বিষ্ণুপুরের দেজহাটে মৃৃতার পরিবারকে সান্ত্বনা। নিজস্ব চিত্র
কিছু দিন আগে অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় ওন্দার রামসাগরের বধূ মৌ দে রায়ের (৩০)। রবিবার মৃত বধূর বাবা-মাকে সান্ত্বনা দিতে এসে পুলিশের বিরুদ্ধে দোষীদের আড়াল করা চেষ্টা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তুললেন ভারতীয় জনতা মহিলা মোর্চার রাজ্য সভানেত্রী অগ্নিমিত্রা পাল। তবে বাঁকুড়া জেলা পুলিশের এক কর্তা দাবি করেন, “অভিযোগের পরেই মৃত বধূর স্বামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্য অভিযুক্তদের খোঁজ চলছে।”
এ দিন সন্ধ্যায় বিষ্ণুপুরের দেজহাটে মৌয়ের বাড়িতে এসে তিনি দাবি করেন, ‘‘মেয়েটিকে যে ভাবে পুড়িয়ে মারা হয়েছে, তাতে দোষীদের ফাঁসি হওয়া উচিত। পুলিশ মৃতার স্বামীকে গ্রেফতার করলেও শাশুড়ি অধরা। তাঁর গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছি। আমরা ওন্দা থানায় যাচ্ছি।’’ তাঁর অভিযোগ, ‘‘মেয়েদের উপরে অত্যাচার বাড়ছে, কারণ এই সরকার কোনও পদক্ষেপ করে না। কোনও শাস্তি নেই, বিচার নেই।” যদিও জেলা তৃণমূল সভাপতি শ্যামল সাঁতরার দাবি, ‘‘নারী নির্যাতনের ঘটনায় এ জেলায় তদন্তে গাফিলতির কোনও অভিযোগ নেই।’’
পরিবার সূত্রে খবর, মঙ্গলবার অগ্নিদগ্ধ হন মৌ। বৃহস্পতিবার তিনি মারা যান। তাঁর বাবা শ্যামসুন্দর দে অভিযোগ করেন, ‘‘পণ দেওয়ার পরেও আরও টাকা চেয়ে শ্বশুরবাড়ির লোকেরা মেয়েকে অত্যাচার করত। ওরাই মেয়েকে পুড়িয়ে মেরেছে। ওদের ফাঁসি চাই।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy