চুক্তি মতো জিটিএকে রাজ্য সরকার দফতর হস্তান্তর করছে না বলে কেন্দ্রীয় সরকারকে নালিশ জানাবেন জিটিএ-র প্রতিনিধিরা।
বৃহস্পতিবার নর্থ ব্লকে সচিব পর্যায়ের ত্রিপাক্ষিক বৈঠকে যোগ দিতে মঙ্গলবারই দিল্লি রওনা দিয়েছেন জিটিএ-এর প্রতিনিধিরা। রাজ্যের তরফেও সচিবরা ত্রিপাক্ষিক বৈঠকে থাকবেন। ত্রিপাক্ষিক বৈঠকে মূলত কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে দাবি-দাওয়া জানানোর কথা জিটিএ-এর তরফে সরকারি ভাবে জানানো হয়েছে। যদিও, মোর্চা সূত্রের খবর, চুক্তি মতো দফতর হস্তান্তর করা নিয়ে রাজ্যের তরফে টালবাহানা করার অভিযোগ, বিস্তারিত ভাবে বৈঠকে জানানো হবে। ২০১১ সালের আগে পৃথক গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে আন্দোলনের সময়ে মোর্চা নেতা-কর্মীদের নামে থাকা ফৌজদারি মামলাগুলি প্রত্যাহার নিয়েও রাজ্য সরকার চুক্তিমতো পদক্ষেপ করছে না বলেও বৈঠকে নালিশ জানানো হবে বলে জানা গিয়েছে।
গত সপ্তাহেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে জিটিএ সদস্য তথা মোর্চার সাধারণ সম্পাদক রোশন গিরির নেতৃত্বে জিটিএ-এর প্রতিনিধি দল বৈঠক করেছেন। মুখ্যমন্ত্রীর পাহাড় সফর চলাকালীন জিটিএ-এর তরফে দেখা করতে চাওয়ায়, গত ২২ জানুয়ারি মুখ্যমন্ত্রী জিটিএ-এর প্রতিনিধি দলকে রিচমন্ড হিলে ডেকে পাঠান। বৈঠক থেকে বেরিয়ে রাজ্য সরকার চুক্তিমতো কাজ করছে না বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন রোশনরা। দফতর হস্তান্তর সহ একাধিক বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সৌহার্দ্যপূর্ণ আলোচনা হয়েছে বলে জানালেও, রোশন প্রশ্ন তোলেন, কতদিন আর বৈঠক চলবে। আশ্বাস নয়, তাঁরা পদক্ষেপ চান বলেও দাবি করেছিলেন। সে দিন-ই ত্রিপাক্ষিক বৈঠকের কথা জানানো হয়েছিল জিটিএ-এর তরফে।
এ দিন দিল্লি রওনা দেওয়ার আগে রোশন বলেন, “ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত ব্যবস্থা কায়েম করা, কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন সহ নানা দাবি-দাওয়া ত্রিপাক্ষিক বৈঠকে রাখা হবে। মোর্চা নেতাদের নামে মামলা প্রত্যাহার সহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ও বৈঠকে জিটিএ-এর তরফে তোলা হবে।” মোর্চা সূত্রের খবর, চুক্তিমতো ভূমি ও ভূমি রাজস্ব, খাদ্য ও সরবারহ, সমবায়, আবগারি, পূর্ত এবং তথ্য সংস্কৃতির মতো দফতর হাতে না আসায়, জিটিএ-এর কাজ পরিচালনায় কী সমস্যা হচ্ছে, তা বৈঠকে জানানো হবে। সংরক্ষিত বনাঞ্চলও হস্তান্তর করার দাবি বৈঠকে জানাবে জিটিএ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy