আদিবাসী এক মহিলাকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ উঠল প্রতিবেশী এক যুবকের বিরুদ্ধে। বুধবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে মালদহের হবিবপুর থানার কানতুর্কা গ্রামে। অভিযোগ, ওই রাতে স্বামীর অনুপস্থিতির সুযোগে ওই মহিলাকে জোর করে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায় ওই যুবক। এরপর পাশেই সর্ষের ক্ষেতে তাঁকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়। বাধা দেওয়ায় ওই মহিলাকে হাঁসুয়া দিয়ে কুপিয়ে খুনের চেষ্টা করে অভিযুক্ত। মহিলা চিৎকার করতেই পালিয়ে যায় ওই যুবক। গ্রামবাসীরাই জখম বধূকে উদ্ধার করে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করান। পরে হবিবপুর থানায় ওই যুবকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন ওই মহিলা। পুলিশ জানিয়েছে, ওই ঘটনায় ওই যুবকের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে। আপাতত তার খোঁজ চলছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ৩০ বছর বয়সী আদিবাসী ওই মহিলা তার চার ও পাঁচ বছরের দুই ছেলেমেয়েকে নিয়ে বাড়িতে একাই থাকেন। তাঁর স্বামী তিনমাস আগে দিল্লিতে শ্রমিকের কাজে গিয়েছেন। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানিয়েছে, মুখে আঘাত থাকায় ওই মহিলা এখনও ভাল করে কথা বলতে পারছেন না। তাঁর উপর নির্যাতন চালানো হলেও ধর্ষণ করা হয়েছে কিনা তা এখন পরিষ্কার নয়। তাঁর মেডিক্যাল পরীক্ষা করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
ওই মহিলার এক আত্মীয় জানিয়েছেন, বুধবার রাতে ছেলেমেয়েকে নিয়ে বাড়িতে একাই ঘুমিয়েছিলেন ওই মহিলা। সেই সময় অভিযুক্ত যুবক দরজা ভেঙে তার ঘরে ঢোকে। মহিলার অভিযোগ, ওই যুবক তাঁর মুখ চেপে ধরে পাশের সর্ষের ক্ষেতে তুলে নিয়ে যায়। সেখানে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। সেই সময় মহিলা বাধা দিলে অভিযুক্ত ধারাল হাঁসুয়া দিয়ে তাঁর মুখে কোপ দেয়। মহিলা চিৎকার করলে প্রতিবেশীরা ছুটে যায়। পালিয়ে যায় সেই যুবক।
অভিযুক্তের পরিবারের দাবি, ওই যুবককে ফাঁসানো হচ্ছে। হবিবপুর থানার পুলিশ জানিয়েছে, এক মহিলার উপর নির্যাতন এবং ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ দায়ের হয়েছে। পুরো বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy