পাখি শিকার রুখতে এলাকায় এ বার সচেতনতার প্রচার অভিযান চালালেন শান্তিনিকেতনের পশুপাখি প্রেমীরা।
বীরভূমের অনারারি ওয়াইল্ড লাইফ ওয়ার্ডেন ঊর্মিলা গঙ্গোপাধ্যায় এবং অবসরপ্রাপ্ত বন দফতরের কর্মী নিত্যানন্দ বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে বাউল গানের মাধ্যমে বিভিন্ন এলাকায় চলছে অভিনব প্রচার। মঙ্গলবার থেকে শুরু হয়েছে এমন অভিনব উদ্যোগ। শুধু পরিযায়ী পাখি নয়, বন্য পশুপাখিরাও কী ভাবে আমাদের পরিবেশের বন্ধু তা নিয়েও প্রচার চলছে জোর কদমে। পাশাপাশি চোরা শিকারিদের সম্পর্কে তথ্য দিতেও গানের মাধ্যমে স্থানীয়দের আর্জি জানাচ্ছেন ওই বাউলশিল্পীরা।
মার্চ মাসে বোলপুর এবং সংলগ্ন নানুর থানা এলাকায় দফায় দফায় অভিযান চালায় পুলিশ ও বন দফতর। চোরা শিকারিদের জালে আটকে থাকা কয়েক হাজার পরিযায়ী পাখি উদ্ধার হয় ইতিমধ্যেই। দুই বনকর্মীকে আক্রমণ করে, দুই চোরা শিকারি পালিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটে। বন দফতর এবং পাখি বিশেষজ্ঞদের মতে, সাধারণত জমির ধান কেটে নেওয়ার পর পোকা খেতে পাখিরা দল বেঁধে নামে মাঠে। এবং মার্চ ও এপ্রিল মাঝামাঝি সময়ে নিজেদের দেশে ফেরার জন্য জড় হয় এলাকায়। তার সুযোগ নিয়ে ওই সকল এলাকায় ডেরা বাঁধে চোরা শিকারির দল। এমন শিকারিদের সম্পর্কে তথ্য দিতে এবং মাঠে জাল ফেলার খবর জানানোর জন্য স্থানীয়দের কাছে আর্জি জানান পশুপাখি প্রেমীরা।
ঊর্মিলা গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “স্থানীয়দের সহযোগিতা খুবই প্রয়োজন। পাশাপাশি পশু পাখি নিয়ে সচেতনতাও জরুরী। প্রচারকে আকর্ষণীয় করতে বাউল গানের মাধ্যমে এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।”
বাউলদের জন্য গান রচনা করেছেন প্রাক্তন অবসরপ্রাপ্ত বন কর্মী নিত্যানন্দ মুখোপাধ্যায়। নিত্যানন্দ বাবু বলেন, ‘‘মানুষদের সচেতন করতে আমরা এই উদ্যোগ নিয়েছে। ঊর্মিলাদি পশু পাখি প্রেমী এবং তাঁর উদ্যোগ সকলে জানেন। দীর্ঘ দিন বন দফতরে কাজ করার সুবাদে পশু পাখিদের প্রেমে বাঁধা পড়েছি। তাই শিকার, পাচারের মতো নৃশংস ঘটনা সহ্য হয় না। দিদির উদ্যোগে সামিল হয়েছি।’’ এ দিন থেকে প্রচার শুরু হয়েছে বোলপুরের সিয়ান, নামো মাঠ, বাহিরী, নানুরের মোহনপুর, পাপুড়ি মতো এলাকায়। বনদফতরের এক কর্তা জানান, এমন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই। পুলিশ ও বন দফতর তো রয়েইছে। তার সঙ্গে স্থানীয়দের সহায়তা পেলে, পাখি শিকার বা বন্য পশু পাখিদের নির্যাতন রোখা দ্রুত সম্ভবপর হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy