Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

রামপুরের নেতাকে বহিষ্কার অনুব্রতের

রামপুর পঞ্চায়েত নিয়ে রাজনৈতিক দড়ি টানাটানির মধ্যেই মহম্মদবাজারে জনসভা করলেন তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। আর কালীতলা মাঠে শনিবারের ওই জনসভায় রামপুর অঞ্চলের তৃণমূল সভাপতি রাকেশ মণ্ডলকে দল থেকে বহিষ্কারের ঘোষণা করলেন।

সভায় অনুব্রত। —নিজস্ব চিত্র।

সভায় অনুব্রত। —নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
মহম্মদবাজার শেষ আপডেট: ৩০ ডিসেম্বর ২০১৮ ০০:০২
Share: Save:

রামপুর পঞ্চায়েত নিয়ে রাজনৈতিক দড়ি টানাটানির মধ্যেই মহম্মদবাজারে জনসভা করলেন তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। আর কালীতলা মাঠে শনিবারের ওই জনসভায় রামপুর অঞ্চলের তৃণমূল সভাপতি রাকেশ মণ্ডলকে দল থেকে বহিষ্কারের ঘোষণা করলেন। তখন সভাস্থলে উপস্থিত রাকেশ নিজেও। বিজেপি-কেও তুলোধোনা করেছেন অনুব্রত। বিজেপিই রামপুর পঞ্চায়েতে শাসকদলের ক্ষমতা দখলের মূল প্রতিদ্বন্দ্বী।

মহম্মদবাজার ব্লকের ১২টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে ১০টিই তৃণমূলের দখলে। গণপুর পঞ্চায়েত এ বার বিজেপি পেয়েছে। যত গোলমাল ৬ আসন বিশিষ্ট রামপুর অঞ্চল নিয়ে। কারণ, সেখানে বিজেপি ও তৃণমূল, দু’দলেরই তিনটি করে আসন অর্থাৎ টাই। তিন-তিন বার আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থার অবনতি হতে পারে, এই যুক্তি দেখিয়ে রামপুর পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন পিছিয়েছে প্রশাসন। বিজেপি-র দুই নির্বাচিত সদস্য সুলতা কোঁড়া ও জপন মুখোপাধ্যায় গত মঙ্গলবার বোলপুরে তৃণমূলে যোগ দেন। শুক্রবার তাঁরাই আবার ফিরে এসেছেন বিজেপি-তে। ফলে, বোর্ড গঠনের সুযোগ হাতছাড়া হয়েছে শাসকদলের।

এই রামপুর পঞ্চায়েতই এখন মাথাব্যথার কারণ তৃণমূল জেলা সভাপতির। বিজেপি নেতৃত্বের অভিযোগ, শাসকদলের নিচুতলার নেতাদের ‘ঔদ্ধত্য’, ‘দুর্নীতি’, ‘পক্ষপাতিত্ব’-এ ক্ষুব্ধ হয়ে মহম্মদবাজার ব্লকের একটা অংশের মানুষ তাঁদের দিকে ঝুঁকেছেন। তৃণমূল নেতৃত্বও নিচুতলার নেতাদের ভুলের কথা মানছেন। সেই কারণেই রামপুর অঞ্চল তৃণমূল সভাপতিকে বহিষ্কার করলেন অনুব্রত, এমনই মনে করছেন দলের স্থানীয় নেতা-কর্মীরা। রাকেশ অবশ্য বলেন, ‘‘সিপিএমের সঙ্গে টানা লড়াই করেই আমি তৃণমূল করেছি। দল যাই সিদ্ধান্ত নিক না কেন, আমি দলের অনুগত সৈনিক হিসাবেই থাকব। এ দিনও জেলা সভাপতির সভায় আমি কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে গিয়েছি।’’

বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে ‘মূর্খ বিধায়ক’ বলে সম্বোধন করে অনুব্রত এ দিন বলেন, ‘‘দিলীপবাবু দিল্লির পুলিশ আনার কথা বলছেন। এ বার দিল্লির পুলিশ দিয়েও কিছু হবে না। আমরা ৪২টি আসনই দখল করব। তার প্রমাণ দেবে লোকসভা ভোট। আমাকে কিছু বলতে হবে না মানুষই তাদের জবাব দিয়ে দেবে।’’ তাঁর বক্তব্য, ‘‘ঝাড়খণ্ডে মিটিং করে অনুব্রত মণ্ডলকে মেরে ফেলা যাবে না। যদি কেউ ভাবে আমাকে মেরে দেবে, তা হলে তারা খুব ভুল ভাবছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Anubrata Mandal TMC Rampur
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE