প্রতীকী ছবি
বাঁকুড়ার করোনা-আক্রান্ত কিশোরের সংস্পর্শে আসা ১৬ জনকে চিহ্নিত করে পাঠানো হল ‘কোয়রান্টিন’-এ।
শুক্রবার রাতেই করোনা- আক্রান্ত এক কিশোরের খোঁজ মেলে পাত্রসায়রে। আদপে পূর্ব বর্ধমানের খণ্ডঘোষের বাসিন্দা বছর পনেরোর ওই কিশোর কলকাতার আমর্হার্স্ট স্ট্রিটে রাজমিস্ত্রির জোগাড়ের কাজে গিয়েছিল। গত ১৩ মে সে পাত্রসায়র এলাকায় মামার বাড়িতে ফেরে। করোনা- সংক্রমণের নিরিখে ‘রেড জোন’ থেকে আসায় স্বাস্থ্য দফতর ওই কিশোরের লালারস সংগ্রহ করে কলকাতার ‘স্কুল অব ট্রপিক্যাল মেডিসিন’-এ পরীক্ষার জন্য পাঠায়। জানা যায়, সে করোনা-আক্রান্ত।
বিষ্ণুপুর স্বাস্থ্য জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক জগন্নাথ সরকার বলেন, “আক্রান্ত কিশোরের সংস্পর্শে আসা ১৬ জনকে চিহ্নিত করা হয়েছে। যাঁদের মধ্যে তার মামা বাড়ির ছ’জন সদস্যকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়রান্টিনে ও স্থানীয় ১০ জনকে নিজের- নিজের ঘরেই কোয়রান্টিন থাকতে বলা হয়েছে। এলাকায় স্বাস্থ্য দল পাঠানো হয়েছে।” তিনি জানান, ‘কোয়রান্টিন’ থাকা ব্যক্তিদের দু’বেলা স্বাস্থ্য পরীক্ষা করবেন এএনএম ও আশাকর্মীরা।
শনিবার সকাল থেকেই পাত্রসায়রে সে ভাবে কোনও দোকানপাট খোলেনি। রাস্তায় মানুষ ছিল হাতে গোনা। খুব প্রয়োজন ছাড়া, কাউকে বাইরে বেরোতে দেখা যায়নি। বাঁকুড়ার পুলিশ সুপার কোটেশ্বর রাও বলেন, “পাত্রসায়রে মানুষজন সামাজিক দূরত্ব মেনে চলছেন কি না, তার উপরে পুলিশ নজর রাখছে।”
বাঁকুড়ার সাংসদ সুভাষ সরকারের অভিযোগ, লালারসের নমুনা সংগ্রহ করার তিন দিন পরে, পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছিল। বৃহস্পতিবার রিপোর্ট এলেও শুক্রবার পর্যন্ত চেপে যাওয়া হয়েছে।’’ তাঁর সংযোজন: ‘‘গোটা প্রক্রিয়াটিতে ঢিলেমি করা হয়েছে। সময় দীর্ঘায়িত হওয়ায় সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কাও বেড়েছে। রাজ্যের জেলাভিত্তিক করোনা-আক্রান্তের তালিকাতেও এই আক্রান্তের উল্লেখ নেই। তাই বাঁকুড়ায় এখনও আক্রান্তের সংখ্যা শূন্যই দেখাচ্ছে।”
রাজ্যের মন্ত্রী তথা কোতুলপুরের বিধায়ক শ্যামল সাঁতরা অবশ্য বলছেন, “পাত্রসায়রের ওই কিশোরের ঠিক সময়েই পরীক্ষা করে রোগ নির্ণয় করা হয়েছে। সুভাষবাবু রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে এই সমস্ত কথাবার্তা বলছেন।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy