Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪

পুঞ্চায় বিডিও-র বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ

কাগজে-কলমে এলাকার উন্নয়নমূলক ১৯ দফা দাবির সমর্থনে বিডিওকে স্মারকলিপি দেওয়ার কথা থাকলেও বুধবার পুঞ্চায় বাম ও কংগ্রেসের যৌথ মিছিলে বিডিওর বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ মুখ্য হয়ে উঠল।

পুঞ্চায় পথে বিরোধীরা। বুধবারের নিজস্ব চিত্র।

পুঞ্চায় পথে বিরোধীরা। বুধবারের নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
পুঞ্চা শেষ আপডেট: ২৫ অগস্ট ২০১৬ ০১:১৫
Share: Save:

কাগজে-কলমে এলাকার উন্নয়নমূলক ১৯ দফা দাবির সমর্থনে বিডিওকে স্মারকলিপি দেওয়ার কথা থাকলেও বুধবার পুঞ্চায় বাম ও কংগ্রেসের যৌথ মিছিলে বিডিওর বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ মুখ্য হয়ে উঠল। স্মারকলিপিতে এবং ব্যানারে বিডিও-র বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতা এবং পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ উল্লেখ করা হয়েছে। স্মারকলিপিতেও ব্লক অফিসকে শাসকদলের দলীয় অফিসে পরিণত করা চলবে না বলে লেখা হয়েছে। বিরোধীদের অভিযোগ, পুঞ্চার বিডিও তাঁদের অসম্মান করেন। যদিও পুঞ্চার বিডিও অজয় সেনগুপ্ত তাঁর বিরুদ্ধে তোলা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

পুঞ্চার পাড়ুই গ্রামের হাটতলায় এ দিন দুই দলের কয়েকশো কর্মী জমায়েত করেছিলেন। হাটতলা থেকে বেরিয়ে ডাঙাবাজার, পুঞ্চা বাজার হয়ে মিছিল ব্লক অফিসে আসে। পুঞ্চার বাসিন্দা সিপিএমের জেলা নেতা বিপত্তারণ শেখরবাবুর অভিযোগ, ‘‘ব্লক অফিসে বসে বিডিও শাসকদলের ছত্রছায়ায় স্বেচ্ছাচারিতা চালাচ্ছেন। আমাদের স্মারকলিপির কপি জেলাশাসককেও পাঠাচ্ছি।’’

বিরোধীদের দাবি, চাঁদড়া-রাজনোয়াগড় পঞ্চায়েতে তৃণমূলের প্রধান বন্দনা বাউরি চলতি বছরের মার্চ মাসে অনাস্থায় হেরে যান। কিন্তু বিডিও নানা টালবাহানা করে এখনও পর্যন্ত ওই পঞ্চায়েতে প্রধান নির্বাচন করেননি। লুযোগ পেয়ে তৃণমূল আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে। আইনি ঝামেলা কিছুদিনের মধ্যে মিটেও যায়। তবুও বিডিও ওই পঞ্চায়েতের প্রধান নির্বাচন আটকে রেখেছেন। অথচ সিপিএম পরিচালিত বাগদা পঞ্চায়েতে সিপিএম প্রধান অনাস্থায় হেরে যাওয়ার কয়েকদিনের মধ্যে তিনি সেই পঞ্চায়েতে তাড়াতাড়ি প্রধান নির্বাচন সেরে ফেললেন।

সিপিএমের পুঞ্চা জোনাল সম্পাদক অনিল মাহাতো অভিযোগ করেন, বিডিও তাঁর সঙ্গে নিজের অফিসে আলোচনার নামে দুর্ব্যবহার করেছিলেন। পুঞ্চা ব্লক সভাপতি কংগ্রেসের বারিদবরণ মাহাতোরও একই অভিযোগ। তৃণমূলের নেতারা তাঁর অফিসে সবসময় বসে থাকে। সেখানেই তৃণমূলের কর্মসূচি ঠিক করা হয় বলে তাঁদের অভিযোগ। সরকারি প্রকল্পে উপভোক্তাদের নাম তোলার ক্ষেত্রে তৃণমূলের লোকেদের ঠাঁই দেওয়া হচ্ছে বলে বিরোধীদের অভিযোগ। যদিও বিডিও-র দাবি, ‘‘আমি কাউকে অসম্মানজনক কথা বলি না। চাঁদড়া-নোয়াগড় পঞ্চায়েত নিয়ে আইনি ঝামেলা ছিল বলে প্রধান নির্বাচনে দেরি হয়েছে। আগামী ২৯ অগস্ট প্রধান নির্বাচন হবে। ওঁদের সব অভিযোগ মিথ্যা।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

BDO puncha
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE