মঞ্চে: বিজেপির সভায় তাপস বর্মণ, রাজেশ সরকারের মা ও পরিজনেরা। ইসলামপুরে। নিজস্ব চিত্র
মঞ্চে বসে রয়েছেন রাজেশ সরকার ও তাপস বর্মণের পরিবারের লোকজনেরা। তাঁদের সামনেই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জেপি নাড্ডা প্রশ্ন তুললেন নিহত দুই তরুণের ময়নাতদন্ত নিয়ে। জানতে চাইলেন, গুলি কোথায় গেল? বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, কে গুলি চালাল, তাকে খুঁজে বার করা গেল না। কীসের ভরসায় অভিভাবকেরা বাচ্চাদের স্কুলে পাঠাবেন!
দাড়িভিট নিয়ে বিজেপি যে লাগাতার প্রচার চালাবে, সেটা এর মধ্যেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। বিজেপি নেতাদের সাহায্যে তাপস-রাজেশের বাবারা দিল্লি গিয়ে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করেছেন। দাড়িভিট ঘুরে গিয়েছেন দলের তফসিলি মোর্চার সভাপতি বিনোদ শঙ্কর। শুক্রবার শিলিগুড়িতে সভা করেছে এবিভিপি। এ দিন ইসলামপুরে সভা করেন জেপি নাড্ডা এবং দিলীপ ঘোষ। নাড্ডা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তো বটেই, তার সঙ্গে দলের উত্তরবঙ্গের পর্যবেক্ষক।
এ দিন মঞ্চ থেকে দু’জনই আক্রমণ শানালেন তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে। নাড্ডা বলেন, ‘‘সূর্যাস্তের পরে ময়নাতদন্ত করা হল কোন আইনে! গুলিই বা গেল কোথায়? গুলি পেলে অনেক কিছুই স্পষ্ট হয়ে যেত।’’
দিলীপ বলেন, ‘‘পড়ুয়ারা বাংলা, অঙ্ক, বিজ্ঞানের শিক্ষক চেয়েছিল। পরিবর্তে গুলি করেছে পুলিশ।’’ একই সঙ্গে জানান, তাঁরা চান স্কুল খুলুক। তবে তাঁর কথায়, ‘‘কীসের ভরসায় অভিভাবকরা বাচ্চাদের স্কুলে পাঠাবেন? কে গুলি চালাল, তাকে খুঁজে বার করে শাস্তিই তো দেওয়া হল না! তাই ভয় পাচ্ছেন অভিভাবকেরা, ফের যদি কিছু ঘটে।’’
সব গন্ডগোলের পিছনে তৃণমূলের পর্যবেক্ষক শুভেন্দু অধিকারীকে দায়ী করে দিলীপ বলেন, ‘‘দক্ষিণবঙ্গে এই ধরনের গন্ডগোল হলেও উত্তরবঙ্গ এত দিন শান্ত ছিল। এলাকায় রাজনৈতিক হিংসা নিয়ে এসেছেন শুভেন্দু অধিকারী।’’ জবাবে শুভেন্দু বলেন, ‘‘একটা সময়ে সিপিএমও এ সব কথা বলেছিল। মানুষ তাদের জবাব দিয়েছে। কয়েক মাস পরে দিলীপবাবুরাও জবাব পেয়ে যাবেন।’’ তাঁর কথায়, ‘‘এ দিন যেখানে দিলীপবাবুরা সভা করেছেন, লক্ষ্মীপুজো মিটে গেলে আমরাও সেখানে সভা করব। আর ওঁদের দশ গুণ লোক আনব।’’
ইসলামপুরের বিধায়ক কানাইয়ালাল অগ্রবাল বলেন, ‘‘এলাকায় সন্ত্রাস তো বিজেপি করছে। আগে ইসলামপুরে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল অনেক ধর্মঘট করেছে। কিন্তু এই অভিজ্ঞতা এখানে আগে হয়নি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy