Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

পেঁয়াজ বীজে বাঁকুড়া স্বনির্ভরতার পথে

পেঁয়াজ বীজ তৈরিতে সাফল্য পেল বাঁকুড়ার উদ্যানপালন দফতর। কয়েক বছরের পরীক্ষা নীরিক্ষার পরে এ বার তালড্যাংরার ফার্ম হাউসে ছ’কুইন্টাল পেঁয়াজ বীজ উৎপাদন হয়েছে।

রাজদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়
বাঁকুড়া শেষ আপডেট: ১৩ এপ্রিল ২০১৭ ০০:১০
Share: Save:

পেঁয়াজ বীজ তৈরিতে সাফল্য পেল বাঁকুড়ার উদ্যানপালন দফতর। কয়েক বছরের পরীক্ষা নীরিক্ষার পরে এ বার তালড্যাংরার ফার্ম হাউসে ছ’কুইন্টাল পেঁয়াজ বীজ উৎপাদন হয়েছে। রাজ্যের অ্যাগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ কর্পোরেশনের ভাইস চেয়ারম্যান শুভাশিস বটব্যাল বলেন, “বর্ষাতি পেঁয়াজ ফলিয়ে আমরা নাসিক থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ করতে পেরেছি। তবে পেঁয়াজ বীজ কিনতে নাসিকই ভরসা। এ বার বাঁকুড়াতে বীজ উৎপাদনে সাফল্য মেলায় আগামী দিনে নাসিকের উপর নির্ভরতা কমবে বলেই আমরা আশাবাদী।”

জেলা উদ্যানপালন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৪ সাল থেকেই বাঁকুড়ায় পেঁয়াজ বীজ উৎপাদনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল। তবে শুরুতেই ধাক্কা আসে। ২০১৫ সালে তিন কুইন্টাল পেঁয়াজ বীজ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হলেও শিলাবৃষ্টিতে ক্ষতির জেরে পুরোটাই ভেস্তে গিয়েছিল। পরের বছরের চেষ্টায় মিলেছে সাফল্য। বাঁকুড়া জেলায় গত বছর ১৩০০ টন বর্ষাতি পেঁয়াজ চাষ হয়েছে। চলতি বছর লক্ষ্যমাত্রা আরও বাড়ানো হবে। এর জন্য প্রায় ৯০০ কুইন্টাল পেঁয়াজ বীজ দরকার। যার বেশিরভাগটাই উৎপাদন করা গিয়েছে তালড্যাংরা ফার্ম হাউসে।

এ রাজ্যে শীতকালীন পেঁয়াজ চাষ হলেও বর্ষাতি পেয়াঁজ চাষের চল ছিল না। যার ফলে পুজোর সময় থেকেই বাজারে পেঁয়াজের ঘাটতি হত। দরও মধ্যবিত্তের নাগালের বাইরে চলে যেত। সেই সমস্যা মেটাতেই বর্ষাতি পেঁয়াজ চাষে নজর দিয়েছে রাজ্য সরকার। উদ্যানপালন দফতরের সহায়তায় মাঠে নেমেছেন অনেক চাষিই।

উদ্যানপালন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, গোটা রাজ্যে বর্ষাতি পেঁয়াজ বীজের চাহিদা কমবেশি ৫০ কুইন্টাল। রাজ্যের আরও বেশ কিছু জেলাতেও পেঁয়াজ বীজ চাষের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

বাঁকুড়া উদ্যানপালন দফতরের ফিল্ড অফিসার সঞ্জয় সেনগুপ্ত জানান, নাসিক থেকে আড়াই হাজার টাকা কেজি দরে রাজ্য সরকার পেঁয়াজ বীজ কিনে চাষিদের ১০৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করে। তবে এ বার বাঁকুড়ায় ভাল পরিমান পেঁয়াজ বীজ উৎপাদন হওয়ায় এই জেলায় ৫০০ টাকা কেজি দরে চাষিদের বীজ দেওয়া নিয়ে ভাবনা চিন্তা শুরু হয়েছে।

তিনি বলেন, “আমরা চাই চাষিরাও বীজ উৎপাদনে উদ্যোগী হোন। এর জন্য প্রশিক্ষণও আমরাই দেব।”

বাঁকুড়া উদ্যানপালন দফতরের উপ-অধিকর্তা মিলন বেসরা বলেন, “পেঁয়াজ চাষে আমরা সাবলম্বী হয়ে গিয়েছি। চাষিরা যদি নিজেরাই বীজ উৎপাদন করতে পারেন তাহলে চাষ অনেকটাই বাড়বে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Self Help Onion Seeds
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE