Advertisement
২৩ এপ্রিল ২০২৪

দুষ্কৃতী-বিবাদে জাতীয় সড়কে বোমাবাজি কালিয়াচকে

দুষ্কৃতীদের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে তোলাবাজি নিয়ে বিবাদ। তার জেরে জাতীয় সড়কের আশপাশে বোমাবাজি চলায় আতঙ্ক ছড়াল যাত্রীদের মধ্যে। রবিবার মালদহের কালিয়াচকে প্রায় ঘণ্টাখানেক এই বোমাবাজি চলায় জাতীয় সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। চরম বিপাকে পড়ে যাত্রীরা। এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পরে কালিয়াচক থানার পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কালিয়াচকের সুলতানগঞ্জ এলাকায় কয়লার গাড়ি থেকে স্থানীয় কিছু যুবক নিয়মিত তোলা আদায় করে।

জাতীয় সড়কে নিরাপত্তারক্ষীদের টহল। নিজস্ব চিত্র।

জাতীয় সড়কে নিরাপত্তারক্ষীদের টহল। নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
মালদহ শেষ আপডেট: ১৯ জানুয়ারি ২০১৫ ০১:১৩
Share: Save:

দুষ্কৃতীদের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে তোলাবাজি নিয়ে বিবাদ। তার জেরে জাতীয় সড়কের আশপাশে বোমাবাজি চলায় আতঙ্ক ছড়াল যাত্রীদের মধ্যে।

রবিবার মালদহের কালিয়াচকে প্রায় ঘণ্টাখানেক এই বোমাবাজি চলায় জাতীয় সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। চরম বিপাকে পড়ে যাত্রীরা। এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পরে কালিয়াচক থানার পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কালিয়াচকের সুলতানগঞ্জ এলাকায় কয়লার গাড়ি থেকে স্থানীয় কিছু যুবক নিয়মিত তোলা আদায় করে। এই কয়লার গাড়িগুলি আসানসোল ও রানিগঞ্জ থেকে আসে। অভিযোগ, গাড়িগুলির মধ্যে অতিরিক্ত কয়লা মজুত থাকে। এছাড়া বহু গাড়ির কাগজপত্রও ঠিকঠাক থাকে না। এর সুবাদে স্থানীয় দুষ্কৃতীরা এর সুযোগে তোলা আদায় করে। সম্প্রতি ওই দলটি দুটি ভাগে বিভক্ত হয়ে গিয়েছে। তাই তোলা আদায় কোন গোষ্ঠী করবে তা নিয়ে তাদের মধ্যে বিরোধ শুরু হয়েছে।

বাসিন্দারা জানান, এ দিন সকাল সাড়ে ৮টা থেকেই দুই দলের মধ্যে ব্যপক বোমাবাজি শুরু হয়। প্রায় ঘণ্টাখানেক ধরে চলে বোমাবাজি। তবে বোমার আঘাতে কেউ জখম হয়নি বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। সকাল বেলায় এমন ঘটনা ঘটায় বাসিন্দারা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। ডিএসপি সিদ্ধার্থ দর্জি বিশাল পুলিশ বাহিনী নিয়ে গিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করেন।

এ দিন তোলা আদায়কে কেন্দ্র করে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষের শুরু হয় কালিয়াচক থানার সুলতানগঞ্জ এলাকায়। সকাল থেকেই দুই গোষ্ঠীর সদস্যরা ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর ব্যাপক বোমাবাজি করে বলে অভিযোগ। বোমাবাজির বাজির ঘটনায় দুষ্কৃতীরা তৃণমূল আশ্রিত বলে দাবি স্থানীয় বাসিন্দাদের।

যদিও জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব এই অভিযোগ মানতে নারাজ। কালিয়াচক-১ ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কংগ্রেসের ফারানা বিবি’র অভিযোগ, “তোলা আদায়কে নিয়ে দুই দুষ্কৃতী দলের মধ্যে বোমাবাজি হয়েছে। প্রত্যেকেই তৃণমূল আশ্রিত। পুলিশও একাংশ জড়িত থাকায় তোলাবাজদের দৌরাত্ম্য বাড়ছে।” তৃণমূলের জেলা সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, “দুষ্কৃতীরা কোন দলের হয় না। ঘটনাটি দুই দুষ্কৃতীদের দলের। এমন ঘটনাকে আমাদের দল কখনও প্রশয় দেয় না।”

পুলিশ সুপার প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “কী কারনে গোলমাল তার রিপোর্ট এখনও পাইনি। ঘটনাটি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

agitation malda bomb
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE