হাসপাতালে আঙত বিজেপি কর্মী। শুক্রবার। ছবি: সব্যসাচী ইসলাম
মাড়গ্রামে গত রবিবার রেজাউল ইসলাম নামে এক বিজেপি নেতার বাড়ি ভাঙচুর এবং মারধরের অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এ বার রেজাউল ঘনিষ্ঠ বিজেপি-র সংখ্যালঘু মোর্চা সেলের নেতা শিলন শেখকে মারধরের অভিযোগ উঠল মাড়গ্রামের দর্জিপাড়ায়।
শিলনের অভিযোগ, শুক্রবার সকালের মাড়গ্রাম ১ পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রধান মহুবুল আলির (ভুট্টু) নেতৃত্বে এক দল লোক আগ্নেয়াস্ত্র এবং লোহার রড নিয়ে তাঁর উপরে চড়াও হয়। বাঁচাতে গেলে তৃণমূল কর্মীরা শিলনের স্ত্রী নুরনেহার বিবিকেও মারধর করে বলে অভিযোগ। এই অভিযোগ অস্বীকার করে পাল্টা শিলনের বিরুদ্ধেই হামলা চালানোর অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল।
শিলন শেখ আপাতত রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। শিলন এ দিন বলেন, ‘‘লোকসভা নির্বাচনের পরে মাড়গ্রাম থেকে আমরা শ’তিনেক সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ তৃণমূল ছেড়ে তারাপীঠে বিজেপি-তে যোগদান করেছিলাম। গত শুক্রবারও মাড়গ্রামে ৫০টি সংখ্যালঘু পরিবার বিজেপি-তে যোগ দেয়। সেই রাগেই গত রবিবার রেজাউল ইসলামের উপরে হামলা হয়। এ বার আমার উপরে হল।’’
বুধবার সিউড়ির জনসভার মঞ্চে রেজাউলকে সংবর্ধনা দেন বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। ওই সভায় শিলন এবং মাড়গ্রামের হেশ কয়েক জন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ গিয়েছিলেন। শিলনের অভিযোগ, ‘‘সেই রাগে এ দিন মাড়গ্রাম বাজারে তৃণমূল কর্মীরা আমাকে মারধর করে। পরে সকাল দশটা নাগাদ আমি থানায় অভিযোগ জানাতে গেলে ফের লোহার রড দিয়ে আমার উপরে চড়াও হয়।’’
শিলনকে এ দিন হাসপাতালে দেখতে আসেন বিজেপির নেতারা। দলের জেলা সহ-সভাপতি শুভাশিস চৌধুরী বলেন, ‘‘রাজ্যে সংখ্যালঘু এখন বিজেপিতে আসছেন। এর ফলে তৃণমূল আতঙ্কিত হয়ে তাঁদের উপরে হামলা করছে। পুলিশও তৃণমূল কর্মীদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না। রেজাউলকে মারধরের ঘটনায় পুলিশ এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করেনি।’’ এ ভাবে এলাকায় বিজেপির শক্তিবৃদ্ধিকে রোধ করতে চাইছে শাসকদল বলেও তাঁর দাবি।
তৃণমূল নেতা মহুবুল আলি যদিও দাবি করছেন, ‘‘এ দিন শিলন শেখই প্রথমে বাজারে আমাদের উপরে চড়াও হয়। তাকে স্থানীয় বাসিন্দারা ধরে ফেলেন। ওর বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ করা হয়েছে পুলিশের কাছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy