সভার প্রস্তুতি। নিজস্ব চিত্র
বৃহস্পতিবার গঙ্গারামপুর স্টেডিয়ামে যুব তৃণমূলের সর্বভারতীয় সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনসভা। তাকে কেন্দ্র করে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে ইতিমধ্যেই চাপানউতোর শুরু হয়েছে। সাংগঠনিক পদে কোনও পরিবর্তন বা রদবদল অভিষেক করছেন কিনা, সে দিকে দুই গোষ্ঠীই তাকিয়ে রয়েছে।
তৃণমূলের একদা জেলা সভাপতি বিপ্লব মিত্র দল ছেড়ে গত লোকসভা ভোটের পরে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। গত অগস্ট মাসে সেই বিপ্লব আবার তৃণমূলে ফিরে আসেন। কিন্তু তার পর থেকে তিনি দলে কোনও পদ না পেয়ে কার্যত ‘রিজ়ার্ভ বেঞ্চে’ বসে রয়েছেন। বিভিন্ন সময়ে বিপ্লবকে ‘জেলা সভাপতি’ করা হচ্ছে এমনটাও জেলায় শোনা গিয়েছিল। কিন্তু আজ পর্যন্ত জেলা সভাপতি দূরের কথা সাংগঠনিক কোনও দায়িত্বও তাঁকে দেওয়া হয়নি। ফলে কার্যত হতাশ বিপ্লব গোষ্ঠী। এমন আবহে অভিষেকের এই সভাকে নিয়ে বিপ্লব গোষ্ঠী ‘আশার আলো’ দেখছেন বলে খবর।
বিপ্লব গোষ্ঠীর এক নেতা বলেন, ‘‘দীর্ঘ দিন দাদাকে বসিয়ে রাখা হয়েছে। সামনে ভোট। এ বার দাদাকে ঠিক পদ দেবে দল।’’ তবে এখনও পর্যন্ত বিপ্লব নিজেও জানেন না তাকে কি আদৌ কোনও পদ দেওয়া হবে কিনা। বিপ্লব বলেন, ‘‘এসব আমার জানার বিষয় নয়। দল আমাকে এই জনসভা করার দায়িত্ব দিয়েছে। আমি সেই সভা সফল করতে আপ্রাণ চেষ্টা করছি।’’
অন্য দিকে জেলা সভাপতি গৌতম দাস ও বাকি জেলা নেতৃত্বও আজ অভিষেক কি বলেন সে দিকে তাকিয়ে রয়েছেন। দলীয় সূত্রে খবর, বিপ্লবকে পদ দেওয়া হলে বাকি নেতৃত্ব ‘চাপে’ পড়ে যাবে। ওই গোষ্ঠী চাইছে, বিপ্লবকে ‘নিয়ন্ত্রণকারী’ কোনও পদ যাতে না দেওয়া হয়। গৌতম অবশ্য বলেন, ‘‘পদ দেওয়ার বিষয়টি রাজ্য নেতৃত্বের উপর নির্ভর করে। আমরা আপাতত জনসভা সফল করা নিয়ে ব্যস্ত।’’
তবে দলের একাংশ জানাচ্ছেন, মালদহে সম্প্রতি মোয়াজ্জেম হোসেন, সমর মুখোপাধ্যায়দের নিয়ে তিন সদস্যদের নির্বাচনী কোর গ্রুপ গঠন করা হয়েছে। এমন গ্রুপ দক্ষিণ দিনাজপুরে নেই। বিপ্লবকে এমন কোনও গ্রুপের দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে। তবে, জেলা সভাপতি পরিবর্তন করে বিপ্লবকে সেই পদে ফেরানোর সম্ভাবনা নেই বলেই খবর। এখন দেখার দুই গোষ্ঠীর ভারসাম্য রক্ষা করে সংগঠন শক্তিশালী করতে কিভাবে বিপ্লবকে ‘ব্যবহার’ করেন অভিষেক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy