বিড়ি শিল্পের উপর নানা নিষেধাজ্ঞা জারি করায় দেশের এক কোটি বিড়ি শ্রমিক চরম সঙ্কটের মুখে পড়ছে। ফলে এই শিল্পের সঙ্গে যুক্ত প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে প্রায় পাঁচ কোটি মানুষের জীবিকাও বিপন্ন। কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে এমনই অভিযোগ তুলে ১৮ এপ্রিল থেকে আন্দোলন শুরু করছে সিটু অনুমোদিত পুরুলিয়া জেলা বিড়ি কারিগর ইউনিয়ন।
মঙ্গলবার সিটুর সবর্ভারতীয় সহ-সভাপতি বাসুদেব আচারিয়া পুরুলিয়ায় এক সাংবাদিক বৈঠকে জানান, বিড়ির মোড়কের ৮৫ ভাগ জায়গা জুড়ে সতর্কীকরণন বিজ্ঞপ্তি রাখতে হবে এবং প্রতি তিনমাস অন্তর বিড়ির মোড়ক বদল করতে হবে বলে কেন্দ্রীয় সরকার নির্দেশ দিয়েছে। ১ এপ্রিল থেকে এই নির্দেশ কার্যকর হওয়ায় বিড়ি শিল্পে সঙ্কট তৈরি হয়েছে। বাসুদেববাবু বলেন, ‘‘ইউপিএ সরকারের সময় এই আইনের প্রস্তাব পেশ হয়েছিল। আমরা তার বিরোধিতা করে বিকল্প প্রস্তাব পেশ করেছিলাম। সংসদীয় কমিটি মোড়কের উপরে ৮৫ ভাগের বদলে ৫০ ভাগ জায়গায় সতর্কীকরণের বিজ্ঞপ্তি দেওয়ার সুপারিশ করেছিল। তাও মানা হয়নি।’’ তাঁর প্রস্তাব, সরকার যদি সত্যিই ধূমপান বন্ধ করে মানুষের সুস্বাস্থ্যের কথা ভাবে, তাহলে আগে প্রয়োজন পুনর্বাসন ও বিকল্প কাজের ব্যবস্থা করা। সিটুর জেলা সভাপতি নিখিল মুখোপাধ্যায় বলেন, এই নির্দেশের ফলে বাজারে বিনা মোড়কের বিড়ি আসা শুরু হয়েছে। তার ফলে একদিকে যেমন সরকার রাজস্ব হারাবে। অন্যদিকে এই শিল্পের সঙ্গে যুক্ত শ্রমিকেরাও বঞ্চিত হবেন।’’
বিড়ি শ্রমিকদের যুগ্ম সংগ্রাম কমিটির আহ্বায়ক ভীম কুমার জানান, ১৮ এপ্রিল থেকে জেলার বিভিন্ন ব্লক অফিসে বিড়ি শ্রমিকরা স্মারকলিপি দেব। তাঁদের গণস্বাক্ষরিত আবেদনপত্র রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর কাছেও পাঠানো হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy