জলপাইগুড়ি জেলার ৪টি কলেজে মনোনয়ন পত্র তুলতে পারলেন না তৃণমূল ছাত্র পরিষদ বিরোধী ছাত্র সংগঠনের সমর্থকরা। আজ, শুক্রবার থেকে শুরু হবে মনোনয়ন পত্র জমা নেয়ার কাজ। চলবে শনিবার পর্যন্ত। বিরোধী ছাত্র সংগঠনের নেতৃত্বের আশঙ্কা যে তিনটি কলেজে তাঁদের সমর্থকরা মনোনয়ন পত্র তুলেছেন শেষ পর্যন্ত তাঁরা জমা করতে পারবেন কিনা। বৃহস্পতিবার টিএমসিপির বিরুদ্ধে কলেজগুলিতে সন্ত্রাস চালানোর অভিযোগ এসএফআই-র পক্ষ থেকে জেলা পুলিশ কর্তাদের কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হয়।
২৮ জানুয়ারি জেলার ৭টি কলেজ ছাত্র সংসদ ভোট হওয়ার কথা। গত বুধবার থেকে মনোনয়ন বিলির কাজ শুরু হতে জেলার বিভিন্ন কলেজ প্রাঙ্গণ রণক্ষেত্রের চেহারা নেয়। এক পুলিশ কর্মী সহ ১৭ জন জখম হয়। দফায় দফায় জাতীয় সড়ক অবরোধ চলে। বৃহস্পতিবার শেষ দিনে সংঘর্ষের ঘটনা না ঘটলেও বিরোধী ছাত্র সংগঠনগুলির অভিযোগ, পাঁচটি কলেজে তাঁদের সমর্থকদের মনোনয়ন পত্র তুলতে দেওয়া হয়নি। এসএফআইর জেলা সম্পাদক অঞ্জন সেন বলেন, “ভোট প্রক্রিয়ার নামে প্রহসন চলছে। সংগঠনের পক্ষ থেকে পুরো ভোট প্রক্রিয়া বাতিলের দাবি জানানো হয়েছে।” একই অভিযোগ জেলা ছাত্র পরিষদ সভাপতি প্রদীপ্ত দাসেরও। অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের জেলা আহ্বায়ক দীপক দাস অভিযোগ করে বলেন, “বৃহস্পতিবার আমাদের সমর্থক ছাত্ররা মনোনয়ন পত্র তুলতে গেলে বাধার মুখে পড়ে ফিরে যেতে বাধ্য হয়েছেন। বৃহস্পতিবারও ধূপগুড়ি সুকান্ত মহাবিদ্যালয়ে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ কর্মীদের হামলায় ৮ জন সমর্থক জখম হয়।” যদিও সন্ত্রাসের অভিযোগ অস্বীকার করেন জেলা তৃণমূল ছাত্র পরিষদ সভাপতি অভিজিৎ সিংহ। তিনি দাবি করে বলেন, “জেলার পাঁচটি কলেজে বিরোধীদের অস্তিত্ব নেই। ওঁরা প্রার্থী খুঁজে পায়নি। তার জন্য আমরা কী করতে পারি।”
জলপাইগুড়ির যে ৭টি কলেজে আগামী ২৮ জানুয়ারি ছাত্র সংসদ নির্বাচন হচ্ছে সেগুলি হল হল--জলপাইগুড়ি আনন্দচন্দ্র কলেজ, আনন্দচন্দ্র কলেজ অব কমার্স, জলপাইগুড়ি আইন কলেজ, প্রসন্নদেব মহিলা কলেজ, ময়নাগুড়ি কলেজ, ধূপগুড়ি সুকান্ত মহাবিদ্যালয় এবং মালবাজার পরিমল মিত্র স্মৃতি মহাবিদ্যালয়। বিরোধীরা জানান, আনন্দচন্দ্র কলেজে মোট আসন ৫২টি। বিরোধীদের মধ্যে শুধুমাত্র ছাত্র পরিষদ ১২টি মনোনয়ন পত্র তুলেছে। প্রসন্নদেব মহিলা কলেজে আসন সংখ্যা ৪১টি। শুধুমাত্র ডিএসও ১২টি মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছে। ময়নাগুড়ি কলেজে ৩১টি আসনের প্রতিটি ছাত্র সংগঠন মনোনয়নপত্র সংগ্রহের সুযোগ পেয়েছে এসএফআই। জেলা পুলিশ সুপার কুণাল অগ্রবাল বলেন, “কোথাও অশান্তির খবর নেই।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy