Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

পণের দাবিতে খুন, কারাদণ্ডের সাজা রায়গঞ্জে

পণের দাবিতে দীর্ঘ দিন নির্যাতন করে এক বধূকে শ্বাসরোধ করে খুনের দায়ে স্বামী ও শাশুড়িকে ১০ বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দিল রায়গঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা আদালত (ফাস্টট্র্যাক টু)। শুক্রবার বিকেলে বিচারক সুলগ্না ঘোষ দস্তিদার (চট্টরাজ) ওই নির্দেশ দেন। আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, সাজাপ্রাপ্তদের নাম গুলসাদ আলি ও গুলেনুর খাতুন। তাদের বাড়ি উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জ থানার আটিয়ার এলাকায়।

নিজস্ব সংবাদদাতা
রায়গঞ্জ শেষ আপডেট: ১১ এপ্রিল ২০১৫ ০৩:০৬
Share: Save:

পণের দাবিতে দীর্ঘ দিন নির্যাতন করে এক বধূকে শ্বাসরোধ করে খুনের দায়ে স্বামী ও শাশুড়িকে ১০ বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দিল রায়গঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা আদালত (ফাস্টট্র্যাক টু)। শুক্রবার বিকেলে বিচারক সুলগ্না ঘোষ দস্তিদার (চট্টরাজ) ওই নির্দেশ দেন। আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, সাজাপ্রাপ্তদের নাম গুলসাদ আলি ও গুলেনুর খাতুন। তাদের বাড়ি উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জ থানার আটিয়ার এলাকায়। বুধবার আদালত তাদের দোষী সাব্যস্ত করে জেল হেফাজতে পাঠায়। সরকারি আইনজীবী স্বরূপ বিশ্বাস বলেন, ‘‘প্রায় ছয় বছর আদালতে মামলা চলার পর পুলিশ, চিকিৎসক ও প্রতিবেশী-সহ মোট ১০ জনের সাক্ষী ও উপযুক্ত তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে গুলসাদ ও তার মা গুলেনুর দোষী প্রমাণিত হয়েছে।’’

আদালত সূত্রের খবর, মৃত ওই বধূর নাম তাজনেহার খাতুন (২৩)। ২০০৫ সালে পেশায় ভ্যানচালক গুলসাদের সঙ্গে কালিয়াগঞ্জ থানার দেলওয়ারপুর এলাকার বাসিন্দা তাজনেহারের বিয়ে হয়। তাজনেহারের কোনও সন্তান নেই। ২০০৯ সালের ২৩ জুন সন্ধ্যায় শ্বশুর বাড়িতে শোওয়ার ঘরের টিনের চালার বাঁশের সিলিং থেকে গলায় দড়ির ফাঁস লাগানো অবস্থায় তাজনেহারের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

ঘটনার পর মৃতার বাবা পেশায় চাষি মহিবুর হোসেন কালিয়াগঞ্জ থানায় গুলসাদ ও গুলেনুরের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করেন। তাঁর অভিযোগ ছিল, বিয়ের পর থেকেই স্বামী ও শাশুড়ি বাপের বাড়ি থেকে পণ হিসেবে মোটা টাকা চেয়ে তাজনেহারের উপরে নির্যাতন চালাত। শেষ পর্যন্ত টাকা না পেয়ে অভিযুক্তেরা তাজনেহারকে শ্বাসরোধ করে খুন করে। অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ গুলসাদ ও গুলেনুরের বিরুদ্ধে বধূ নির্যাতন ও খুনের অভিযোগে ৪৯৮(বি) ও ৩০৬ ধারায় মামলা দায়ের করে।

ঘটনার তিন দিন পর ২০০৯ সালের ২৬ জুন গুলেনুর আদালতে আত্মসমর্পণ করলেও গুলসাদ পালিয়ে যায়। প্রায় ছয় মাস ফেরার থাকার পর ২০০৯ সালের ২৫ ডিসেম্বর পুলিশ বাড়ি থেকেই গুলসাদকে গ্রেফতার করে। আদালতের নির্দেশে দু’জনেই প্রায় তিন মাস করে জেল হেফাজতে থাকার পর জামিনে ছাড়া পায়। মামলা চলাকালীন ২০১১ সালে শাহানাজ খাতুন নামে প্রতিবেশি এক তরুণীকে গুলসাদ বিয়ে করে। বর্তমানে তাঁদের তিন ও দুই বছর বয়সী এক মেয়ে ও এক ছেলেও রয়েছে। সাজাপ্রাপ্তদের আইনজীবী পাভেল আলির দাবি, ‘‘সাজাপ্রাপ্তরা নির্দোষ। তাদের পরিবার চাইলে এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে গিয়ে জামিনের আবেদন করা হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE