Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

হারানো ছেলেকে নিয়ে সটান থানায় অটোচালক

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই বালকের নাম গণেশ কুমার। শীতল বলেন, ‘‘বেগুনকোদরে যাত্রী নামিয়ে ঝালদায় ফিরছিলাম। জজলং গ্রামের কাছে ফাঁকা রাস্তায় হাত দেখাচ্ছিল ছেলেটা। সচরাচর ওখানে কেউ অটোর জন্য অপেক্ষা করে না। কোথায় যাবে জানতে চাওয়ায় ছেলেটি ঠিকঠাক কিছু বলতে পারছিল না।’’

গণেশ কুমার। নিজস্ব চিত্র

গণেশ কুমার। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
ঝালদা শেষ আপডেট: ১৮ জুলাই ২০১৭ ১২:৫০
Share: Save:

রাস্তায় একটা ফাঁকা অটো দেখে থামানোর জন্য হাত দেখিয়েছিল ছেলেটি।

ঝালদা-বোগুনকোদর রাস্তার জজলং গ্রামের কাছে ওই জায়গায় কোনও স্টপ নেই। সোমবার ভরদুপুরে বছর দশেকের এক বালককে সেখানে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে কিছুটা কৌতূহলী হয়ে অটো থামিয়েছিলেন চালক শীতল চন্দ্র। কিন্তু কথা বলেই বুঝতে পারেন, কোথায় যেতে চায় সেই ব্যাপারে কোনও ধারণাই নেই ছেলেটির। ভেবেছিলেন, হয় বাড়ি থেকে পালিয়েছে, নয়তো হারিয়ে গিয়েছে। অটোয় তুলে গল্প করতে করতে তাকে নিয়ে যান ঝালদায়। এক সিভিক ভল্যান্টিয়ারের মাধ্যমে পৌঁছে দেন থানায়।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই বালকের নাম গণেশ কুমার। শীতল বলেন, ‘‘বেগুনকোদরে যাত্রী নামিয়ে ঝালদায় ফিরছিলাম। জজলং গ্রামের কাছে ফাঁকা রাস্তায় হাত দেখাচ্ছিল ছেলেটা। সচরাচর ওখানে কেউ অটোর জন্য অপেক্ষা করে না। কোথায় যাবে জানতে চাওয়ায় ছেলেটি ঠিকঠাক কিছু বলতে পারছিল না। নাম বললেও বাড়ি ঠিকানা বলে পারছিল না। তখনই বুঝতে পারি কিছু একটা গোলমাল রয়েছে।’’

ঝালদা থানায় এসে দুপুরে স্নান সেরে মাছ-ভাত খেয়ে দিব্যি ঘুম দিয়েছে গণেশ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গণেশ জানিয়েছে তার বাড়ি সংগ্রামপুরে। আর কিছুই বলতে পারছে না সে। পুলিশ জানিয়েছে, বিহার ও ওড়িশার সংগ্রামপুরে খোঁজ করেও কোনও সূত্র পাওয়া যায়নি। ছেলেটির সঙ্গে কথা বলে আরও কোনও সূত্র মেলে কি না তা দেখা হচ্ছে। খবর দেওয়া হয়েছে চাইল্ড লাইনে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE