— নিজস্ব চিত্র
গুরুতর আহত দুই যুবককে চিকিৎসার জন্য অন্যত্র নিয়ে যেতে চালক না পাওয়ায় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে দাঁড়িয়ে থাকা অ্যাম্বুল্যান্স ভাঙচুর করল ক্ষুব্ধ জনতা। বুধবার দুপুরে মানবাজার গ্রামীণ হাসপাতালের ঘটনা। মানবাজারের বিএমওএইচ কালীপদ সোরেন বলেন, ‘‘তিনটি অ্যাম্বুল্যান্সের সামনের কাচ ভেঙেছে। গাড়িগুলির অল্পবিস্তর ক্ষতি হয়েছে।’’
বুধবার দুপুরে মানবাজার-বান্দোয়ান রাস্তায় মানবাজার থানার বিসরি গ্রামের মোড়ে মোটরবাইক দুর্ঘটনায় দুই যুবক গুরুতর জখম হন। জখম মোটরবাইক আরোহী দুই ভাইয়ের নাম প্রণব সেন ও প্রতাপ সেন। মানবাজারের পোদ্দার পাড়ার বাসিন্দা দুই ভাই এ দিন বোরো থেকে মোটরবাইকে মানবাজার ফিরছিলেন। স্থানীয়দের একাংশ জানিয়েছেন, বিসরি গ্রামের মোড়ে একটি বাঁক রয়েছে। সেখানে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে একটি দেওয়ালে ধাক্কা মারে তাঁদের মোটরবাইকটি। হেলমেট না থাকায় দু’জনের মাথায় এবং বুকে চোট লাগে। স্থানীয় বাসিন্দারাই আহত দুই যুবককে হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন।
প্রাথমিক চিকিৎসার পর আহতদের শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকায় চিকিৎসক তাঁদের বড় কোনও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন।
সেই সময় আহতদের পরিচিতদের কয়েকজন হাসপাতাল চত্বরে থাকা অ্যাম্বুল্যান্সের চালকদের খোঁজ করতে থাকেন। বিভিন্ন প্রকল্পে পাওয়া অ্যাম্বুল্যান্সগুলি হাসপাতালেই ব্যবহারের জন্য রয়েছে। এ দিন ওই সময়ে কিন্তু কোনও গাড়িতে চালক ছিল না। অভিযোগ ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও চালকরা কেউ ফোন ধরেননি। এ দিকে ওই দুই আহতের অবস্থাও ক্রমশ জটিল হচ্ছিল। সেই সময় ধৈর্য্য হারিয়ে হাসপাতাল চত্বরে থাকা জনতা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। ইট, পাথর ছুড়ে অ্যাম্বুল্যান্সের কাচ ভেঙে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।
ক্ষুব্ধ জনতার অভিযোগ, এই হাসপাতালে কিছুই মেলে না। খবর দেওয়ার অনেক পরে চিকিৎসক আসেন। জরুরি মুর্হূতে অক্সিজেন দিতেও দেরি হয়। অ্যাম্বুল্যান্স থাকলেও চালক থাকেন না। চালক মিললেও রোগীকে নিয়ে যেতে তাঁরা টালবাহানা করতে থাকেন। কোনও অ্যাম্বুলেন্সে অক্সিজেনের সিলিন্ডার থাকে না বলে তাঁদের অভিযোগ। বিএমওএইচ বলেন, ‘‘এই হাসপাতালে প্রয়োজনের তুলনায় চিকিৎসক এবং কর্মীর ঘাটতি রয়েছে। অ্যাম্বুল্যান্সের চালকদের ২৪ ঘণ্টা পরিষেবার দায়িত্বে থাকা নিয়ম। ওই সময় কেন একজন চালককেও পাওয়া গেল না খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy