পদব্রজে: রাজপথে প্রচার। রথের বিরুদ্ধে তৃণমূলের মিছিল
লোকসভা নির্বাচনের অনেক আগেই বিজেপির রথ ঘিরে ভোটের ‘আবহাওয়া’ জেলা জুড়ে। জনসভা, পথসভা, পদযাত্রায় উত্তপ্ত বোলপুরও। বুধবার বোলপুরে প্রদেশ বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষের পদযাত্রা ও জনসভা, অন্য দিকে জেলা তৃণমূলের সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের পুরন্দরপুরে জনসভার পরেই বৃহস্পতিবার বোলপুর শহরে তিনটি পদযাত্রা বের হল।
বুধবার সিউড়ির পুরন্দরপুরে এক জনসভায় অনুব্রত মণ্ডল বলেছিলেন, ‘‘রথ তো আষাঢ় মাসে হয়। তা-ও যদি রথ বের হয়, সে জন্য চার হাজার খোল আর আট হাজার করতাল দেওয়া হবে। বল হরি, হরি বোল করতে করতে যাবে।’’
বৃহস্পতিবার কার্যত জেলা সভাপতির সেই নির্দেশেরই প্রস্তুতি শুরু করল বোলপুরের ৮ নম্বর ওয়ার্ড তৃণমূল কমিটি। এ দিন সকালে ওই ওয়ার্ডের পুরপ্রতিনিধি ওমর শেখের নেতৃত্বে কীর্তন সহকারে পদযাত্রায় বের হয়। খোল-করতাল সঙ্গে নিয়ে ‘হরি বোল’ ধ্বনি তুলে সড়ক পরিক্রমা করেন তাঁরা। সবার হাতে রাধাকৃষ্ণ আর নিতাই-গৌরের ছবি।
যদিও শুধুমাত্র জেলা সভাপতির নির্দেশেই যে এমন খোল-করতাল সঙ্গে নিয়ে কীর্তন, তা বলেননি উদ্যোক্তারা। ওমর শেখ বলেন, ‘‘২০১১ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর থেকেই লোকশিল্পীদের নিয়ে ভেবেছেন। আমরাও তাঁকে অনুসরণ করে প্রতি বছর দু’দিনের কীর্তন গানের অনুষ্ঠান করি। আজ নগর পরিক্রমার মধ্যে দিয়ে সেই অনুষ্ঠানের সূচনা হল।’’ তিনি আরও জানান, জেলা সভাপতি যে ভাবে নির্দেশ দেবে আগামী দিনেও তাঁরা সেই নির্দেশ পালন করবেন।
বিজেপির মহিলা মোর্চার পদযাত্রা। বৃহস্পতিবার বোলপুরে। নিজস্ব চিত্র
বেলা ১১টা নাগাদ ভারতীয় জনতা মহিলা মোর্চার বীরভূম জেলা শাখার উদ্যোগে পদযাত্রা বের হয় বোলপুরে। ‘গণতন্ত্র বাঁচাও-মহিলা বাঁচাও’ যাত্রা সফল করতে সাধারণ মানুষকে এগিয়ে আসার আর্জি জানানো হয়। মোর্চার সদস্যরা জানান, ৫ ডিসেম্বর তারাপীঠ থেকে কলকাতা পর্যন্ত ওই যাত্রা হবে। জেলা বিজেপি সূত্রে খবর, ৫ ডিসেম্বর তারাপীঠ থেকেই রথযাত্রার সূচনা হবে। তার আগেই বোলপুরের মানুষের মধ্যে তার বার্তা দিতেই এ দিনের মিছিল। বিজেপির পদযাত্রার পরে দুপুরে বোলপুর শহর ও ব্লক তৃণমূলের পক্ষ থেকে ফের একটি পদযাত্রার আয়োজন করা হয়।
তৃণমূল-বিজেপির এই দ্বৈরথ নিয়ে সিপিএমের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য সঞ্জীব বর্মন বলেন, ‘‘রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরাও স্বীকার করতে বাধ্য, ৩৪ বছরের বাম জমানায় কোনও সাম্প্রদায়িক শক্তি মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারেনি। পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির এই রমরমা তৃণমূলের আদর্শগত ভিত্তির অভাবের কারণেই হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy