Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

ফাঁসির সাজাপ্রাপ্ত যুবক বেকসুর খালাস হাইকোর্টে

কোচবিহারের এক তরুণীকে ধর্ষণ করে খুনের দায়ে ফাঁসির সাজাপ্রাপ্ত এক যুবককে শুক্রবার বেকসুর মুক্তি দিল কলকাতা হাইকোর্ট। এ দিন হাইকোর্টের বিচারপতি অসীম রায় ওই ঘটনায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত অন্য এক যুবককেও বেকসুর মুক্তি দিয়েছেন। কোচবিহার জেলা আদালত অমল বিশ্বাসকে ফাঁসির সাজা দিয়েছিল। যাবজ্জীবন কারাবাসের নির্দেশ দেওয়া হয় নিবারণ মণ্ডল নামে এক যুবককে। দু’জনে কোচবিহারের বাসিন্দা।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা ও কোচবিহার শেষ আপডেট: ১০ জানুয়ারি ২০১৫ ০২:৩৫
Share: Save:

কোচবিহারের এক তরুণীকে ধর্ষণ করে খুনের দায়ে ফাঁসির সাজাপ্রাপ্ত এক যুবককে শুক্রবার বেকসুর মুক্তি দিল কলকাতা হাইকোর্ট। এ দিন হাইকোর্টের বিচারপতি অসীম রায় ওই ঘটনায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত অন্য এক যুবককেও বেকসুর মুক্তি দিয়েছেন। কোচবিহার জেলা আদালত অমল বিশ্বাসকে ফাঁসির সাজা দিয়েছিল। যাবজ্জীবন কারাবাসের নির্দেশ দেওয়া হয় নিবারণ মণ্ডল নামে এক যুবককে। দু’জনে কোচবিহারের বাসিন্দা।

পুলিশ জানায়, ২০১০ সালের ১০ নভেম্বর সকালে তোর্সা নদীর তীরে ওই তরুণীর মৃতদেহ উদ্ধার হয়। তরুণীর বাবা তাঁর মেয়েকে শনাক্ত করেন। মৃতদেহের ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে পুলিশ জানতে পারে, ওই তরুণীকে ধর্ষণ করার পরে তাঁকে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে। তার ভিত্তিতে খুনের মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছিল কোচবিহার জেলা পুলিশ।

পুলিশ জানায়, মৃতদেহ উদ্ধারের সময় নদীর তীর থেকে ওই তরুণীর ব্যাগও উদ্ধার হয়েছিল। তার ভিতর থেকে মেলে তরুণীর মোবাইল ফোন। ফোনের কল ডিটেলস থেকে পুলিশ জানতে পারে, মৃত্যুর আগে অমল ও নিবারণের সঙ্গে ফোনে একাধিক বার যোগাযোগ হয়েছিল ওই তরুণীর। পুলিশ তদন্তে এও জানতে পারে, মৃতদেহ উদ্ধারের আগে ৭ নভেম্বর কলকাতার একটি অতিথিশালায় উঠেছিল তিনজন। কিন্তু সেখানে ওই তরুণী তাঁর আসল পরিচয় জানাননি। ওই অতিথিশালার মালিক পুলিশকে জানান, তাঁর হোটেলের একটি ঘরে অমল একা ছিল। নিবারণের সঙ্গে অন্য একটি ঘরে ছিল ওই তরুণী। হোটেল মালিক পুলিশকে আরও জানান, তিনজনেই তাঁর হোটেল থেকে ৮ নভেম্বর চলে যান।

তার ভিত্তিতেই ওই দুই যুবককে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। নিম্ন আদালত গত বছরের ২১ ফেব্রুয়ারি তাঁদের সাজা ঘোষণা করে।

ওই দুই যুবকের আইনজীবী অরূপ চট্টোপাধ্যায় এবং প্রভাস ভট্টাচার্য জানান, নিম্ন আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে মামলা দায়ের করে জানানো হয়, কলকাতার হোটেলে থাকার সঙ্গে খুনের কোনও সম্পর্ক নেই। দোষীরা কলকাতা হোটেল ছেড়েছিলেন ৮ নভেম্বর। কিন্তু মৃতদেহ মেলে তার দু’দিন পরে। ওই দু’দিনে ওই তরুণীর সঙ্গে ওই দুই যুবক ছিলেন কি না, তার কোনও প্রমাণ তদন্তকারী অফিসার দাখিল করতে পারেননি। তরুণীর যেখানে মৃতদেহ পড়েছিল, সেই নদীর তীরে ওই দুই যুবকের পায়ের ছাপও খুঁজে পায়নি পুলিশ। তরুণীর গলায় শ্বাসরোধের ছাপ থাকলেও ছাপ ওই দুই যুবকের নয়। কখন ওই তরুণীর মৃত্যু হয়েছে তাও পুলিশ জানাতে পারেনি। কাজেই অমল ও নিবারণ যে খুনের ঘটনায় জড়িত তা বলা যায় না।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

rape coochbehar high court
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE