Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

এলাকা ভিত্তিক নেতা বাছাই অভিষেকের

রাইপুর-সহ জঙ্গলমহলের ব্লকগুলি দেখার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বাঁকুড়া জেলা পরিষদের সভাধিপতি অরূপ চক্রবর্তীকে।

অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ফাইল চিত্র।

অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
বাঁকুড়া শেষ আপডেট: ০৩ নভেম্বর ২০১৭ ০০:৫৭
Share: Save:

দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব মিটিয়ে সংগঠনিক শক্তি জোরদার করতে এ বার নেতাদের বিধানসভা ভিত্তিক দায়িত্ব ভাগ করে দিলেন জেলা তৃণমূলের পর্যবেক্ষক তথা যুব তৃণমূল সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

পঞ্চায়েত ভোটের আগে বুধবার থেকে তিনি দু’দিনের বৈঠক শুরু করেন বাঁকুড়ায়। বৃহস্পতিবার রাতে তাঁর বৈঠক শেষ হওয়ার পরে ওই দায়িত্বভাগের খবর সামনে আসে। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, তালড্যাংরার বিধায়ক সমীর চক্রবর্তীকে আগেই বড়জোড়া ও সোনামুখী বিধানসভার পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব দিয়েছিলেন তৃণমূল রাজ্য নেতৃত্ব। পাত্রসায়র ও গঙ্গাজলঘাটি ব্লকের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ঠেকাতে এ বার এই দু’টি ব্লকে সমীরবাবুকে বিশেষ দায়িত্ব দিয়েছেন অভিষেক। রাইপুর-সহ জঙ্গলমহলের ব্লকগুলি দেখার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বাঁকুড়া জেলা পরিষদের সভাধিপতি অরূপ চক্রবর্তীকে।

বুধবার থেকে দু’দিনের জেলা সফরে এসে অভিষেক বড়জোড়া, সোনামুখী, ইন্দাস, ছাতনা, রাইপুর বিধানসভার আওতায় থাকা ব্লকগুলির নেতা-কর্মীদের নিয়ে সাংগঠনিক বৈঠক করেছেন। দু’দিনের এই বৈঠকে জেলায় দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অভিষেক। দলের একাংশের দাবি, গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ঠেকাতে তৃণমূলের জেলা নেতৃত্ব যে ব্যর্থ, তা টের পেয়েছেন তিনি অভিষেক। দলীয় কোন্দলেই জেলার পাঁচটি বিধানসভা হাতছাড়া হয় তৃণমূলের। পঞ্চায়েত ভোটের আগে তাই যে ভাবেই হোক, গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব রোখাই জেলা পর্যবেক্ষকের কাছে সব থেকে বড় চ্যালেঞ্জ। জেলা তৃণমূলের এক নেতার কথায়, “অভিষেক সব দিক ভেবে চিন্তেই এলাকা ভিত্তিক সাংগঠনিক ক্ষমতা নেতাদের মধ্যে ভাগ করে দিয়েছেন। যা পরিস্থিতি, গোটা জেলা কেউ একা চালাতে পারবেন না বলে বুঝে গিয়েছেন তিনি।”

দলের একটি সূত্র জানাচ্ছে, পাত্রসায়র, বড়জোড়া, ইন্দাস, সোনামুখী-র মতো ব্লকগুলির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নিয়ে বুধবারই চরম বার্তা দিয়েছেন অভিষেক। ‘কে বড়’- সেই দ্বন্দ্বে নেতারা ইতি না টানলে দরকার পড়লে সোনামুখী, পাত্রসায়রের মতো ব্লকগুলিতে তিনি ব্লক নেতৃত্বকে বসিয়ে জেলা নেতাদের দিয়েও ভোট করাতে পারেন বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার জয়পুর, কোতুলপুর, রাইপুর, ছাতনা ব্লকের কর্মীদের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বন্ধ করতে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। এক হয়ে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খান ও রাজ্যের মন্ত্রী তথা কোতুলপুরের বিধায়ক শ্যামল সাঁতরাকেও।

চেষ্টা করেও জেলা তৃণমূল সভাপতি অরূপ খানের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। জেলা তৃণমূলের এক নেতা বলেন, “দলের নেতাদের নিজেদের মধ্যে ঝামেলা থামানোর দাওয়াই জেলা সফরে এসে দিয়ে গেলেন অভিষেক। তাতে কতটা কাজ হয়, সেটাই এখন দেখার।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE