বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাসের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের এক প্রধানের শ্যালিকার ছেলের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার ইসলামপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করে নবম শ্রেনীর ছাত্রী ওই তরুণী। ওই ছাত্রী জানিয়েছে, প্রায় দু’বছর ধরে পেশায় মোবাইল দোকানের মালিক পড়শি ওই যুবকের সঙ্গে তার প্রেম ঘটিত সম্পর্ক ছিল। ওই যুবক তাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ধর্ষণ করে। এর পর দুই পরিবারের মধ্যে বিয়ে দেওয়া হবে বলে ঠিকও হয়। কিন্তু ওই যুবক তাকে বিয়ে না করেই পালিয়ে যায়। পুলিশের কাছে তার লিখিত অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেছেন, ওই যুবক গত ১৪ জুন তাকে তাঁর দোকানের মধ্যেই ধর্ষণ করে। এর পরই সে বিয়েতে রাজি হলেও, পরে বিয়ে না করেই পালিয়ে যায় সে। ইসলামপুরের এসডিপিও বৈভব তিওয়ারি বলেন, “ওই তরুণীর পুরোনো প্রেমঘটিত সম্পর্ক ছিল বলে সে উল্লেখ করেছে তার অভিযোগে। অভিযোগ পেয়েই তাকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। এখনও পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয়নি। অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে।”
ওই ছাত্রীর পরিবারের লোকেদের দাবি, ওই যুবককে পণ্ডিতপোতা ১ গ্রামপঞ্চায়েত তৃণমূলের প্রধান সাবির আলম ও এলাকার তৃণমূলের নেতারা মদত দিচ্ছেন। তাদের মদতেই গ্রাম ছেড়েছে অভিযুক্ত ওই যুবক। তাদের দাবি, সহবাসের বিষয়টি জানাজানি হতেই দুই পরিবারের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে বিয়েও ঠিক হয়। তবে এক মাস আগে হঠাৎই সে গা ঢাকা দিয়েছে। ওই ছাত্রীর দাদা অবশ্য জানিয়েছেন, তিনিও তৃণমূলের কর্মী। এমনকী ইসলামপুর কলেজের তৃণমূল ছাত্র সংসদের প্রতিনিধিও তিনি। কংগ্রেস সদস্যদের দাবি, তৃণমূল করলেও বিষয়টি নিয়ে রাজ্যের জনশিক্ষা ও গ্রন্থাগারমন্ত্রী আবদুল করিম চৌধুরীকে জানালেও তিনি বিষয়টি নিয়ে কোনও ব্যবস্থাই নেননি।
ওই ছাত্রী বলেন, “আমার সঙ্গে প্রেম ঘটিত সম্পর্ক ছিল। বার বার বিভিন্ন জায়গায় সহবাস করেছে। বিয়ে করতেও চাইলেও এখন বিষয়টি অস্বীকার করে চম্পট দিয়েছে।” অভিযুক্ত যুবকের পিসেমশাই তথা পণ্ডিতপোতা ১ এর তৃণমূলের প্রধান সাবির আলমের দাবি, তাঁর শ্যালিকার ছেলেকে ফাঁসানো হয়েছে। মন্ত্রী অবদুল করিম চৌধুরীকে বারবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy