এক অটোচালক এবং তাঁর স্ত্রীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে তাঁরই সতীর্থদের বিরুদ্ধে। শনিবার সকালে নিজের অটোতে ছেলেকে স্কুলে পৌঁছে দিতে যাওয়ার সময়ে কয়েক জন অটোচালক তাঁকে এবং তাঁর স্ত্রীকে মারধর করে বলে অভিযোগ। পারমিট ছাড়াই অন্য রুটে অটো চালানোর অভিযোগে তাঁকে মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন। শান্তিনগরের বাসিন্দা পল্লব রায়। তাঁর দাবি, ছেলেকে স্কুলে পৌঁছে দিতে স্ত্রীকেও সঙ্গে নিয়েছিলেন তিনি। সে সময়ে এলাকার কয়েক জন অটোচালক তাঁর গাড়ি আটকে পারমিট ছাড়া যে কোনও রুটে অটো চালানো যাবে না বলে দাবি করেন। পল্লববাবুর অভিযোগ, যাত্রী নয়, স্ত্রী এবং ছেলেকে নিয়ে যাচ্ছেন বলেও হামলাকারীরা কোনও কিছু শুনতে না না চেয়ে তাঁকে এবং তাঁর স্ত্রীকে মারধর করে বলে অভিযোগ। পল্লববাবুর স্ত্রী মমতা দেবীর মাথা ফেটে গিয়েছে। শিলিগুড়ি হাসপাতাল থেকে প্রাথমিক চিকিৎসার পরে মমতা দেবীকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনায় শিলিগুড়ি থানায় অভিযোগ করেছেন আক্রান্ত অটোচালক। শিলিগুড়ি পুলিশের এডিসিপি ভোলানাথ পান্ডে বলেন, “অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা করা হয়েছে। তদন্ত চলছে।”
যাত্রী তোলা নিয়ে বিভিন্ন রুটে অটোচালকদের একাংশের দাদাগিরির অভিযোগ শিলিগুড়িতে কোনও নতুন ঘটনা নয়। বছরখানেক আগে এক পুলিশ কর্মীকেই মারধরের অভিযোগ উঠেছিল অটোচালকদের বিরুদ্ধে। শিলিগুড়ির সব অটো সংগঠনই বর্তমানে তৃণমূলের ছত্রছায়ায় রয়েছে। এ দিনের ঘটনাকে সংগঠনের তরফে অবশ্য দুই অটোচালকের মধ্যে মারপিটের ঘটনা বলে দাবি করা হয়েছে।
শান্তিনগর এলাকার বাসিন্দা পল্লববাবুর অটো শিলিগুড়ি-বাগডোগরা রুটে চলাচল করে। এ দিন বাড়ি থেকে বের হয়ে, ছেলেকে স্কুলে পৌঁছে দিতে ডাবগ্রামের দিকে তিনি অটো নিয়ে রওনা হন বলে দাবি। এই রাস্তাটি তার অটোর রুটে না পড়ায় স্থানীয় অটোচালকরা তাঁকে আটকে মারধর করে বলে অভিযোগ। থানায় দায়ের করা অভিযোগে অবশ্য একজনের নামই উল্লেখ্য করেছেন পল্লববাবু। তাঁর অভিযোগ, “স্ত্রী, ছেলেকে নিয়ে যাচ্ছি বললেও কেউ শোনেনি। কয়েকজন স্থায়ী অটোচালক আমাকে বাধা দেয়। ওদের মধ্যে একজন আমাকে এবং স্ত্রীকে মারধর করেছে।”
যদিও, জলেশ্বরীর অটোচালকদের একাংশ বলেন, যাত্রী তোলা নিয়ে পল্লববাবু এবং অন্য এক অটোচালকের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়। সে সময় পল্লববাবুর স্ত্রী বাধা দিতে এলে ধাক্কা খেয়ে তিনি পড়ে যান। তৃণমূল অটো ওয়ার্কাস ইউনিয়নের কোর্ট মোড় শাখার কার্যকরী সভাপতি প্রসূন দাশগুপ্ত বলেন, “ঘটনাটি শুনেছি। পুরো বিষয়টি খোঁজ নিচ্ছি। যদি কেউ দোষী হন তবে সংগঠনের তরফেও পদক্ষেপ করা হবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy