ছাত্র সংসদ নির্বাচনের নামে প্রহসনের অভিযোগ তুলে সরব হল জলপাইগুড়ির বিরোধী ছাত্র সংগঠনগুলি। আগামী ২৮ জানুয়ারি জেলার ৭টি কলেজ ছাত্র সংসদ ভোট রয়েছে। গত বুধবার থেকে মনোনয়ন বিলির কাজ শুরু হতে জেলার বিভিন্ন কলেজ চত্বরে হাতাহাতি, সংঘর্ষের অভিযোগ ওঠে। শনিবার মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার শেষ দিনে রক্তাক্ত হয় ময়নাগুড়ি কলেজ চত্বর। অভিযোগ, শাসক দলের নেতা-নেত্রীরা বহিরাগতদের নিয়ে এসে জড়ো করে। তৃণমূল বিরোধী ছাত্র সংগঠনগুলির অভিযোগ, ৪টি কলেজে মনোনয়ন পত্র তুলতে দেওয়া হয়নি। যে তিনটি কলেজে বিরোধীরা মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করে জমা দিতে পেরেছেন, সেখানেও টিএমসিপি ইতিমধ্যেই সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে গিয়েছে বলে বিরোধীদের দাবি।
টিএমসিপির জেলা সভাপতি অভিজিত্ সিংহ দাবি করেন, “সাংগঠনিক শক্তি নেই। তাই বিরোধীরা প্রার্থী দিতে পারেনি। আমরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চারটি কলেজ দখল করেছি। তিনটি কলেজের কয়েকটি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হলেও সেখানে জয় সুনিশ্চিত।” জেলা তৃণমূল ছাত্র পরিষদ নেতৃত্বের ওই দাবি শুনে জেলা এসএফআই সম্পাদক অঞ্জন সেনের পাল্টা অভিযোগ, “ভোটে জিতে ছাত্র সংসদ দখলের মতো শক্তি নেই বুঝে ছাত্র সংগঠনকে সামনে রেখে জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব পরিকল্পনা মাফিক কলেজগুলিকে বিরোধীশূন্য করার কাজ করেছে। না হলে কলেজ ভোট সামলাতে দলের বিধায়ক, যুব নেতা, শ্রমিক নেতাদের দেখা যাবে কেন।”
এবিভিপির জেলা কমিটির আহ্বায়ক দীপক দাসের বক্তব্য, “কলেজে ছাত্র সংসদ নির্বাচন করবে ছাত্ররা। ভোট হলে হার নিশ্চিত বুঝেই সশস্ত্র সমাজবিরোধীদের একজোট করে ওরা নির্বাচন প্রক্রিয়া ভণ্ডুল করেছে। ” তবে জেলার ছাত্র এবং অভিভাবকদের সামনে সংগঠনকে তুলে ধরার কাজ অনেকটা সফল হয়েছে বলে এবিভিপির দাবি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy