তৃণমূল ও বামফ্রন্টের পরে এ বার পুরনির্বাচনে চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করল বিজেপি। রবিবার পুরুলিয়ায় দলের জেলা কার্যালয়ে পুরুলিয়া, রঘুনাথপুর ও ঝালদা তিনটি পুরসভার প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হয়। তবে তালিকা সম্পূর্ণ নয়। রবিবার রাত পর্যন্ত রঘুনাথপুর শহরের চারটি ও ঝালদার একটি ওয়ার্ডে প্রার্থী চূড়ান্ত করতে পারেনি গেরুয়া শিবির। সোমবার বিকালের দিকে বিজেপির জেলা সভাপতি বিকাশ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “রঘুনাথপুর ও ঝালদার কয়েকটি ওয়ার্ডে প্রার্থী চূড়ান্ত হয়নি। জেলা কমিটির কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ সদস্যের উপস্থিতিতে আলোচনা করে ওই ওয়ার্ডগুলির প্রার্থী চূড়ান্ত করা হয়েছে।” তিনটি পুরসভাতেই বিজেপির প্রার্থীদের মধ্যে ৮০ শতাংশের বয়স ৪০ বছরের নীচে বলে দাবি করেছেন বিকাশবাবু। নবীন প্রজন্মের মধ্যে বিজেপির গ্রহণযোগ্যতা বাড়ায় পুরভোটে প্রার্থী হিসাবে কম বয়স্কদের সুযোগ দেওয়া হয়েছে বলে বিজেপি সূত্রের খবর।
বস্তুত পুরুলিয়ায় ২৩টি ওয়ার্ডে প্রার্থী বাছাই নিয়ে সমস্যায় পড়তে হয়নি দলের নেতাদের। ঝালদায় আগেই বুথ কমিটি এবং ওয়ার্ড কমিটিগুলির সাথে আলোচনা করে শহর মণ্ডল কমিটি ১২টি আসনের মধ্যে ১০টি ওয়ার্ডের সর্বসম্মত প্রার্থী তালিকা জেলায় জমা করে দিয়েছিল।
কিন্তু গোল বেধেছিল রঘুনাথপুরের ক্ষেত্রে। প্রসঙ্গত এই পুরশহরে লোকসভার ফলের নিরিখে অন্যতম বিরোধীদল হিসাবে উঠে এসেছে বিজেপি। ১৩টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৫টিতে এগিয়ে রয়েছে গেরুয়া শিবির। ফলে রঘুনাথপুরে প্রার্থী হওয়ার জন্য বহু আবেদন জমা পড়েছিল। প্রতিটি ওয়ার্ড থেকে তিন-চারটি নাম প্রার্থী হিসাবে উঠে আসায় প্রার্থী চূড়ান্ত করতে যথেষ্ঠ বিড়ম্বনায় পড়তে হয়েছিল জেলা নেতৃত্বকে। সেই কারণেই তৃণমূল-সহ অন্যান দল চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করে দিলেও রঘুনাথপুরে চূড়ান্ত প্রার্থী স্থির করে উঠতে পারেনি বিজেপি।
প্রার্থী নিয়ে দলের অভ্যন্তরে ক্ষোভ ছড়ানোর আশঙ্কায় কিছুটা গোপনীয়তা নিয়ে জেলা কমিটির কয়েকজনকে নিয়ে আলোচনা করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তবে বিকাশবাবুর দাবি, “প্রার্থী নিয়ে কোথাও কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে ক্ষোভ নেই। আমরা তৃণমূলের প্রার্থী তালিকা প্রকাশের অপেক্ষায় ছিলাম।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy