Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

সভাধিপতির সংরক্ষিত পদে এ বার কে? জল্পনা

খসড়া তালিকায় এ বার বাঁকুড়া জেলা পরিষদের সভাধিপতির আসনটি তফসিলি উপজাতি সম্প্রদায়ের জন্য সংরক্ষিত করা হয়েছে। জেলা পরিষদের সহ-সভাধিপতির আসনটি অবশ্য সংরক্ষণ তালিকার বাইরেই রয়েছে। ওই তালিকা হাতে পাওয়ার পর থেকেই জেলার রাজনৈতিক মহল সরগরম।

নিজস্ব সংবাদদাতা
বাঁকুড়া শেষ আপডেট: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ০০:৩৬
Share: Save:

যাবতীয় জল্পনার অবসান ঘটিয়ে সংরক্ষণের আওতাতেই পড়তে চলেছে বাঁকুড়া জেলা পরিষদের সভাধিপতির পদ। মঙ্গলবার রাজ্য নির্বাচন কমিশনের তরফে প্রকাশিত জেলা পরিষদের সভাধিপতি, সহ-সভাধিপতি, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ও সহ-সভাপতি এবং গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ও উপপ্রধান ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েতের আসন সংরক্ষণের খসড়া তালিকায় সেই ইঙ্গিতই মিলেছে।

ওই খসড়া তালিকায় এ বার বাঁকুড়া জেলা পরিষদের সভাধিপতির আসনটি তফসিলি উপজাতি সম্প্রদায়ের জন্য সংরক্ষিত করা হয়েছে। জেলা পরিষদের সহ-সভাধিপতির আসনটি অবশ্য সংরক্ষণ তালিকার বাইরেই রয়েছে। ওই তালিকা হাতে পাওয়ার পর থেকেই জেলার রাজনৈতিক মহল সরগরম।

উল্লেখ্য, ২০০৩ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে বাঁকুড়া জেলা পরিষদের সভাধিপতির আসন তফসিলি জাতিভুক্ত মহিলার জন্য সংরক্ষিত ছিল। ২০০৮ ও ২০১৩ সালে তা ছিল সংরক্ষণের বাইরে। পরপর দু’বার সংরক্ষণের বাইরে থাকায় আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে জেলা সভাধিপতির আসন সংরক্ষণের আওতায় যে আসতে চলেছে, তা নিয়ে গুঞ্জন শুরু হয়েছিল রাজনৈতিক মহলে। শেষ পর্যন্ত তাই হতে যাচ্ছে।

জেলা পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন আধিকারিক সুকুমার বৈদ্য বলেন, “ত্রিস্তরীয় আসন সংরক্ষণের খসড়া তালিকা প্রকাশিত হয়েছে। এই তালিকা নিয়ে যদি কারও অভিযোগ থাকে, তাহলে ১৯ ফেব্রুয়ারির মধ্যে সংশোধনের আবেদন করতে পারেন জেলাশাসকের দফতরে। আবেদন পাওয়া গেলে চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশের আগে বিবেচনা করা হবে।”

ঘটনা হল, বর্তমান বাঁকুড়া জেলা সভাধিপতি তথা জেলা তৃণমূলের হেভিওয়েট নেতা অরূপ চক্রবর্তীর জায়গায় এ বার কাকে তুলে আনবে দল, তা নিয়েই বিস্তর চর্চা শুরু হয়েছে শাসক শিবিরে। বর্তমান জেলা সহ-সভাধিপতি বিভাবতী টুডুকে ওই দ্বায়িত্ব দেওয়া হবে কি না তা নিয়েও আলোচনা শুরু হয়ে গিয়েছে। বিভাবতীদেবী ১৯৯৮ সাল থেকে টানা বাঁকুড়া জেলা পরিষদের সদস্যা। দীর্ঘ বাম আমলেও তিনি তৃণমূলের হয়ে জেলা পরিষদে সদস্যা ছিলেন। ২০০৩ সাল থেকে পাঁচ বছর তিনি বাঁকুড়া জেলা পরিষদের তৃণমূলের বিরোধী দলনেত্রীর দ্বায়িত্ব সামলেছেন। এ বার সভাধিপতি পদের দৌড়েও তাঁকে বাজি ধরছেন অনেকে। তবে নতুন কোনও মুখ তুলে আনা হয় কি না তা নিয়েও কম আলোচনা হচ্ছে না।

অন্যদিকে, সহ-সভাধিপতির পদটি সংরক্ষণের বাইরে হওয়ায় ওই পদে কে উঠে আসবেন, জল্পনা শুরু হয়েছে তা নিয়েও। জেলা তৃণমূলের একাংশের অভিমত, গত বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের জেলা নেতানেত্রীদের কয়েকজন পরাজিত হয়েছিলেন। বিধায়ক থেকেও ভোটে লড়ার টিকিট পাননি এমন নেতাও আছেন। সহ-সভাধিপতি পদে ওই প্রাক্তন বিধায়কদের কাউকে তুলে এনে চমক দেওয়া হবে কি না তা নিয়েও চর্চা শুরু হয়েছে।

যদিও এ সব নিয়ে এখনই প্রকাশ্যে কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি জেলা নেতৃত্ব। সভাধিপতি বলেন, “আমি দলের এক জন সৈনিক মাত্র। দল আমাকে যে দ্বায়িত্ব দেবে, তাই মেনে নেব।” বিভাবতীদেবী বলেন, “কাকে কী দ্বায়িত্ব দেওয়া হবে, সেটা দল ঠিক করবে। দলের নির্দেশই শেষ কথা।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

TMC Election Commission Reservation
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE