Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

স্কুলের উন্নয়নে ২৫ লক্ষ দান

স্কুলের বয়স ৬৫। অথচ সে স্কুলে নেই পানীয় জলের সুষ্ঠ ব্যবস্থা! এতদিন কোনও গ্রন্থাগার ছিল না। শৌচালয় থাকলেও, বেহাল তার দশা! এ ছবি, সাঁইথিয়ার আমোদপুর এলাকার ছোটসাংড়া গ্রামের সতীশচন্দ্র মেমোরিয়াল হাইস্কুলের। সম্প্রতি সেই স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা তথা এলাকার জমিদার প্রয়াত সত্যেন্দনাথ মুখোপাধ্যায়ের স্মৃতির উদ্দ্যেশে, তাঁরই ছোট ছেলে নারায়ণচন্দ্র মুখোপাধ্যায় প্রায় ২৫ লক্ষ টাকা ব্যয়ে স্কুলে একটি আধুনিক গ্রন্থাগার, শৌচাগার নির্মাণ ও পানীয় জলের ব্যবস্থা করে দিলেন।

স্কুলের পড়ুয়াদের সঙ্গে নারায়ণচন্দ্র মুখোপাধ্যায়। —নিজস্ব চিত্র।

স্কুলের পড়ুয়াদের সঙ্গে নারায়ণচন্দ্র মুখোপাধ্যায়। —নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
সাঁইথিয়া শেষ আপডেট: ৩১ মার্চ ২০১৫ ০০:৫২
Share: Save:

স্কুলের বয়স ৬৫। অথচ সে স্কুলে নেই পানীয় জলের সুষ্ঠ ব্যবস্থা! এতদিন কোনও গ্রন্থাগার ছিল না। শৌচালয় থাকলেও, বেহাল তার দশা! এ ছবি, সাঁইথিয়ার আমোদপুর এলাকার ছোটসাংড়া গ্রামের সতীশচন্দ্র মেমোরিয়াল হাইস্কুলের। সম্প্রতি সেই স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা তথা এলাকার জমিদার প্রয়াত সত্যেন্দনাথ মুখোপাধ্যায়ের স্মৃতির উদ্দ্যেশে, তাঁরই ছোট ছেলে নারায়ণচন্দ্র মুখোপাধ্যায় প্রায় ২৫ লক্ষ টাকা ব্যয়ে স্কুলে একটি আধুনিক গ্রন্থাগার, শৌচাগার নির্মাণ ও পানীয় জলের ব্যবস্থা করে দিলেন। সোমবার স্কুলে গিয়ে যার উদ্বোধন করলেন মন্ত্রী আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। মন্ত্রী বলেন, ‘‘আজকের দিনে এ এক বিরল দৃষ্টান্ত। অর্থ অনেকের থাকতে পারে। কিন্তু শিক্ষা ও সমাজের উন্নয়নে এমনভাবে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়ার মানুষ সমাজে খুব একটা দেখা যায় না।’’

স্কুল সূত্রে জানা যায়, নানা সমাজ মূলক কাজে যুক্ত এলাকার জমিদার নামে খ্যাত সাংড়া গ্রামের সত্যেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় ১৯৫১ সালে প্রায় তিন বিঘে জায়গাজুড়ে গ্রামে একটি স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি বাবা স্বর্গীয় সতীশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়ের স্মৃতির উদ্দ্যেশে স্কুলের নাম দেন সতীশচন্দ্র মেমোরিয়াল হাইস্কুল। ১৯৬৩ সালের ১ জানুয়ারি দশম শ্রেণি পর্যন্ত সরকারি অনুমোদন মেলে। ১৯৬৫ সালের ১ জানুয়ারি হায়ার সেকেন্ডারির অনুমোদন মেলে। এই অনুমোদন পাওয়া থেকে শুরু করে স্কুলের গৃহ তৈরি-সহ সমস্ত রকমের উন্নয়নে এই পরিবারের অবদান কম নয়। বিশেষ করে সত্যেন্দ্রনাথবাবুর ছোট ছেলে, বর্তমানে প্রায় ৮৫ বছরের প্রবীণ মানুষটির কথা আলাদা করে উল্লেখ করতেই হয়।

স্কুলের প্রধান শিক্ষক দেবাশিস ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘স্কুলের প্রতিষ্ঠা থেকে গ্রামের জমিদার মুখোপাধ্যায় পরিবারের অবদান ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না। স্কুলের ছাত্রী চন্দ্রিমা চক্রবর্তী মাধ্যমিকে জেলায় প্রথম হয়েছিল। তাঁকে ৫০ হাজার টাকা পুরস্কার দিয়েছিলেন নারায়ণচন্দ্রবাবু।

এ দিনের অনুষ্ঠানে মন্ত্রী ছাড়াও ছিলেন লাভপুরের বিধায়ক মনিরুল ইসলাম, সাঁইথিয়া ব্লকের সভাপতি সোমনাথ সাধু, স্কুল পরিচালন সমিতির সভাপতি সমীর গড়াই, সম্পাদক সুজিৎ কুমার মণ্ডল-সহ এলাকার বহু বিশিষ্ট মানুষ। নারায়ণবাবু বলেন, ‘‘সমাজের জন‌্য কাজ করেছি, এতে বলার কি আছে!’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE