Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

ব্রাহ্মণ, মৌলবী সম্মেলনের পরে মহিলাদের জনসভাও

তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনকে সামনে রেখে গত নভেম্বর থেকে ব্লকে ব্লকে সভা করে সংগঠন মজবুত করায় হাত দিয়েছিল দল। শুধু ব্লক ব্লকে সভা নয়।

ভিড়: দুবরাজপুরে চলছে জনসভা। নিজস্ব চিত্র

ভিড়: দুবরাজপুরে চলছে জনসভা। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
দুবরাজপুর শেষ আপডেট: ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ০০:৩৯
Share: Save:

পঞ্চায়েত ভোটে তাঁদের গুরুত্ব পুরুষদের সমান। প্রতিদ্বন্দ্বিতাও সমানে-সমানে। রবিবার দুবরাজপুরে তৃণমূলের প্রথম মহিলা জনসভা থেকে সেটাই ফের স্পষ্ট করলেন জেলা সভাপতি অনুব্রত (কেষ্ট) মণ্ডল।

তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনকে সামনে রেখে গত নভেম্বর থেকে ব্লকে ব্লকে সভা করে সংগঠন মজবুত করায় হাত দিয়েছিল দল। শুধু ব্লক ব্লকে সভা নয়। পঞ্চায়েত নির্বাচনে নিরঙ্কুশ ক্ষমতা ধরে রাখতে হয়েছে বুথস্তরের কর্মী সম্মেলনও। হয়েছে ব্রাহ্মণ সম্মেলন, মৌলবী সম্মেলন, আদিবাসী সম্মেলনও। বাকি ছিল আলাদা করে দলের মহিলা সেলকে চাঙ্গা করা। কারণ, ত্রি-স্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনে অর্ধেক আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় থাকবেন মহিলারা।

সেই মতো চলতি মাসের ২৬ তারিখ পর্যন্ত অনুব্রতর তত্ত্বাবধানে থাকা জেলার ১৯টি ব্লক ও পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রাম, মঙ্গলকোট ও কেতুগ্রাম বিধানসভার মোট ২৬টি জনসভা করবেন জেলা সভাপতি। রবিবার দুবরাজপুর মাদৃক সঙ্ঘ সাংস্কৃতিক ময়দানের মহিলা জনসভা দিয়েই শুরু হল কর্মসূচি। দুবরাজপুর ব্লক ও শহরের কয়েক হাজার মহিলা নেত্রী, কর্মী ও সমর্থকদের উপস্থিতিতে তাই মনোবল বাড়ানোয় জোর দেন অনুব্রত। বললেন, ‘‘আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে আপনারা থাকবেন সামনের সারিতে। পঞ্চায়েতে ১০টি আসনের পাঁচটাই আপনাদের। আপনাদের কাজ করার অধিকার দেব। যা বলবেন আমরা শুনব। আপনাদের পাশে থাকব।’’ উন্নয়নের ফিরিস্তি তুলে ধরে এরপর অনুব্রত বোঝাতে

থাকেন কী ভাবে মহিলাদের পাশে থাকছেন মুখ্যমন্ত্রী।

গত ১৩ জানুয়ারি সিউড়ি বুথভিত্তিক সম্মেলন থেকে আবাস যোজনায় বাড়ি প্রাপকদের কাছ থেকে টাকা নিলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন অনুব্রত। এ দিন দুবরাজপুরের মহিলা জনসভা থেকেও একই সুর শোনা যায় অনুব্রত গলায়। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার বাংলা সংস্করণ বাংলা আবাস যোজনায় এক দিনে রাজ্য জুড়ে ৫ লক্ষ প্রাপককে আর্থিক সহায়তা প্রদান কর্মসূচি পালন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। আবাস যোজনায় এ জেলা প্রায় ৬৯ হাজার বাড়ি পেয়েছে। সে দিন সিউড়িতে অনুব্রত বলেছিলেন, “আমি অঞ্চল সভাপতি, বুথ সভাপতিদের বলব তালিকায় নাম থাকলে কাউকে বাদ দেবেন না।” হুঁশিয়ারিও ছিল, “আবাস যোজনায় কোনও উপভোক্তার কাছে কেউ টাকা চাইবেন না। কেউ টাকা চাইলে ফোন নম্বরটা নোট করুন।” দুবরাজপুরে জেলা সভাপতি মনে করিয়ে দেন, ‘‘আপনাদের ব্লকে ৩৮০০টি বাড়ি এসেছে। কোনও গ্রাম পঞ্চায়েত যদি টাকা চায় আমি ব্যবস্থা নেব। থানায় অভিযোগ করুন। গ্রেফতার করিয়ে দেব। কোনও গরিব মানুষের কাছ থেকে টাকা নেওয়া চলবে না।”

অনুব্রত ছাড়াও জনসভায় ছিলেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি বিকাশ রায়চৌধুরী, তিন বিধায়ক অশোক চট্টোপাধ্যায়, নরেশ বাউড়ি, গদাধর হাজরা, পুরপ্রধান পীযূষ পাণ্ডে, জেলা মহিলা সভানেত্রী সাহারা মণ্ডল, ব্লক সভাপতি ভোলানাথ মিত্র, ব্লক মহিলা সভানেত্রী মুনমুন ঘোষ-সহ সব স্তরের নেতানেত্রীরা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Anubrata Mandal Meeting Women members
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE