খুশি সাবিনা। নিজস্ব চিত্র
অবশেষে সন্তানকে নিয়ে বাড়ি ফিরলেন সাবিনা খাতুন। গত ৮ জুন তাঁর হাতেই ভুল করে অন্য এক মহিলার মৃত সন্তান তুলে দেওয়াকে কেন্দ্র করে হইচই হয়েছিল রায়গঞ্জ সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। পরে অবশ্য নিজেদের ভুল শুধরে নেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। শনিবার রাতে করণদিঘঘির রসাখোয়ায় বুড়িহানের বাড়িতে ফেরেন সাবিনা। রবিবার তিনি বলেন,‘‘ আল্লা আমাকে খুশি করেছেন। না হলে এ ছেলেকে কোলে ফিরে পেতাম না।’’ এ দিন আত্মীয়স্বজনেরা বাড়িতে এসে দেখে গিয়েছেন তাঁর ছেলেকে। খুশি তাঁর স্বামী তথা পেশায় দিনমজুর কুতুব আলিও।
গত ৭ জুন প্রসূতি সাবিনা রসাখোয়া স্বাস্থ্য কেন্দ্রে একটি শিশুপুত্রের জন্ম দেন। সদ্যোজাত অসুস্থ হওয়ায় তাকে রায়গঞ্জ সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে রেফার করা হয়। শিশুটিকে ৮ জুন দুপুরে রায়গঞ্জের হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। বিকেল ৪টে নাগাদ তাঁর শিশুপুত্র মারা গিয়েছে বলে বিহারের ঘোরাটিয়া বাসিন্দা সাবানা খাতুনের মৃত সন্তান তাঁকে দেওয়া হয়েছিল। মৃত সন্তানটিকে ওই রাতে বাড়িতে এনে সমাহিত করে সাবিনার পরিবার। পরে জানা যায়, সেটি সাবিনার সন্তানই নয়। হাসপাতালে নার্সদের ভুলে শিশু বদল হয়েছে। খবর পেয়ে হাসপাতালে যান সাবিনা। তবে জানানো হয়, বেঁচে থাকলেও তাঁর সন্তানের জন্ডিস হয়েছে। পরে চিকিৎসকেরা উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে শিশুটিকে রেফার করেন। ১৩ জুন উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সাবিনার মামা মহম্মদ রফিক আলি জানান, শনিবার সন্ধ্যায় উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালের চিকিৎসক ছুটি দেন।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, সাবানা খাতুন গত ৬ জুন সন্ধ্যায় রায়গঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি হন। রাতে তিনি শিশুপুত্রের জন্ম দেন। অসুস্থ শিশুটি ৮ জুন বিকেলে মারা যায়। রায়গঞ্জ জেলা হাসপাতালে ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পরে মারা যান সাবানাও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy