প্রতীকী চিত্র।
মানসিক ভারসাম্যহীন এক বধূকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠল বাঁকুড়ায়। অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয়েছে দু’জনকে। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত উৎপল ঘোষ ও প্রদীপ ঘোষ বাঁকুড়া সদর থানার বলরামপুর গ্রামের বাসিন্দা। ধৃতদের শনিবার বাঁকুড়া আদালতে তোলা হলে তাদের আট দিনের পুলিশ হেফাজত হয় বলে পুলিশ সূত্রে খবর। বাঁকুড়ার পুলিশ সুপার কোটেশ্বর রাও বলেন, “গণধর্ষণের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে। দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।”
বধূর স্বামী জানান, শুক্রবার সকালে বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়ে যান বছর ত্রিশের ওই বধূ। তাঁর হদিস পেতে বাড়ির লোকজন বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ চালাচ্ছিলেন। দুপুরে বাঁকুড়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বেশ কিছুটা দূরে একটি ফাঁকা জায়গায় ওই বধূকে খুঁজে পান তাঁর স্বামী।
তাঁর অভিযোগ, ‘‘স্ত্রীকে খুঁজতেই আমি ওখানে যাই। তখনই কয়েকজন জানান, এক মানসিক ভারসাম্যহীন মহিলাকে কয়েকজন ঝোপের দিকে নিয়ে গিয়েছে। বিপদের আশঙ্কা করে কয়েকজন গ্রামবাসীকে নিয়ে সে দিকে যাই। দেখি স্ত্রী বসে রয়েছে। আর এক ব্যক্তি দৌড়ে পালাল। স্ত্রী জানায়, তাঁকে ওই ব্যক্তি ও আর এক জন গণধর্ষণ করেছে।’’
এরপরে তিনি স্ত্রীকে নিয়ে বাঁকুড়া মহিলা থানায় গিয়ে সব জানান। পুলিশ ওই বধূকে বাঁকুড়া মেডিক্যালে ভর্তি করায়। রাতে তিনি দু’জনের বিরুদ্ধে গণধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেন। গভীর রাতে পুলিশ দু’জনকে গ্রেফতার করে।
পুলিশ জানিয়েছে, বধূর শারীরিক পরীক্ষা করানো হচ্ছে। প্রাথমিক তদন্তের পরে তাদের অনুমান, এই ঘটনায় ধৃত দু’জন ছাড়াও কয়েকজনের যুক্ত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। ওই বধূ পুলিশের কাছে সব কথা খুলে বলতে পারেননি। তবে প্রাথমিক ভাবে ওই বধূ তদন্তকারীদের কাছে দাবি করেছেন, কিছু লোক রাস্তায় তাঁকে মুড়ি খাওয়ায়। তারপর টোপ দিয়ে ফাঁকা জায়গায় নিয়ে গিয়ে অত্যাচার করে।
এই ঘটনায় অনেকেই নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, ২০১৭ সালে সরস্বতী পুজোর দিনে বাঁকুড়ার রাজগ্রামে এক স্কুল ছাত্রীকে তার বন্ধুর সামনে গণধর্ষণের অভিযোগ ওঠে আট জনের বিরুদ্ধে। ওই ঘটনায় সাত জনের দোষ প্রমাণিত হয়। গত ফেব্রুয়ারিতে দোষীদের কুড়ি বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দেন জেলা বিচারক অপূর্ব সিংহ রায়। পুলিশ সুপার বলেন, “বধূকে গণধর্ষণের অভিযোগের ভিত্তিতে যথাযথ তদন্ত হচ্ছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy