জয়ের আনন্দ। শুক্রবার সিউড়ি ১ ব্লকে। নিজস্ব চিত্র
তিন হাজারের বেশি গ্রাম পঞ্চায়েতের মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছে। তাতে সাংবিধানিক সঙ্কট দেখা দিয়েছে। উন্নয়নের ২২ হাজার কোটি টাকা ফেরৎ চলে যাচ্ছে। রাজ্যের তরফে সুপ্রিম কোর্টে এমনই আর্জি জানানো হয়েছিল গত শনিবার। দেশের সর্বোচ্চ আদালতের শুক্রবারের রায়ে সেই সমস্যা কাটল। এর পরেও বোর্ড গঠন রাতারাতি হয়ে যাবে না বলেই মনে করেন বীরভূম জেলা প্রশাসনের কর্তারা। তাঁরা জানাচ্ছেন, সব ঠিকঠাক হতে আরও দু’, তিন সপ্তাহ সময় লাগবে।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৩ সালের অগস্টের ১৪ থেকে ১৮ তারিখের মধ্যেই বীরভূমের গ্রাম পঞ্চায়েতগুলি গঠিত হয়েছিল। তাই কাগজে-কলমে ১৭ তারিখ, শুক্রবারের মধ্যেই সব ক’টি পঞ্চায়েত বোর্ডের মেয়াদ ফুরিয়েছে। প্রশাসনের কর্তাদের কথায়, ‘‘যেহেতেু দু’এক দিনের মধ্যে প্রতিটি পঞ্চায়েত সমিতির মেয়াদ ফুরোচ্ছে, তাই বিজ্ঞপ্তি জারি না হওয়া পর্যন্ত সমিতির দায়িত্ব নিতে হবে মহকুমাশাসকদেরই।’’ প্রশাসন সূত্রের খবর, বীরভূমের জেলা পরিষদের মেয়াদ শেষ হচ্ছে সেপ্টেম্বরের ৯ তারিখ।
তবে, ১৬৭টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে সম্পূর্ণ নির্বাচন হয়েছে এমন ১০টি পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন হওয়া সম্ভব। সেগুলি হল— ময়ূরেশ্বর ১ ব্লকের বাজিতপুর, বড় তুড়িগ্রাম, দক্ষিণগ্রাম, ঝিকোড্ডা, কানাচি ,মল্লারপুর ১, তালোয়ান গ্রাম পঞ্চায়েত, মহম্মদবাজার ব্লকের আঙ্গারগড়িয়া ও রামপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এবং রাজনগরের ব্লকের চন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েত। জেলা প্রশাসনের এক কর্তা জানিয়েছেন, ২৭ তারিখ চিহ্নিত পঞ্চায়েতগুলির সঙ্গে বৈঠক করে ২৯ তারিখের মধ্যে বোর্ড গঠনের জন্য নির্দেশ দেওয়া হবে, প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত এমনই। আগামী মাসের ৯ তারিখে মেয়াদ ফুরানো জেলা পরিষদের দায়িত্ব দিন কয়েকের জন্য নিতে হতে পারে জেলাশাসকেও।
তৃণমূল নেতারাও মানছেন, বোর্ড গঠনের আগে সব কাজ সুষ্ঠু ভাবে সমাধান করতে আরও কিছু দিন অপেক্ষা করতে হবে। তবে তৃণমূলের শীর্ষনেতারা বলছেন, ‘‘পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতর থেকে বিজ্ঞপ্তি জারি হওয়ার পরে বোর্ড গঠনে আর বাধা রইল না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy