Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

ফাঁকা মাঠে সভা করল সিপিএম

কথা ছিল, দুপুর দু’টোয় সভা শুরু হবে। কিন্তু তখন মাঠের অর্ধেকও ভরেনি। তাই টানা দেড় ঘণ্টা মঞ্চে বিভিন্ন গণসংগঠনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানই দেখলেন সিপিএমের রাজ্য এবং জেলা নেতারা। সাড়ে তিনটের দিকে ভিড় কিছুটা জমলে দক্ষিণ দিনাজপুরের জেলা সিপিএমের সম্মেলনের মঞ্চে একে একে উঠলেন রাজ্য নেতা তথা প্রাক্তন মন্ত্রী মানব মুখোপাধ্যায়, সাংসদ মহম্মদ সেলিম, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নৃপেন চৌধুরী-সহ জেলা নেতৃত্বরা।

অনুপরতন মোহান্ত
বুনিয়াদপুর শেষ আপডেট: ০৪ জানুয়ারি ২০১৫ ০০:০৩
Share: Save:

কথা ছিল, দুপুর দু’টোয় সভা শুরু হবে। কিন্তু তখন মাঠের অর্ধেকও ভরেনি। তাই টানা দেড় ঘণ্টা মঞ্চে বিভিন্ন গণসংগঠনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানই দেখলেন সিপিএমের রাজ্য এবং জেলা নেতারা। সাড়ে তিনটের দিকে ভিড় কিছুটা জমলে দক্ষিণ দিনাজপুরের জেলা সিপিএমের সম্মেলনের মঞ্চে একে একে উঠলেন রাজ্য নেতা তথা প্রাক্তন মন্ত্রী মানব মুখোপাধ্যায়, সাংসদ মহম্মদ সেলিম, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নৃপেন চৌধুরী-সহ জেলা নেতৃত্বরা। শনিবার দক্ষিণ দিনাজপুরের বুনিয়াদপুর হাইস্কুল মাঠে সিপিএমের ২১ তম জেলা সম্মেলনের প্রকাশ্য সভা অনুষ্ঠিত হয়। সিপিএমের সম্মেলনের প্রকাশ্য সভায় সেই চেনা ভিড় উধাও। তবে মাঠে তুলনামুলক পাতলা ভিড় দেখেই রাজ্য ও জেলা নেতারা খুশি। প্রাক্তন মন্ত্রী মানব মুখোপাধ্যায় তো বক্তৃতার শুরুতে বলেই ফেললেন, “সাড়ে ৩ বছরে রাজ্যে অন্ধকারের রাজত্ব চলছে। তবে পুব দিকে নতুন আলো দেখা যাচ্ছে।” জেলা সম্পাদক মানবেশ চৌধুরীর কথায়, “গত রাত থেকে ঠান্ডা বাতাস বইছে। কখনও টিপটিপ বৃষ্টি শুরু হয়েছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগকে উপেক্ষা করে হিলি থেকে কুশমন্ডির গ্রাম থেকে সাধারণ মানুষ ভিড় করেছেন।” অন্তত ১০ হাজার মানুষ এ দিনের সমাবেশে হাজির ছিলেন বলে জেলা নেতৃত্ব দাবি করেছেন। যদিও একান্তে তা মানতে চাননি।

এ দিন অবশ্য সারদা কাণ্ড থেকে কেন্দ্রীয় নীতি, সব বিষয়েই আক্রমণ শানিয়েছেন সিপিএম নেতারা। সিবিআই সারদা কাণ্ডে তৃণমূলের নেতা মন্ত্রীকে গ্রেফতার করায় তাঁরা খুশি বলে জানিয়েছেন মানববাবু। তিনি বলেন “মুখ্যমন্ত্রী বিজেপিকে প্রকাশ্যে গালি দিলেও দিল্লিতে ম্যানেজ করার আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছেন।” সাংসদ মহম্মদ সেলিমও বক্তৃতা করেন এ দিন। যদিও কর্মীদের একাংশের দাবি, প্রকাশ্য সভা থেকে দলের নেতৃত্ব নতুন কোনও দিশা দেখাতে পারেননি।

দেড় ঘণ্টার বক্তৃতা সেরে সিপিএম নেতৃত্ব যখন মঞ্চ ছাড়লেন, তখন সন্ধে নেমেছে। কর্মী-সমর্থকদের ফিরতে সময় লাগেনি। যা দেখে দলের একাংশের দাবি, দিনকাল আগের মতো নেই। তাই অনেকের উৎসাহও নেই।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE