তালে তালে: এ যেন এক অন্য কেষ্ট। গানের সঙ্গে কোমর দোলাতে দেখা গেল তাঁকে। নিজস্ব চিত্র।
মেঘলা বিকেলে প্রেমের গান— ‘হে কলঙ্কিনী রাধা, কদম গাছে বসিয়া আছে কানু হারামজাদা/ মা তুই জলে না যাই-ও’।
মঞ্চে দাঁড়ানো অন্য ‘কেষ্ট’র কোমর ঠিক তখনই দুলে উঠল। দু’হাতে তুড়ি দিতে দিতে দু’কলি যেন গেয়েও নিলেন। সব মিলিয়ে মিনিট তিনেক। মঞ্চের নিচের ভিড়টাকে তখন পায় কে?
‘গুড়-বাতাসা’, ‘চড়াম-চড়াম’ থেকে ‘উন্নয়ন’— রাজ্য রাজনীতিতে নানা সময়ে একের পর এক বুলি আউড়ে খবরে থাকা অনুব্রত (কেষ্ট) মণ্ডলকেই বোলপুরের জেলা তৃণমূলের মঞ্চে অন্য ভূমিকায় দেখা গেল। বুধবার বোলপুর চৌরাস্তায় ২১ শে জুলাইয়ের প্রস্তুতি সভা হয়। সভা শেষে বেলা সাড়ে চারটে নাগাদ শুরু হয় রথীন কিস্কুর গান। পর পর দু’টি গানের পরে শেষে মঞ্চের নীচে থেকে আরও একটি গান গাওয়ার আর্জি আসে। অনুব্রত তাতে সায় দিতেই ওই গান ধরেন রথীন। তার দোসর হয় নাচ। সেই ‘কলঙ্কিনী রাধা’র সঙ্গেই সঙ্গত করতে দেখা যায় জেলা তৃণমূলের সভাপতি অনুব্রত, জেলা পরিষদের সভাধিপতি বিকাশ রায়চৌধুরীদের। চারপাশে তখন মুহুর্মুহু করতালি।
দেখুন সেই ভিডিয়ো...
এ দিনের সভায় বোলপুর শহর ছাড়াও লাভপুর, নানুর, ইলামবাজার ও বোলপুর-শ্রীনিকেতন থেকে বহু কর্মী, সমর্থক উপস্থিত হয়েছিলেন। তৃণমূলের দাবি, সংখ্যাটা সব মিলিয়ে লক্ষাধিক। এঁদের মনোরঞ্জনের জন্য গান দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়। মাঝে রাজনৈতিক কর্তাব্যক্তিদের বক্তব্যের পর শেষে আবার গানের পালা। প্রস্তুতি সভার মঞ্চে অবশ্য প্রথম থেকেই অন্য মেজাজে ছিলেন জেলা সভাপতি। কোনও রাজনৈতিক উত্তাপ তেমন দেখা যায়নি।
সকলের মঞ্চ পর্যন্ত আসা সম্ভব নয় জেনেই প্রতিটা ইলেকট্রিক স্তম্ভে লাগানো হয়েছিল মাইক। এক দিকে চিত্রা মোড় থেকে বোলপুর উচ্চ বিদ্যালয়, অন্য দিকে স্টেশন রোড, নেতাজি রোড সহ বিস্তীর্ণ এলাকা ছিল জনাকীর্ণ। নেতাদের বক্তব্য শুনতে পেয়েছেন সকলেই। তবে মঞ্চের সামনে থাকা কয়েক হাজার কর্মী, সমর্থক ছাড়া কেউই নেতাদের আহ্লাদ দেখতে পাননি। এঁদের কথায়, ‘‘ভিডিও নিশ্চয়ই ভাইরাল হবে। তখনই না হয় দাদার নাচ দেখে নেব।’’
আগে এমন নেচেছেন? সরাসরি উত্তর এড়িয়ে কেষ্টর জবাব, ‘‘এক জন আদিবাসী এমএ পাশ ছেলে যদি মঞ্চে ওমন গান ধরে সেখানে তো সকলেই কোমর দোলাবে, পা নাচাবে। আমিও আর থাকতে পারলাম কই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy