প্রতীকী ছবি।
কংগ্রেসকে ঠেকাতে ঝালদার একটি পঞ্চায়েতের দু’টি আসনে তারা প্রার্থী দেয়নি বলে দাবি তৃণমূলের। বিরোধীদের কটাক্ষ, শাসকদল প্রার্থীই খুঁজে পায়নি।
মাড়ু-মসিনা গ্রাম পঞ্চায়েত। এলাকাটি ঝালদা ১ ব্লকে। কংগ্রেস ওই এলাকায় শক্তিশালী। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে ওই পঞ্চায়েতে তারা নিরঙ্কুশ সংখ্যা গরিষ্ঠতা পেয়েছিল। মোট ৯টি আসনের মধ্যে কংগ্রেসের দখলে এসেছিল ৮টিই। তৃণমূল জিতেছিল একটিতে। ঝলাদা ১ পঞ্চায়েত সমিতিতেও জিতেছিল কংগ্রেস। কিন্তু পরে কংগ্রেসের টিকিটে জেতা সদস্যদের অনেকেই তৃণমূলে যোগ দেওয়ায় পঞ্চায়েত সমিতির ক্ষমতা বদল হয়। ওই পঞ্চায়েতে সেটা হয়নি।
কংগ্রেসের স্থানীয় অঞ্চল সভাপতি কীর্তিচাঁদ মাহাতো জানান, বাম জমানায় ২০০৩ সালের ভোটে পঞ্চায়েতটি কংগ্রেসের হাতে ছিল। ২০০৮-এর নির্বাচনে বামফ্রন্ট সেটি দখল করেছিল। ২০১৩-তে আবার কংগ্রেস ক্ষমতায় আসে। কেন সেখানে এ বার তৃণমূলের প্রার্থী নেই? দলের মাড়ু-মসিনা অঞ্চল সভাপতি তরণী মাহাতো বলেন, ‘‘বিগত তিনটি পঞ্চায়েত নির্বাচনে মাড়ু-মসিনার দুটি আসন— আকুড়া ও উহুপিড়িতে কংগ্রেসই জিতে আসছে। তাই কংগ্রেসকে ঠেকাতে আমরা অন্য আসনগুলিতে প্রার্থী দিলেও ওই দুটি আসনে প্রার্থী দিইনি।’’ তাঁর দাবি, তৃণমূলের প্রার্থীরা নির্দল হিসাবে রয়েছেন। তরণী বলেন, ‘‘স্থানীয় মানুষজনের সঙ্গে আমরা কথা বলেছি। তাঁরা চেয়েছেন যে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে আমরা দলীয় প্রতীকে প্রার্থী না দিই।’’
কেন? তরণী বলেন, ‘‘যেখানে যেমন পরিস্থিতি সেখানে সে ভাবেই লড়তে হবে।’’
তৃণমূলের এই দাবি মানতে নারাজ কংগ্রেস। দলের অঞ্চল সভাপতি কীর্তিচাঁদ বলেন, ‘‘আসলে ওই দু’টি আসনে তৃণমূল প্রার্থীই খুঁজে পায়নি। একই এলাকায় পঞ্চায়েত সমিতির আসনে তো ওরা দলীয় প্রতীকেই প্রার্থী দিয়েছে।’’ তরণীর পাল্টা বক্তব্য, ‘‘পঞ্চায়েত সমিতির আসন আরও বড় এলাকা নিয়ে হয়। সেখানে আমরা নিজেরাই কংগ্রেসের সঙ্গে যুঝে নিতে পারব।’’
মাড়ু-মসিনা পঞ্চায়েতের ওই আসনদু’টিতে শাসকদলের প্রতিপক্ষ যে শুধু কংগ্রেস, এমনটাও নয়। লড়াইয়ে রয়েছে বিজেপিও। বিজেপির ওবিসি মোর্চার জেলা সহসভাপতি ভদ্রদুলাল মাহাতো বলেন, ‘‘ওই আসন দু’টিতে কংগ্রেস শক্তিশালী বলে নির্দল বা তৃণমূলকে সমর্থন করার প্রশ্নই নেই। তৃণমূল প্রার্থী পায়নি বলেই ওখানে নির্দলকে সমর্থন করতে বাধ্য হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy