Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪

‘ফিরলে ফিরুন, সময় সাত দিন’, দুবরাজপুরে দলের নেতাকে হুঁশিয়ারি অনুব্রতর

তৃণমূল সূত্রের খবর, গত সেপ্টেম্বরে মেয়াদ শেষ হয়েছে দুবররাজপুর পুরসভায় ক্ষমতাসীন তৃণমূল বোর্ডের। তার পরেই পুরসভা নির্বাচন হওয়ার থাকলেও সেটা এখনও হয়নি। মহকুমাশাসক (সিউড়ি সদর মহকুমা) পুরসভার প্রশাসকের দায়িত্বে।

বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। —ফাইল চিত্র

বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। —ফাইল চিত্র

দয়াল সেনগুপ্ত
দুবরাজপুর শেষ আপডেট: ১৭ জুন ২০১৯ ০০:০৪
Share: Save:

একে লোকসভার ফলের নিরিখে দল পুর-এলাকায় পিছিয়ে। তার উপরে তৃণমূলের দুবরাজপুর শহর সভাপতি প্রভাত চট্টোপাধ্যায় বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন, এ নিয়ে গুঞ্জন রয়েছে। এই আবহে নিজেই প্রভাতবাবুর প্রসঙ্গ তুলে তাঁর জন্য সময় বেঁধে দিলেন তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল।

রবিবার বিকেলে দুবরাজপুরের র‌্যালির পরে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে দুবরাজপুরের আসন্ন পুরভোট ও শহর সভাপতির প্রসঙ্গ তোলেন। অনুব্রতর কথায়, ‘‘দুবরাজপুরের শহর সভাপতি কোনও কর্মসূচিতে আসছেন না। আজও আসেননি। শুনছি তিনি নাকি গিরগিটি হবেন। সাত দিন সময় দিলাম। দলে থাকতে চাইলে সেই সময়ের মধ্যে ফিরুন। নইলে দলের কিছু আসবে-যাবে না।’’ প্রভাতবাবু সরাসরি প্রতিক্রিয়া এড়িয়েছেন। তিনি বলছেন, ‘‘আমি নিজে কিছু শুনিনি। তাই প্রতিক্রিয়া এখনই নয়। যা বলার দিন কয়েক পরেই বলব।’’

তৃণমূল সূত্রের খবর, গত সেপ্টেম্বরে মেয়াদ শেষ হয়েছে দুবররাজপুর পুরসভায় ক্ষমতাসীন তৃণমূল বোর্ডের। তার পরেই পুরসভা নির্বাচন হওয়ার থাকলেও সেটা এখনও হয়নি। মহকুমাশাসক (সিউড়ি সদর মহকুমা) পুরসভার প্রশাসকের দায়িত্বে। সব ঠিকঠাক চললে পুরভোটের দেরি নেই। লোকসভা নির্বাচনের ওয়ার্ডভিত্তিক ফল দেখেই আসন্ন দুবরাজপুর পুরভোটের ‘স্ট্র্যাটেজি’ ঠিক করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল তৃণমূল। যদিও তৃণমূলের অন্দরের খবর ২০২০ সালে জেলার সিউড়ি, বোলপুর সহ আরও কয়েকটি পুরসভার সঙ্গে নির্বাচন হতে পরে দুবরাজপুরে। যদিও লোকসভা ভোটের ফল মোটেও স্বস্তি দেয়নি শাসকদলকে।

লোকসভার ফলের নিরিখে নলহাটি ছাড়া জেলার বাকি পুরসভার মতো শহরে বিজেপির থেকে যথেষ্ট পিছিয়ে তৃণমূল। ১৬ ওয়ার্ড বিশিষ্ট দুবরাজপুর পুরসভায় ভোটার ৩০ হাজার ৮১ জন। মোট ৩১টি বুথে এ বার ভোট দিয়েছিলেন ২৪ হাজার ৮৪২ জন ভোটার। শতাংশের হিসেবে ৮২.৫ এর আশপাশে। ফল প্রকাশের পরে দেখা গিয়েছে, অর্ধেকেরও বেশি ১২,৪৫০টি ভোট পেয়েছে বিজেপি। সেখানে তৃণমূলের ভোট ৯,৯৩৮টি। আর সিপিএম এবং কংগ্রেসের মিলিত ভোটর পরিমাণ ১৩৪০টি। ১ থেকে ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের মধ্যে সংখ্যালঘু অধ্যুষিত ৭, ৮, ৯, ১০, ১১ এই বুথগুলিতে মুখরক্ষা হলেও প্রতিটি হিন্দুপ্রধান ওয়ার্ডে লিড পেয়েছে বিজেপি। পিছিয়ে রয়েছেন বিদায়ী পুরপ্রধান পীযূষ পাণ্ডেও।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Anubrata Mandal TMC Dubrajpur
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE