ফালাকাটার হরিনাথপুরে নিজের বাড়িতে বিনোদ। ফাইল চিত্র।
থানায় ঢুকে স্থানীয় যুবক বিনোদ সরকারকে মারধরের অভিযোগে বিতর্কে জড়িয়েছেন আলিপুরদুয়ারের জেলাশাসক নিখিল নির্মল ও তাঁর স্ত্রী। জেলাশাসককে এর মধ্যেই ছুটিতে পাঠানো হয়েছে। ওই থানার আইসি-কেও এ বার বদলি করা হল কোচবিহার কোতোয়ালি থানায়। সেখানকার আই সি সমীর পালকে দায়িত্ব দেওয়া হল ফালাকাটা থানার।
বিনোদবাবুর বাবা রাজমোহনবাবুর অভিযোগের ভিত্তিতে নিখিলবাবু ও তাঁর স্ত্রী-র বিরুদ্ধে পুলিশ ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩২৩ (ইচ্ছাকৃত ভাবে মারধর) এবং ৫০৬ (অপরাধযোগ্য হুমকি। মেরে ফেলা অথবা গুরুতর জখম করার হুমকি) ধারায় মামলা করা হয়েছে। দু’টি ধারাই জামিনযোগ্য। পুলিশের দাবি, রাজমোহনবাবু যে এজাহার করেছেন, তাতে নিখিল নির্মলের বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে মারধর এবং হুমকিরই অভিযোগ ছিল। সেই অনুযায়ী ধারা দেওয়া হয়েছে।
সেই সঙ্গে ফালাকাটা থানায় পুলিশও স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে একটি মামলা করেছে। তাতে থানায় ঢুকে আটক এক ব্যক্তিকে জেলাশাসক ও তাঁর স্ত্রী মারধর করেছেন বলে উল্লেখ রয়েছে। সেটি এখনও জেনারেল ডায়েরি হিসেবে রাখা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রের খবর, উঁচুতলা থেকে নির্দেশ এলে, সেই অভিযোগের ভিত্তিতে নির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করা হতে পারে। সেক্ষেত্রে জামিন অযোগ্য ধারাতেই মামলা হতে পারে নিখিল নির্মল ও তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে। ফালাকাটা থানার আইসি-র সামনেই জেলাশাসক ও তাঁর স্ত্রী বিনোদবাবুকে মারধর করেছিলেন বলে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িেয় যাওয়া ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে। যে ভিডিয়োর সত্যাসত্য আনন্দবাজার যাচাই করেনি।
যাঁকে মারধর করা নিয়ে এই বিতর্ক, সেই বিনোদবাবু এ দিন দাবি করলেন, ‘‘আপাতত ক’দিন শান্তিতে থাকতে চাই।’’ গোটা দিন ফালাকাটার হরিনাথপুরের বাড়িতেই কাটিয়েছেন তিনি। বিনোদবাবু ২০০৭ সালে আলিপুরদুয়ারের বিবেকানন্দ কলেজে থেকে পাশ কোর্সে স্নাতক হয়েছেন। এখন তিনি সরকারি চাকরির পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। কিছু টিউশনও করেন।
রবিবার থেকে বিনোদকে ঘিরে একের পর এক বির্তক ঘুরপাক খেয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে আলিপুরদুয়ারের জেলাশাসক নিখিল নির্মলের স্ত্রীকে সোশ্যাল মিডিয়ায় অশালীন মন্তব্য করার অভিযোগ উঠেছিল। সেই অভিযোগে তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
বুধবার হাওড়া থেকে মানবাধিকার সংগঠনের একটি দল বিনোদবাবুর সঙ্গে দেখা করতে আসে। সংগঠনের তরফে বিনোদের পাশে দাঁড়ানোর বার্তা দেওয়া হয়েছে। সংগঠনের মুখপাত্র বলেন, “গোটা ঘটনায় বিনোদ মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন বলে শুনেছি। সে কারণেই পাশে দাঁড়াতে এসেছি। তিনি বা তাঁর পরিবার কোনও সাহায্য চাইলে আমরা পাশে দাঁড়াতে প্রস্তুত।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy