আর কিছু দিন পরেই ভিনরাজ্য থেকে বাড়ি ফিরবেন স্বামী। ফেরার সময় তাঁকে একটা স্মার্টফোন কিনে আনতে বলেছিলেন স্ত্রী। অভিযোগ, সেই আবদার শুনে তাঁকে ফোনে বকাবকি করেছিলেন স্বামী। তার পরেই স্ত্রী ঘরে রাখা কীটনাশক খেয়ে ফেলেন বলে পুলিশ জানিয়েছে। অসুস্থ অবস্থায় পরে হাসপাতালে ওই মহিলার মৃত্যু হয়। মালদহের পুখুরিয়ার স্বর্ণকারপাড়ার ঘটনা।
পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম অষ্টমী স্বর্ণকার (৩৬)। বিষক্রিয়ায় অসুস্থ অষ্টমীকে প্রথমে আড়াইডাঙা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। পরিস্থিতি খারাপ হওয়ায় রাতেই তাঁকে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করানো হয়। সেখানেই ভোররাতে তিনি মারা যান। পুখুরিয়ার ওসি অভিষেক তালুকদার বলেন, ‘‘স্বামী মোবাইল না দিতে চাওয়ায় ওই মহিলা আত্মঘাতী হয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে মনে হচ্ছে। একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা করে দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে।’’
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, অষ্টমীর স্বামী গণেশ স্বর্ণকার ভিনরাজ্যে শ্রমিকের কাজ করেন। তাঁদের এক ছেলে ও তিন মেয়ে। ছবি তোলার জন্য মোবাইল কিনে দেওয়ার জন্য স্বামীর কাছে দীর্ঘদিন ধরেই আবদার জানাচ্ছিলেন অষ্টমী। কিছুদিন পর গণেশের বাড়ি ফেরার কথা। তাই রবিবার সন্ধ্যায় গণেশকে টেলিফোন করে তাঁর জন্য একটা স্মার্টফোন কিনে নিয়ে আসার কথা জানান অষ্টমী। কিন্তু মোবাইল কিনে দিতে পারবেন না জানিয়ে স্ত্রীকে বকাবকি করেন গণেশ। ছেলেমেয়েদেরও সেই কথা জানান তিনি। তার কিছু ক্ষণ পরেই ওই মহিলা বিষক্রিয়ায় ছটফট করতে থাকেন বলে পরিজনদের সূত্রে জানতে পেরেছে পুলিশ। জমিতে দেওয়ার জন্য বাড়িতে কীটনাশক রাখা ছিল। সেটাই খেয়ে ওই মহিলা আত্মঘাতী হয়েছেন বলে প্রাথমিক ভাবে সন্দেহ করছে পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy