Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪
ন্যাক পরিদর্শন

ঝাঁ চকচকে ক্যাম্পাসেই কি শুধু মন ভরবে

ন্যাশনাল অ্যাসেসমেন্ট অ্যান্ড অ্যাক্রিডিটেশন কাউন্সিল (ন্যাক)-এর পরিদর্শন। তাই ঝাঁ চকচকে করে তোলা হয়েছিল উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস এবং বিভিন্ন বিভাগগুলি। ক্যাম্পাস থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় বিভিন্ন চা খাবারের অস্থায়ী দোকান।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ২২ নভেম্বর ২০১৬ ০১:৪২
Share: Save:

ন্যাশনাল অ্যাসেসমেন্ট অ্যান্ড অ্যাক্রিডিটেশন কাউন্সিল (ন্যাক)-এর পরিদর্শন। তাই ঝাঁ চকচকে করে তোলা হয়েছিল উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস এবং বিভিন্ন বিভাগগুলি। ক্যাম্পাস থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় বিভিন্ন চা খাবারের অস্থায়ী দোকান। সোমবার সকাল থেকেই ছয় সদস্যের প্রতিনিধি দল উপাচার্য ও বিভিন্ন বিভাগের প্রধানদের নিয়ে বৈঠক করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, বিজ্ঞান- কলা-বাণিজ্য ও আইন বিভাগের দুই ডিনের কাছে জানতে চান কী কী উল্লেখযোগ্য গবেষণার কাজ হয়েছে।

এ দিন ‘টি সায়েন্স’, উদ্ভিদবিদ্যা, ‘এমবিএ’, পদার্থবিদ্যা রসায়নের মতো বিভিন্ন বিভাগ ঘুরে বিস্তারিত খতিয়ে দেখেন প্রতিনিধি দলটি। উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগে ক্লাসে গিয়ে পড়ুয়াদের সঙ্গেও কথা বলেন। বিকেলের পদার্থবিদ্যা বিভাগে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মী, আধিকারিক এবং পড়ুয়াদের সঙ্গে প্রতিনিধি দলটি কথা বলবে বলে জানানো হয়। শিক্ষকদের একাংশের সঙ্গে সেখানে কথা বলেন তাঁরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি সূত্রেই জানা গিয়েছে, ৪০ জন পড়ুয়াকে সেখানে আনা হয়েছিল প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলার জন্য। এত কম পড়ুয়া আসায় তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন প্রতিনিধিরা। কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয় নিয়ম মাফিক ৪০-৫০ জন পড়ুয়াকে ডাকার কথা। সেই মতো ব্যবস্থা করা হয়েছিল।

এ দিন অধ্যাপক আর সি সোবটি’র নেতৃত্বে ছয় জনের প্রতিনিধি দল বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শন শুরু করে। অন্য প্রতিনিধিদের মধ্যে রয়েছেন এইচ পি মাথুর, সুরেশ ম্যাথিউ, রমেশ ডেনজে, যুগল কে মিশ্র এবং পি এস গ্রোভার। বুধবার পর্যন্ত পরিদর্শন চলবে। প্রতিনিধি দলের চেয়ারম্যান আর সি সোবটি বলেন, ‘‘বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে কী কী উল্লেখযোগ্য কাজ হয়েছে, কী ভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন ঘটবে সে ব্যাপারে জানতেই পরিদর্শনে আসা। পড়াশোনা এবং গবেষণার কাজে উন্নতি কী করে হবে সে সব
দেখা হচ্ছে।’’

শিক্ষক, ছাত্রদের একাংশের দাবি, শুধু ভবন তৈরি করে, রং করে ঝাঁ চকচকে করে তুললেই হবে না। বিভিন্ন বিভাগেই শিক্ষক, কর্মীর অভাব রয়েছে। টি সায়েন্সের মতো বিভাগে স্থায়ী শিক্ষকের ৬ টি পদের মধ্যে রয়েছেন মাত্র ২জন। আংশিক সময়ের জন্য নেওয়া চুক্তি ভিত্তিক শিক্ষক, অতিথি শিক্ষকদের দিয়ে ওই বিভাগ চলছে। শিক্ষক সমিতির একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, বিভিন্ন বিভাগ মিলিয়ে শিক্ষকের ১২৭ টি পদ শূন্য রয়েছে। শিক্ষা কর্মীর অনেক পদও খালি রয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

well decorated campus
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE