জল প্রকল্প উদ্বোধনের দুই বছর পার হয়ে গেলেও শুরু হয়নি জল সরবরাহ। অবিভক্ত জলপাইগুড়ি জেলার জেলা পরিষদের অর্থানুকুল্যে ২০১৫ মাদারিহাট-বীরপাড়া ব্লকের খয়েরবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতে পানীয় জল সরবরাহের জন্য জলাধার তৈরির কাজ শেষ হয়। ওই বছরেই সেপ্টেম্বর মাসে আলিপুরদুয়ারে সরকারি কাজে এসে রিমোটের মাধ্যমে জলাধারটি উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু উদ্বোধনের পর দু’বছর পার হতে চললেও পঞ্চায়েতে বাসিন্দারা এখনও বিশুদ্ধ পানীয় জল পাননি।
মাদারিহাট-বীরপাড়া পঞ্চায়েত সমিতি সূত্রে জানা গিয়েছে, মাদারিহাটের খয়েরবাড়ি পঞ্চায়েতের ২০ হাজারেরও বেশি বাসিন্দাদের পরিশুদ্ধ পানীয় জল দেওয়ার জন্য চার কোটি টাকার বেশি মঞ্জুর করে ২০১২ সালে কাজ শুরু করে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতর।
মূল জলাধারের এক কিলোমিটারের মধ্যে পৃথক দু’টি জল উত্তোলনকারী পাম্প বসিয়ে মূল জলাধারে তা পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়। মুখ্যমন্ত্রী উদ্বোধনের দু’দিন আগেই জল সরবরাহ ঠিক মত হচ্ছে কি না তা পরীক্ষা করে দেখে নিয়েছিলেন দফতরের বাস্তুকাররা। তখন ঠিকই জল সরবরাহ হচ্ছিল। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী উদ্বোধন করে চলে যাওয়ার পরদিন থেকেই উধাও হয়ে যায় জল সরবরাহ। যা আজ পর্যন্ত চালু হয়নি।
এলাকার সাধারণ বাসিন্দা থেকে রাজনৈতিক দলের কর্মি, তথা নেতারাও এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ। পঞ্চায়েতের ইসলামাবাদ, দক্ষিণ খয়েরবাড়ি, পশ্চিম খয়েরবাড়ি, ছেঁকামারি গ্রামের বাসিন্দা আসফুল আলম, মজিবুল হক বা মনি প্রধানেরা অভিযোগ করে জানান, “জল সরবরাহ নিয়ে জনস্বাস্থ্য দফতর আমাদের সঙ্গে ধোঁকা দিয়েছে। দু’বছর আগে উদ্বোধন ও সব কাজ শেষ হয়ে গেলেও আমরা জল পাচ্ছি না। নিম্নমানের পাইপ বসানোয় অনেক জায়গার পাইপ ফেটে যাচ্ছে। জনপ্রতিনিধিদের বললেও ওঁরা কোনও উত্তর দিতে পারছেন না।”
খয়েরবাড়ি পঞ্চায়েতের তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি বলেন, “জল সরবরাহ নিয়ে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতর কী শুরু করেছে বুঝতে পারছি না। উদ্বোধনের পরেও দু’বছর ধরে জল না পাওয়ায় আমরা জলস্বাস্থ্য দফতরের মন্ত্রীকেও চিঠি দিয়ে জল সরবরাহ চালু জন্য আবেদন জানিয়েছি।
এ ছাড়া জেলার নেতাদেরও বলেছি। গ্রাম পঞ্চায়েতের সব এলাকায় পাইপ এখনও বসানো শেষ হয়নি।” এ বিষয়ে আলিপুদুয়ার জেলা পরিষদের জনস্বাস্থ্য দফতরের কর্মাধ্যক্ষ রোশনি বাগোয়ার বলেন, “খুব দ্রুত জল সরবরাহ চালু করার জন্য জেলা পরিষদের সভাধিপতির সঙ্গে কথা বলব। জনস্বাস্থ্য দফতরের অফিসেও আবার চিঠি পাঠাব।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy