মঞ্চে। নিজস্ব চিত্র
এক দিন আগেই পড়শি জেলা পুরুলিয়ায় জনসভা করে রাজ্যের গণতন্ত্র বিপন্ন বলে অভিযোগ তুলেছিলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। বুধবার ওন্দার জনসভা থেকে যোগীকে পাল্টা কটাক্ষ করলেন যুব তৃণমূলের সভাপতি তথা বাঁকুড়ার দলীয় পর্যবেক্ষক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
ওন্দা স্টেডিয়ামে জনসভা করেন অভিষেক। তিনি বলেন, “পুরুলিয়ায় জনসভা করেন যোগী, যাঁর নিজের রাজ্যে ধর্মের ভিত্তিতে মানুষকে ভাগ করা হয়, পুলিশ খুন করা হয়। তাঁর মুখ থেকে বাংলার মানুষ গণতন্ত্রের কথা শুনবেন না। আমরা শুনব না।”
অভিষেক বলেন, দেশে একাধিক দল রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে এক মাত্র চোখ দেখানোর সাহস দেখিয়েছেন মমতা। সিবিআই, ইডি দেখিয়ে চুপ করে রাখবে? তা হবে না। বাংলার মাটি বশ্যতা স্বীকার করে না।’’ তিনি জানান, মমতার পথেই সারা দেশ হাঁটতে চাইছে। এ দিন কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে তীব্র আক্রমণ করেছেন অভিষেক। সিবিআই, ইডির মতো কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলিকে রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছেন তিনি।
সিঙ্গুর আন্দোলনের সময় তৃণমূলনেত্রীর অনশনের প্রসঙ্গ টেনে অভিষেক বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সিঙ্গুর আন্দোলন অনশনের আগুনে ভস্মীভূত হয়েছিল বামেরা। ফের সেই একই জায়গা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আন্দোলন শুরু হয়েছে। সেই আগুনে ভস্মীভূত হয়ে যাবে বিজেপি।”
ওন্দা বিধানসভা বিষ্ণুপুর লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে পড়ে। ওই লোকসভার সাংসদ সৌমিত্র খাঁ তৃণমূল থেকে বহিষ্কৃত হয়ে বিজেপিতে যোগ দেন। সৌমিত্রকে ‘ফেসবুক নেতা’ বলে মন্তব্য করে অভিষেক বলেন, “সংসদে এলাকার সমস্যার কথা না তুলে তিনি শ্বশুরবাড়ির সমস্যার কথা বলছেন। আসন্ন নির্বাচনে তাঁকে শ্বশুরবাড়িতে পাঠিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রার্থী দিল্লি যাবে।’’ অভিষেকের অভিযোগ, ‘‘সৌমিত্র নিজের সাংসদ তহবিলের টাকা খরচ করতে পারেননি। আসন্ন ভোটে এই এলাকার একটিও বুথেও তাঁর অস্তিত্ব থাকবে না।”
সৌমিত্রের পাল্টা বক্তব্য, ‘‘একজন সাংসদের শ্বশুরবাড়িতেই যে ধরনের অত্যাচার শুরু হয়েছে সে কথা আমি সংসদে তুলে ধরেছি মাত্র। ওই ঘটনাই দেখিয়ে দিচ্ছে, রাজ্যের সাধারণ মানুষ কতটা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।’’ তহবিল খরচের প্রসঙ্গে তাঁর দাবি, তৃণমূল নেতাদের নির্দেশেই প্রশাসনের সহায়তা পাইনি। তাই তহবিল পুরোটা খরচ করতে পাচ্ছি না।’’
এ দিন অভিষেকের সভায় ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। জেলা পুলিশের হিসেবে প্রায় এক লক্ষ মানুষ এ দিন সভায় উপস্থিত ছিলেন। জেলা তৃণমূলের পক্ষ থেকেও দাবি করা হয়েছে সভায় লক্ষাধিক মানুষ উপস্থিত ছিলেন। যদিও বিজেপির রাজ্য নেতা সুভাষ সরকার পুলিশ ও তৃণমূলের দাবি অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, “অভিষেকের সভায় ভিড় জমাতে পুলিশ ও তৃণমূল নেতারা এক সঙ্গে কোমর বেঁধে নেমেছিল। তা সত্ত্বেও ওন্দা স্টেডিয়াম ভরেনি। এমনকি অভিষেকের বক্তব্য চলাকালীন সভাস্থলের অর্ধেক মানুষ বেরিয়ে গিয়েছেন বলে খবর পেয়েছি আমরা।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy