পরীক্ষার্থী: সন্তান কোলে পরীক্ষায়। —নিজস্ব চিত্র।
মাত্র তিন দিন আগেই প্রসবের মাত্র এক ঘণ্টার মধ্যেই হাসপাতালের শয্যায় বসে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছিলেন মোথাবাড়ির বাসিন্দা মোবিনা খাতুন। এ বারে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে সন্তান প্রসব করার পরেও মনের জোরে পরীক্ষা দিলেন মালদহের গাজলের বাসিন্দা উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী মাচকুড়া বেগম। মঙ্গলবার মালদহের এক বেসরকারি নার্সিংহোমে বসেই সদ্যোজাত পুত্র সন্তানকে কোলে নিয়ে ইতিহাস পরীক্ষা দিলেন তিনি। তাঁর অদ্যম ইচ্ছা শক্তিকে কুর্নিশ জানিয়েছেন নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ।
তবে নাবালিকার বিয়ে রুখতে প্রচার থেকে শুরু করে কন্যাশ্রী, রুপশ্রীর মতো প্রকল্প চালু করা হয়েছে। তারপরেও সন্তান প্রসব করে পরীক্ষা দেওয়ার ঘটনা জেলাতে অব্যাহত থাকায় উদ্বিগ্ন স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারা। তাঁদের দাবি, নাবালিকা মেয়ের বিয়ে সংখ্যা কমলেও এখনও চুপিসারে বিয়ে হয়ে যাচ্ছে নাবালিকাদের একাংশের।
যার প্রমাণ পরীক্ষা চলাকালীন পরীক্ষার্থীদের সন্তান প্রসবের ঘটনা। যদিও নাবালিকা বিয়ের সংখ্যা জেলায় অনেক কমেছে বলে দাবি প্রশাসনের কর্তাদের। দু’বছর আগে গাজলের ২১ মাইল এলাকার বাসিন্দা পেশায় সার ব্যবসায়ী আব্দুল মাবুদের সঙ্গে বিয়ে হয় সাহাজাদপুর গ্রামপঞ্চায়েতের খেজুরতলা গ্রামের বাসিন্দা মাচকুড়ার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy