(বাঁ দিকে) ধুপগুড়িতে গোলমালের পরে পুলিশি প্রহরা। (ডান দিকে) জখম এক ছাত্র। —নিজস্ব চিত্র।
ছাত্র সংসদের ভোটের মনোনয়নপত্র তোলাকে কেন্দ্র করে বচসা থেকে হাতাহাতি, পাথর-বৃষ্টিও হল। জাতীয় সড়ক অবরোধও হল কয়েক ঘণ্টা। বুধবার সকাল থেকে প্রায় দিনভর এমনই ঘটল জলপাইগুড়ির নানা এলাকায়। সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে ছাত্রদের ধাক্কাধাক্কিতে ধূপগুড়িতে এক পুলিশ কর্মী জখম হয়েছেন। তাঁর নাম দীনবন্ধু রায়। এ ছাড়াও বিভিন্ন কলেজে জখম হন ১৬ জন ছাত্রছাত্রী। তাঁদের প্রাথমিক চিকিৎসার পড়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। আজ, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত চলবে মনোনয়নপত্র বিলির কাজ।
জলপাইগুড়ি জেলার ৭টি কলেজে আগামী ২৮ জানুয়ারি ছাত্র সংসদ নির্বাচন। কলেজগুলি হল--জলপাইগুড়ি আনন্দচন্দ্র কলেজ, আনন্দচন্দ্র কলেজ অব কমার্স, জলপাইগুড়ি আইন কলেজ, প্রসন্নদেব মহিলা কলেজ, ময়নাগুড়ি কলেজ, ধূপগুড়ি সুকান্ত মহাবিদ্যালয় এবং মালবাজার পরিমল মিত্র মহাবিদ্যালয়। এসএফআই, ডিএসও, অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ এবং ছাত্র পরিষদের অভিযোগ, চারটি কলেজে তাঁদের সমর্থক ছাত্র ছাত্রীরা মনোনয়ন পত্র তুলতে গেলে মারধর করে তাড়িয়ে দেয় তৃণমূল ছাত্র পরিষদ সমর্থকরা। কয়েকটি কলেজে মনোনয়নপত্র কেড়ে ছিঁড়ে ফেলা হয়। এসএফআই-এর জেলা সম্পাদক অঞ্জন সেনের অভিযোগ, “কলেজগুলিতে সন্ত্রাস চালাচ্ছে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। মনোনয়ন পত্র তুলতে দেওয়া হচ্ছে না। কেউ তুললে সেটা ছিঁড়ে মেরে তাড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। তাই নির্বাচন বাতিলের দাবি তোলা হয়েছে।” জেলা ছাত্র পরিষদ সভাপতি প্রদীপ্ত দাস এবং ডিএসও সভাপতি সুজয় লোধ অভিযোগ করেন, ছাত্র সংসদ নির্বাচনের নামে প্রহসন চলছে। বিদ্যার্থী পরিষদের নেতা আগুন রায় বলেন, “বিভিন্ন কলেজে প্রশাসন এবং পুলিশের কর্তাদের সামনে বিরোধীদের উপরে হামলা চালায় তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।”
যদিও জেলা তৃণমূল ছাত্র পরিষদ সভাপতি অভিজিৎ সিংহ দাবি করেন, গণতান্ত্রিক পরিবেশে মনোনয়নপত্র সংগ্রহের প্রক্রিয়া চলছে। প্রতিটি ছাত্র সংগঠন শান্তিপূর্ণ ভাবে মনোনয়নপত্র তুলছে বলেও তাঁর দাবি। তৃণমূল ছাত্র পরিষদ বিরোধী ছাত্র সংগঠনগুলি সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন ছাত্র পরিষদ, ডিএসও সামান্য কিছু মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করতে সক্ষম হয়েছে।
কলেজগুলিতে সন্ত্রাসের অভিযোগ অস্বীকার করেন জেলা পুলিশ সুপার কুণাল অগ্রবাল। তিনি দাবি করেন, প্রতিটি কলেজে পর্যাপ্ত পুলিশ, র্যাফ মোতায়েন করা হয়েছে। কোনও সমস্যা হয়নি। জলপাইগুড়ির মহকুমাশাসক সীমা হালদার বলেন, “বিক্ষিপ্ত কিছু ঘটনা ঘটলেও মনোনয়ন পত্র সবাই তুলছে। বাধা পাচ্ছে অথবা মনোনয়ন পত্র ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে ওই ধরনের কোনও অভিযোগ পাইনি।” কিন্তু বিরোধী ছাত্র সংগঠনগুলির অভিযোগ, সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ মনোনয়ন পত্র দেওয়া শুরু হতে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সমর্থকরা জলপাইগুড়ি আনন্দচন্দ্র কলেজ, প্রসন্নদেব মহিলা কলেজ, ধূপগুড়ি সুকান্ত মহাবিদ্যালয় এবং মালবাজার পরিমল মিত্র মহাবিদ্যালয় চত্বর নিজেদের দখলে নিয়ে নেয়। বিরোধীদের মারধর করে তাড়িয়ে দেওয়া হয়।
ধূপগুড়ি সুকান্ত মহাবিদ্যালয়ে এসএফআই সমর্থকরা জোর করে কলেজ চত্বরে ঢুকতে গেলে শুরু হয় সংঘর্ষ। সঙ্গে পাথর বৃষ্টি। উত্তেজনা চরমে পৌঁছয়। ১১ জন এসএফআই সমর্থক জখম হন। তাঁদের দু’জনের মাথা ফাটে। সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে ছাত্রদের ধাক্কাধাক্কিতে এক পুলিশ কর্মী জখম হন। ঘটনার পরে নির্বাচন বাতিলের দাবিতে ধূপগুড়ি কলেজ সংলগ্ন এলাকায় ৩১ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে এসএফআই। বেলা আড়াইটা পর্যন্ত অবরোধের ফলে যানজটে জেরবার হতে হয় পথচারীদের। একই দাবিতে শহরের চৌপথী সংলগ্ন পৃথক দু’টি এলাকায় ৩১ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ এবং ডিএসও। বিকেল চারটে পর্যন্ত ওই অবরোধ চলে। পরিস্থিতি সামাল দিতে ছুটে বেড়াতে হয় স্থানীয় বিডিও সৌমেন দূতরাজকে।
প্রসন্নদেব মহিলা কলেজে বাঁশের ব্যারিকেড করা মনোনয়ন পত্র তোলার লাইনের জায়গা আটকে রাখার অভিযোগ ওঠে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের বিরুদ্ধে। মনোনয়ন পত্র কেড়ে নেওয়ায় অভিযোগ তুলে কলেজ চত্বরে ক্ষোভে ফেটে পড়েন ডিএসও সমর্থকরা। পরিস্থিতি সামাল দিতে সেখানে যান মহকুমাশাসক। মনোনয়ন পত্র কেড়ে, ছিঁড়ে মারধর করে তাড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ তুলে আনন্দচন্দ্র কলেজের সামনে পথ অবরোধ করে এসএফআই। অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের অভিযোগ, মালবাজার পরিমল মিত্র কলেজে মনোনয়ন পত্র তুলতে গেলে তাঁদের চার জন সমর্থককে পিটিয়ে তাড়িয়ে দেয় তৃণমূল ছাত্র পরিষদ সদস্যেরা। কলেজে সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলে বিকেলে জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানা মোড়ে পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান এসএফআই সমর্থকরা। সংগঠনের তরফে কোতোয়ালি এবং ধূপগুড়ি থানায় তৃণমূল ছাত্র পরিষদের বিরুদ্ধে হামলা চালানো এবং মনোনয়ন পত্র ছিনতাই করে ছিঁড়ে ফেলার অভিযোগ দায়ের করা হয়।
মালবাজার পরিমল মিত্র স্মৃতি কলেজে মনোনয়নপত্র তোলার প্রথম দিনে একচ্ছত্র ভাবে তৃণমূল ছাত্র পরিষদই দাপিয়ে বেড়াল। বিজেপি-র ছাত্র সংগঠন অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের তরফে ছাত্রেরা কলেজে মনোনয়নপত্র তুলতে আসলে তাঁদের কলেজে ঢোকার ৫০০ মিটার আগেই সোনগাছি চা বাগানের মোড় থেকেই তৃণমূল কংগ্রেস সমর্থকেরা তাড়িয়ে দেয় বলেও অভিযোগ। কলেজ থেকে ২০০ মিটার দূরে বাস দাঁড় করানোর নিয়ম। কিন্তু তৃণমূল ছাত্রপরিষদের উদ্যোগে কলেজ থেকে আরও দূরে বাস দাঁড় করিয়ে বাসে অন্য সংগঠনের প্রতিনিধিরা রয়েছেন কি না, তা দেখা হয়েছে বলে অভিযোগ। কলেজের শিক্ষক-শিক্ষিকারাও দূরে বাস দাঁড় করানো নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। কোনও ছাত্র সংগঠনের নাম না করেও অধ্যক্ষা নন্দিতা সরকারের কাছে লিখিত আকারে বাস দূরে দাঁড় করানোর সমস্যাটি জানান তাঁরা।
এবিভিপি-র মালবাজার টাউন কমিটির প্রচার সচিব বিন্দু দত্ত বলেন, “গণতন্ত্রের নামে প্রহসন হয়েছে। মালবাজারে পুলিশ নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে। মহকুমাশাসককে পুরো বিষয়টি লিখিত আকারে জানানোও হয়েছে।” বিজেপি-র জেলা কমিটির যুব নেতা জয়ন্ত চক্রবর্তী বলেন, “জেলা জুড়ে তৃণমূল পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে কলেজ দখল করতে চাইছে। আমরা এর প্রতিবাদে সরব হব। বিজেপি-র জেলা কমিটির আরেক নেতা আব্দুল কালাম আজাদ বলেন, “কিছু মাস বাদেই মালবাজারে পুরভোট। তাই গণতন্ত্রকে বিকল করে দেবার যে চেষ্টা তৃণমূল করছে তা কলেজ নির্বাচন থেকেই তারা শুরু করে দিল।” সরব হয়েছেন আদিবাসী নেতা জন বারলাও। মনোনয়ন পত্র তোলার প্রথম দিনের শেষে মোট ৮৭টি মনোনয়নপত্র তোলা হয়েছে বলে মালবাজারের মহকুমাশাসক জানান। তিনি দাবি করেন, পুলিশী ব্যবস্থার কোনই খামতি নেই। প্রয়োজনে বৃহস্পতিবারে তা আরও বাড়ানোও হবে।
ছাত্র সংসদের ভোটের মনোনয়নপত্র তোলাকে কেন্দ্র করে বচসা থেকে হাতাহাতি, পাথর-বৃষ্টিও হল। জাতীয় সড়ক অবরোধও হল কয়েক ঘণ্টা। বুধবার সকাল থেকে প্রায় দিনভর এমনই ঘটল জলপাইগুড়ির নানা এলাকায়। সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে ছাত্রদের ধাক্কাধাক্কিতে ধূপগুড়িতে এক পুলিশ কর্মী জখম হয়েছেন। তাঁর নাম দীনবন্ধু রায়। এ ছাড়াও বিভিন্ন কলেজে জখম হন ১৬ জন ছাত্রছাত্রী। তাঁদের প্রাথমিক চিকিৎসার পড়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। আজ, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত চলবে মনোনয়নপত্র বিলির কাজ।
জলপাইগুড়ি জেলার ৭টি কলেজে আগামী ২৮ জানুয়ারি ছাত্র সংসদ নির্বাচন। কলেজগুলি হল--জলপাইগুড়ি আনন্দচন্দ্র কলেজ, আনন্দচন্দ্র কলেজ অব কমার্স, জলপাইগুড়ি আইন কলেজ, প্রসন্নদেব মহিলা কলেজ, ময়নাগুড়ি কলেজ, ধূপগুড়ি সুকান্ত মহাবিদ্যালয় এবং মালবাজার পরিমল মিত্র মহাবিদ্যালয়। এসএফআই, ডিএসও, অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ এবং ছাত্র পরিষদের অভিযোগ, চারটি কলেজে তাঁদের সমর্থক ছাত্র ছাত্রীরা মনোনয়ন পত্র তুলতে গেলে মারধর করে তাড়িয়ে দেয় তৃণমূল ছাত্র পরিষদ সমর্থকরা। কয়েকটি কলেজে মনোনয়নপত্র কেড়ে ছিঁড়ে ফেলা হয়। এসএফআই-এর জেলা সম্পাদক অঞ্জন সেনের অভিযোগ, “কলেজগুলিতে সন্ত্রাস চালাচ্ছে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। মনোনয়ন পত্র তুলতে দেওয়া হচ্ছে না। কেউ তুললে সেটা ছিঁড়ে মেরে তাড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। তাই নির্বাচন বাতিলের দাবি তোলা হয়েছে।” জেলা ছাত্র পরিষদ সভাপতি প্রদীপ্ত দাস এবং ডিএসও সভাপতি সুজয় লোধ অভিযোগ করেন, ছাত্র সংসদ নির্বাচনের নামে প্রহসন চলছে। বিদ্যার্থী পরিষদের নেতা আগুন রায় বলেন, “বিভিন্ন কলেজে প্রশাসন এবং পুলিশের কর্তাদের সামনে বিরোধীদের উপরে হামলা চালায় তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।”
যদিও জেলা তৃণমূল ছাত্র পরিষদ সভাপতি অভিজিৎ সিংহ দাবি করেন, গণতান্ত্রিক পরিবেশে মনোনয়নপত্র সংগ্রহের প্রক্রিয়া চলছে। প্রতিটি ছাত্র সংগঠন শান্তিপূর্ণ ভাবে মনোনয়নপত্র তুলছে বলেও তাঁর দাবি। তৃণমূল ছাত্র পরিষদ বিরোধী ছাত্র সংগঠনগুলি সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন ছাত্র পরিষদ, ডিএসও সামান্য কিছু মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করতে সক্ষম হয়েছে।
কলেজগুলিতে সন্ত্রাসের অভিযোগ অস্বীকার করেন জেলা পুলিশ সুপার কুণাল অগ্রবাল। তিনি দাবি করেন, প্রতিটি কলেজে পর্যাপ্ত পুলিশ, র্যাফ মোতায়েন করা হয়েছে। কোনও সমস্যা হয়নি। জলপাইগুড়ির মহকুমাশাসক সীমা হালদার বলেন, “বিক্ষিপ্ত কিছু ঘটনা ঘটলেও মনোনয়ন পত্র সবাই তুলছে। বাধা পাচ্ছে অথবা মনোনয়ন পত্র ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে ওই ধরনের কোনও অভিযোগ পাইনি।” কিন্তু বিরোধী ছাত্র সংগঠনগুলির অভিযোগ, সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ মনোনয়ন পত্র দেওয়া শুরু হতে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সমর্থকরা জলপাইগুড়ি আনন্দচন্দ্র কলেজ, প্রসন্নদেব মহিলা কলেজ, ধূপগুড়ি সুকান্ত মহাবিদ্যালয় এবং মালবাজার পরিমল মিত্র মহাবিদ্যালয় চত্বর নিজেদের দখলে নিয়ে নেয়। বিরোধীদের মারধর করে তাড়িয়ে দেওয়া হয়।
ধূপগুড়ি সুকান্ত মহাবিদ্যালয়ে এসএফআই সমর্থকরা জোর করে কলেজ চত্বরে ঢুকতে গেলে শুরু হয় সংঘর্ষ। সঙ্গে পাথর বৃষ্টি। উত্তেজনা চরমে পৌঁছয়। ১১ জন এসএফআই সমর্থক জখম হন। তাঁদের দু’জনের মাথা ফাটে। সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে ছাত্রদের ধাক্কাধাক্কিতে এক পুলিশ কর্মী জখম হন। ঘটনার পরে নির্বাচন বাতিলের দাবিতে ধূপগুড়ি কলেজ সংলগ্ন এলাকায় ৩১ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে এসএফআই। বেলা আড়াইটা পর্যন্ত অবরোধের ফলে যানজটে জেরবার হতে হয় পথচারীদের। একই দাবিতে শহরের চৌপথী সংলগ্ন পৃথক দু’টি এলাকায় ৩১ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ এবং ডিএসও। বিকেল চারটে পর্যন্ত ওই অবরোধ চলে। পরিস্থিতি সামাল দিতে ছুটে বেড়াতে হয় স্থানীয় বিডিও সৌমেন দূতরাজকে।
প্রসন্নদেব মহিলা কলেজে বাঁশের ব্যারিকেড করা মনোনয়ন পত্র তোলার লাইনের জায়গা আটকে রাখার অভিযোগ ওঠে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের বিরুদ্ধে। মনোনয়ন পত্র কেড়ে নেওয়ায় অভিযোগ তুলে কলেজ চত্বরে ক্ষোভে ফেটে পড়েন ডিএসও সমর্থকরা। পরিস্থিতি সামাল দিতে সেখানে যান মহকুমাশাসক। মনোনয়ন পত্র কেড়ে, ছিঁড়ে মারধর করে তাড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ তুলে আনন্দচন্দ্র কলেজের সামনে পথ অবরোধ করে এসএফআই। অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের অভিযোগ, মালবাজার পরিমল মিত্র কলেজে মনোনয়ন পত্র তুলতে গেলে তাঁদের চার জন সমর্থককে পিটিয়ে তাড়িয়ে দেয় তৃণমূল ছাত্র পরিষদ সদস্যেরা। কলেজে সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলে বিকেলে জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানা মোড়ে পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান এসএফআই সমর্থকরা। সংগঠনের তরফে কোতোয়ালি এবং ধূপগুড়ি থানায় তৃণমূল ছাত্র পরিষদের বিরুদ্ধে হামলা চালানো এবং মনোনয়ন পত্র ছিনতাই করে ছিঁড়ে ফেলার অভিযোগ দায়ের করা হয়।
মালবাজার পরিমল মিত্র স্মৃতি কলেজে মনোনয়নপত্র তোলার প্রথম দিনে একচ্ছত্র ভাবে তৃণমূল ছাত্র পরিষদই দাপিয়ে বেড়াল। বিজেপি-র ছাত্র সংগঠন অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের তরফে ছাত্রেরা কলেজে মনোনয়নপত্র তুলতে আসলে তাঁদের কলেজে ঢোকার ৫০০ মিটার আগেই সোনগাছি চা বাগানের মোড় থেকেই তৃণমূল কংগ্রেস সমর্থকেরা তাড়িয়ে দেয় বলেও অভিযোগ। কলেজ থেকে ২০০ মিটার দূরে বাস দাঁড় করানোর নিয়ম। কিন্তু তৃণমূল ছাত্রপরিষদের উদ্যোগে কলেজ থেকে আরও দূরে বাস দাঁড় করিয়ে বাসে অন্য সংগঠনের প্রতিনিধিরা রয়েছেন কি না, তা দেখা হয়েছে বলে অভিযোগ। কলেজের শিক্ষক-শিক্ষিকারাও দূরে বাস দাঁড় করানো নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। কোনও ছাত্র সংগঠনের নাম না করেও অধ্যক্ষা নন্দিতা সরকারের কাছে লিখিত আকারে বাস দূরে দাঁড় করানোর সমস্যাটি জানান তাঁরা।
এবিভিপি-র মালবাজার টাউন কমিটির প্রচার সচিব বিন্দু দত্ত বলেন, “গণতন্ত্রের নামে প্রহসন হয়েছে। মালবাজারে পুলিশ নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে। মহকুমাশাসককে পুরো বিষয়টি লিখিত আকারে জানানোও হয়েছে।” বিজেপি-র জেলা কমিটির যুব নেতা জয়ন্ত চক্রবর্তী বলেন, “জেলা জুড়ে তৃণমূল পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে কলেজ দখল করতে চাইছে। আমরা এর প্রতিবাদে সরব হব। বিজেপি-র জেলা কমিটির আরেক নেতা আব্দুল কালাম আজাদ বলেন, “কিছু মাস বাদেই মালবাজারে পুরভোট। তাই গণতন্ত্রকে বিকল করে দেবার যে চেষ্টা তৃণমূল করছে তা কলেজ নির্বাচন থেকেই তারা শুরু করে দিল।” সরব হয়েছেন আদিবাসী নেতা জন বারলাও। মনোনয়ন পত্র তোলার প্রথম দিনের শেষে মোট ৮৭টি মনোনয়নপত্র তোলা হয়েছে বলে মালবাজারের মহকুমাশাসক জানান। তিনি দাবি করেন, পুলিশী ব্যবস্থার কোনই খামতি নেই। প্রয়োজনে বৃহস্পতিবারে তা আরও বাড়ানোও হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy